শীতকালে বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
শীতকালে বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। বিশেষ করে বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের এই মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার। কারণ বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করতে গেলে অনেক আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করা যায়। আসলে পরিবারের সবার সাথে গেলে একরকম আনন্দ আর বন্ধুদের সাথে ভ্রমন করতে গেলে অন্যরকম আনন্দ উপভোগ করা যায়। তাই বন্ধুদের সাথে শীতকালে ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম সিরাজগঞ্জের ইকো পার্কে। সেই গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে এই গল্পটি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি দ্বিতীয় পর্বের গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আসলে বন্ধুদের সাথে ইকো পার্কের এই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দময় ছিল। স্মৃতির পাতায় যেন সেই দিনগুলো আজও রয়ে আছে মআসলে স্মৃতিময় সেই দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই ইকো পার্কে যখন বানরের খাঁচার সামনে এসে কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে ছিলাম।আসলে পার্কের এই চারপাশে সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগলো। আমরা একটি ছোট ফোন নিয়ে এসেছিলাম। এই ছোট ফোন দিয়ে আমরা ফটোগ্রাফি করতেছিলাম। যখন সাজু ফটোগ্রাফি করতেছিল।
তখন সাজুর মাথা থেকেই শীতের টুপিটি নিয়ে একটি বানর লাফ দিয়ে অন্যদিকে চলে যায়। তখন আমরা অনেক হাসাহাসি করতে ছিলাম। আসলে কিভাবে এই টুপিটি পাওয়া যায় সেটাই আমরা অনেকবার চেষ্টা করতেছিলাম। কিন্তু বানর তো খুবই দুষ্ট যার কারণে এক ডাল থেকে অন্য ডালে এবং সে যেন এই টুপিটি দিতে যাচ্ছিল না। তখন একটি পাউরুটি কিনে নিয়ে আসলো খাওয়ার জন্য কিন্তু এই রুটি নিয়ে আসলো কিন্তু যে বানর টুপি নিয়েছে সে আর আসলো না। অনেক চেষ্টার পরেও দেখতে পেলাম এই টুপিটি পাওয়া সম্ভব নয়। তখন আমরা সেখান থেকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। সামনের দিকে এগিয়ে দেখতে পেলাম ময়ূরের খাঁচায়। এখানে অনেকগুলো ময়ূর রয়েছে। তাই দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
এই ময়ূরের খাঁচাটি অনেক বড় ছিল। এই খাঁচার ভিতর অনেক ধরনের ময়ূর দেখতে পেলাম। বিশেষ করে সাদা ময়ূর দেখতে পেলাম। দেখে সত্যি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কারণ ময়ূরের পেখম মেলার দৃশ্য এর আগে আমি কখনো দেখিনি। আজকে যখন দেখতে পেলাম তখন অনেক বেশি ভালো লাগলো। আমরা বন্ধুরা মিলে এই দৃশ্যগুলো দেখার জন্য তাকিয়ে রইলাম। ময়ূরের বাচ্চা দেখতে পেলাম কারণ বিশাল বড় এই খাঁচার ভিতরে অনেক ময়ূর দেখতে পেলাম। বিশেষ করে ময়ূর যখন পেখম মেলে তখন অসাধারণ লাগে। আর এই পেখম মেলার দৃশ্য যে কেউ দেখলেই তার ভালো লাগবেই।
তারপরে আমরা সামনে আরেকটি খাঁচার কাছে আসলাম। সেখানে এসে দেখতে পেলাম বিশাল বড় একটি খাঁচায়। এই খাঁচাতে বিভিন্ন রকমের পাখি পালন করা হচ্ছে। আসলে এখানে বিদেশি জাতের সকল পাখিও রয়েছে এবং একপাশে দেখতে পেলাম কবুতরের সৌন্দর্যময় দৃশ্য। খাঁচায় ভিতর অনেক কবুতর রয়েছে। আর এই কবুতরগুলো ডাক এবং পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে পার্কের ভিতরে অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রকৃতির দৃশ্যগুলোর মাঝে এই পশু পাখির ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে আরো বেশি ভালো লেগেছে। তাই পার্কে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।
কিছুদিন আগে এই স্মৃতিচারণমূলক প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলেন। আজকে আমাদের মাঝে আবারও দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই ফেলে আসা আনন্দঘন স্মৃতি জানতে পেরে। যখনই কাউকে দেখিয়ে এভাবে বন্ধুদের সাথে চলা স্মৃতি স্মরণ করতে আমারও যেন অতীতের দিনগুলো খুঁজে পায়। ফিরে পায় তিন বন্ধুর সুন্দরবন ভ্রমণের সেই মুহূর্ত। নাটোরে ঘোরাঘুরি রাজশাহীর পদ্মার পাড় চলাচল। যাই হোক খুব ভালো লাগলো।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন ফ্যামিলির সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে যেমন অন্যরকম একটা মজা হয় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেলে আলাদা আর একটা মজা হয়। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে সিরাজগঞ্জের ইকো পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। তাছাড়া বানর আপনার বন্ধুর টুপি নিয়ে গিয়েছে দেখে আমারও বেশ হাসি পেল। শেষমেষ অনেক চেষ্টা করার পরেও টুপিটা আর নিতে পারলেন না। আমরাও যখন চিটাগাং পার্কে গিয়েছিলাম তখন সাদা ময়ূর দেখেছিলাম। আর আপনারাও সাদা ময়ূর দেখে খুশি হয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলেই এরকম বড় বড় ময়ূর হঠাৎ সামনে দেখলে বেশ ভালই লাগে। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Cআপনার সুন্দর মতামত পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে।