মাছ ধরতে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-৩
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
ছোটবেলা মাছ ধরতে আমি খুবই পছন্দ করতাম। যার কারণে মাছ ধরার গল্পগুলো আমার জীবনে অনেক রয়েছে। চাচার সাথে তাই মাছ ধরতে গিয়েছিলাম বর্ষাকালে নৌকা নিয়ে। আর মাছ ধরতে গিয়ে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। তেমনি বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে আরো আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে ছিলাম। আসলে স্মৃতিময় সেই দিনগুলোয়ের কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বর্ষাকাল আসলে যেন ছোটবেলার সেই মাছ ধরার মুহূর্তগুলো আমার মনে পড়ে যায়। তো আপনাদের সাথে স্মৃতিময় সেই গল্পটি শেয়ার করতেছিলাম। আজকে মাছ ধরার সেই গল্পটির শেষের পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি শেষের পর্বের গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমাকে আর আমার বন্ধুকে যখন নৌকার উপর রেখে চাচা এবং বন্ধুর বাবা বিলের ভিতরে মাছ ধরতে গিয়েছিল, তখন আমরা সেখানে আনন্দের সাথে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেখতে পেলাম পানিতে একটি সাপ, আর সাপ দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। বন্ধুর তখন নৌকাতে থাকা বয়ঠা দিয়ে সেই সাপকে আঘাত করল এবং সাপকে আর দেখতে পেলাম না। আমি চিৎকার করলাম, চিৎকার শুনে চাচা ও বন্ধুর বাবা তাড়াতাড়ি আমাদের দিকে চলে আসলো।চাচা বলো কি হয়েছে, তখন চাচাকে বললাম এখানে একটি সাপ ছিল। আর এই সাপটি আমাদের দিকে আসতে ছিল। আমার খুবই ভয় পেয়েছি, চাচা বলল পানিতে থাকা সাপ কখনোই মানুষকে কামড় দিবে না। সাপ হয়তো তোমাদের এই পানিতে আঘাত করা দেখেই অন্যদিকে চলে গেছে আর ওকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোন ভয় নেই এখুন।
আসলে পানির ভিতর দিয়ে সাপ এভাবে চলাচল করে এটাই আমি প্রথম দেখেছিলাম। যার কারণে আমার খুবই ভয় লেগেছে। এভাবে সাপ আমি কখনোই সামনাসামনি দেখিনি। আর সাপটা যেভাবে আসতেছিল মনে হচ্ছিল যেন আমাদের নৌকাতে উঠে এসবে।আমাদের কামড়াবে তাই অনেক ভয় পেয়েছিলাম। চাচা আসার পরে অনেকটাই সাহস পেলাম। তারপরেও অনেকটা ভয় পাচ্ছিলাম যার কারণে পানিতে আমি আর হাতি দিচ্ছিলাম না। নৌকার মাঝখানে আমি বসে রইলাম। আর বন্ধুও আমার সাথে নৌকার মাঝখানে বসলো ছিলোচাচা বলল,এখানে আর থাকবো না, তোমাদের সাথে নিয়েও ঐ বিলের মাঝখানে একটি ব্রিজ রয়েছে, সেখানে যাব মাছ ধরতে। ওখানে নাকি অনেক বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তাই চাচা আমি আর বন্ধু এবং বন্ধুর বাবা চার জনে মিলে সেই ব্রিজের দিকে রওনা দিলাম।
তারপরে আমরা নৌকায় করে সেই ব্রিজের কাছে আসলাম। ব্রিজের কাছে এসে নেমে আমি ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আর আমার চাচা জাল পেতেছিল,ব্রিজের উপর থেকে নিচের দিকে, আসলে এটি ছিল তৌড়া জাল। তৌড়া জাল উপর থেকে নিচে ফেলতে হয়। আর এই জাল ফেলার পরে এমন একটি ঘটনা ঘটলো যেটা দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি। আর এই ঘটনাটি হল চাচা আর জাল তুলতে পারছিল না। মনে হচ্ছিল অনেক বড় একটি মাছ জালে আটকে গিয়েছে। তাই বন্ধুর বাবাকে ডাক দিল। বন্ধুর বাবাসহ এই জালটি তুলতে লাগলো। আর বললো যে আপনার কপাল খুলে গেছে, হয়তো অনেক বড় মাছ উঠেছে। আর এই জালটি ছিল বন্ধুর বাবার। চাচা ইচ্ছা করেই তার জালটি নিয়েছিল মাছ ধরার জন্য।
জালটি যখন আস্তে আস্তে উপরে তুলতে লাগলো, তখন দেখতে পেলাম অনেক বড় একটি বোয়াল মাছ। আর এই বোয়াল মাছ যখন জাল থেকে বের হতে নই ছিল তখন লাফ দিয়ে উপরে উঠে এসেছিল। কিন্তু বের হতে পারিনি। চাচা বলল যে বোয়াল মাছ ধরেছে। তারপরে অনেক ভারী লাগতেছে এবং জালটি আরো আস্তে আস্তে উপরে উঠে দেখতে পেল আর একটি বোয়াল মাছ মানে আছে।জালটি যখন পুরো উপরে উঠানো হলো, তখন দেখতে পেলাম আরো তিনটি বোয়াল মাছ মানে পাঁচটি বোয়াল মাছ উঠেছে। দুটি বোয়াল মাছ বড়, আর তিনটি খুব একটা ছোট ছিল না। মোটামুটি বড়ই ছিল। এই পাঁচটি বোয়াল মাছ দেখতে পেয়ে সত্যিই আমি আনন্দে অনেক চিৎকার করতে লাগলাম। আর বন্ধুর বাবাও বলতে লাগলো হায়রে কপাল আপনার, চাচাতো মহা খুশি ছিলো।এই মাছগুলো পেয়ে আমরা অনেক খুশি, চাচা বলল চল বাড়ি যাই। আর মাছ ধরবো না। চাচারও অনেক ভালো লাগতেছিল, আমারও খুবই ভালো লাগতেছিল। যার কারণ এই মাছগুলো বাড়িতে দেখাবো, সে জন্য আর মন টিকতে ছিল না। তখন চাচার বন্ধু বলল আরো কয়েকটা মিনিট দেখি । আরো ওঠে কিনা, তারপরে আর চাচা বলল আপনি এখুন দেখেন।সেই কয়েকটা জাল ফেললো।তবে আর উঠল না।
আপনার লেখা মাছ ধরার দারুণ স্মৃতিময় গল্পের তৃতীয় পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে আপনার এই গল্পটি পড়ে আমার সেই ছেলেবেলার মাছ ধরার কথাগুলো খুবই মনে পড়ে গেল। আমিও এভাবেই ছোটবেলায় অনেক বার মাছ ধরতে গিয়েছিলাম।
চাচা সাথে মাছ ধরার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছিলেন। বিলের মধ্যে থেকে যখন ব্রিজের পাশে আসলেন। ব্রিজের পাশে এসে আপনার চাচার জালে পাঁচটি বড় বড় বোয়াল মাছ উঠেছিলো।আসলে এরকম পাঁচটি বোয়াল মাছ ধরেছিলো। একসাথে এতো মাছ উঠেছিলো তখন তো আনন্দে সীমা থাকে না। আপনার গল্পটি খুবই সুন্দর ছিলো।