বর্ষাকালে মাছ ধরার স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-৩ বা শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বর্ষাকালে চারদিকে শুধু পানি আর পানি। আর এই পানিময় পরিবেশের মধ্যে দিয়ে নৌকায় করে ভ্রমণের সময় অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ বর্ষাকালে চারপাশে শুধু নৌকার করে চলাচলের দৃশ্যগুলো উপভোগ করা যায়। আসলে তখন চার পাশে সকলেই যেন এই পানির বন্দির মধ্যে অবস্থান করে। যার কারণে তাদের চলাচলের একমাত্র ব্যবস্থা হয়ে থাকে এই নৌকা। তাই বর্ষাকালে যখনই নৌকায় করে ভ্রমণ করা হয়, তখনই দেখতে পাওয়া যায় ভ্রমনের দৃশ্য,সকলেই যেন নৌকায় করে ভ্রমন করছে। আর তাদের সাথে নৌকার এভাবে দেখা হয়ে খুবই ভালো লাগে। আসলে বর্ষাকালে আমার অনেক স্মৃতিময় গল্প রয়েছে। সেই স্মৃতিময় গল্প থেকে আপনাদের সাথে মামা বাড়িতে গিয়ে মাছ ধরার গল্প শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পই তৃতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি অর্থাৎ আপনাদের মাঝে গল্পটির শেষের পর্ব শেয়ার করলাম। তো বন্ধুরা চলুন বর্ষাকালে স্মৃতির পাতা থেকে সেই গল্পটির শেষের পর্ব পড়া শুরু করা যাক।


fisherman-504098_1280.jpg

source

মামার এই সিপ জালে যখন বড় বড় তিনটি রুই মাছ ও একটি কাতল মাছ উঠেছিল। তখন আমরা আনন্দে যেন মেতে উঠেছিলাম। তাই মামার বন্ধু বলল আজকে আর তোদের মাছ ধরতে হবে না। তোরা এখনই বাড়ি চলে যাহ। মামা বলল ঠিক আছে অনেক মাছি ধরেছি, আজকে আর মাছ ধরবো না। তাই আমাদের সাথে নিয়ে নৌকায় করে বাড়ির দিকে রওনা দিল। আসলে নৌকায় করে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগতেছিল, কারণ আমাদের জালে অনেক মাছ ধরা পড়েছে। আর আমরা মাছ নিয়ে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরছি। আসলে মাছ ধরতে গিয়ে যদি জালে মাছ ধরা পরে, তখন সেই মাছ নিয়ে বাড়িতে আসার মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক আনন্দের হয়।মামা অনেক হাসিখুশি ছিলো, আমরা অনেক আনন্দের সাথে যাচ্ছিলাম, কারণ এই মাছগুলো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সকলকে দেখাবো এটা ভেবে যেন মনের ভিতরে আনন্দ হচ্ছিলো।


আমরা যখন মনের আনন্দে নৌকায় করে বাড়ি ফিরতেছিলাম। তখন খুবই ভালো লাগতেছিল, কারণ মাছ অনেক ধরা পড়েছে। আর এই মাছগুলো যত তাড়াতাড়ি নিয়ে যাব তত আগেই যেন সবাইকে দেখাতে পারবো। তাই আমরা দ্রুত চালিয়ে আসতে ছিলাম এবং মামার বাড়ির পাশে আরো একজন বন্ধু সে অন্য কোথা থেকে যেন আসতে ছিল এবং আমাদের দেখে, আমাদের অনেক ডাক দিল অর্থাৎ মামার নাম ধরে ডাক দিলাম মামা তখন বলল ঠিক আছে,এবং লোকটি যখন নৌকা নিয়ে আমাদের কাছে আসলো তখন সেই লোকটি বলল কি আজকে কি মাছ ধরা পড়েছে, প্রতিদিনই তো মাছ ধরতে যাওয়া কোনদিন তো বড় মাছ ধরা পড়ে না।


boat-164977_1280.jpg

source

কথাটা শুনে খারাপ লাগলো, কিন্তু মামা তখন বলল প্রতিদিন কি আর বড় মাছ ধরা পড়বে। আজকে দেখো আমার চারটি বড় মাছ ধরা পড়েছে মআর অনেকগুলো ছোট মাছও কথাটা শুনে লোকটি বিশ্বাসই করতে পারল না। তখন আমি দেখালাম মাছগুলো, দেখেই যেন তার মুখ ছোট হয়ে গেল। আসলে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে শুধু হিংসা করে। এখন উচিত শিক্ষা হয়েছে। যখনই মাছগুলো দেখালাম সেই বলতে লাগলো গুলো কিভাবে মাছগুলো পেয়েছে, কোথায় থেকে আমার দিকে ওখানে জাল ফেলাতে হবে, এরকম আফসোস করতে লাগলো। আসলে তাকে আফসোস দেওয়ার জন্যই মামা এই মাছগুলো বের করে আরও ভালো করে দেখাতে লাগলো। খুবই ভালো লেগেছে সেই মুহূর্তটা। তখন লোকটি আর কথা বলল না, নৌকা চালিয়ে অন্যদিকে চলে গেল, আমরা তখন আবারও বাড়ির দিকে আসলাম এবং মামাতো ভাই আর আমি দুজন মিলে এই মাছের ঝুড়িটি নিয়ে তাড়াতাড়ি আমার নানাকে ডাক দিলাম, নানা বাইরে চলে আসলো এবং এসেই এই ঝুড়ি থেকে মাছগুলো বের করতে লাগলো।


নানা ঝুড়ি থেকে মাছগুলো বের করেই যেন অবাক হয়ে গেল। এই তো বড় বড় মাছ তিনটি রুই ও একটি অনেক বড় কাতল মাছ এবং আরো অনেক ছোট মাছ, এগুলো দেখে যেন অবাক হয়ে গেল। সকলেই দেখতে আসলো এই মাছগুলো। আসলে সবাই যেন বাইরে চলে আসলো এই মাছগুলো দেখার জন্য। একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হলো। সত্যি সেই মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। বাড়ির সবাই যেন এক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতে ছিল। নানা এই মাছগুলো নিজেই কাটা শুরু করল, আর বলল যে আজকে বাড়ির সবাই মিলে একসাথে খাব। একটা পিকনিকের মত হবে। সত্যিই বাড়ির সবাই মিলে এরকম আনন্দময় সেই দিনটা খুবই মজার ছিলো।

এই মাছগুলো নানা নিজেই কাটলো আর আমার নানা খুবই ভালো রান্নাবান্না করতে পারতো। যার কারণে নানা এই মাছগুলো নিজে রান্না করলো। খুবই মজাদার ভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছিল। বাড়ির সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া হল। আর মামা গিয়ে তার বন্ধুকে ডেকে নিয়ে আসলো। তার বন্ধুর সাথে আমি ও মামাতো ভাই একসাথে খেলাম। সেই রাতে অনেক আনন্দে মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আর এই খাবার খেয়েছি,সত্যি এত আনন্দ হয়েছিল সেদিন যা বলার মতো না। সবাই মিলে সেই দিনটি খুবই আনন্দের সাথে আমরা উপভোগ করেছিলাম।সেই দিনের গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। আশা করছি স্মৃতির পাতায় এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 9 months ago 

বর্ষাকালে মাছ ধরার স্মৃতিময় গল্পের তৃতীয় পর্ব পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার মামা ঠিকই বলেছে প্রতিদিন কি আর বড় মাছ ধরা পড়ে। মাছ ধরতে গিয়ে আবার এরকম হয় অনেকদিন ভালো মাছই পাওয়া যায় না। যাই হোক অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।

 9 months ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 9 months ago 

বর্ষাকালে মাছ ধরার স্মৃতিময় গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া যারা হিংসা করে তারা শুধু মাছ কেন সব কিছু নিয়েই হিংসা করে। যাইহোক বড় মাছ গুলো দেখে আপনার নানা নিজেই কাটতে বসলো। সত্যি মাছ গুলো খাওয়ার থেকে দেখেই মন ভরে যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মাছ ধরার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 9 months ago 

এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

 9 months ago 

নৌকায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে আমারও।তাছাড়া আপনি আপনার মামাবাড়ি গিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।তাছাড়া অনেক মাছ পাওয়ায় সবাই দেখতে এসে অবাক হয়েছিল এটা বেশ মজার বিষয়।মাছ ধরতে বেশ মজার, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 9 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।

 9 months ago 

ভাইয়া আপনি দারুন ভাবে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বর্ষাকালে মাছ ধরতে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনার মামা যেইদিন বড় বড় মাছ পেয়েছে আর সেগুলো যখন বাসায় নিয়ে আসলো আসলে ওই সময় টা ভালো লাগারি কথা। আমার কাছেও কাহিনি টা ভালো লেগেছে। তবে আপনারা মাঝ পথে আসার সময় যখন একটা লোক কথা বলছিল তাকে আপনারা উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। মজার ব্যাপার টি হলো আপনার নানা নিজে রান্না করতে পারে এবং ওইদিন সে রান্না করছে।আমার কাছে এটা খুবই ভালো লেগেছে। যাইহোক আপনি চমৎকার ভাবে নিজের মনে অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 9 months ago 

আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 9 months ago 

আপনার মামার সাথে বর্ষাকালে মাছ ধরতে যাওয়ার মুহূর্তগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আরে হ্যাঁ ঠিক বলেছেন যদি অনেক মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরা যায় তাহলে মনের মধ্যে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। আর ওই লোকের কথা শুনে আমারও বেশ খারাপ লাগলো কারণ সব সময় যে ছোট মাছ পাবে তার তো কোনো কথা নেই আর সব সময় বড় মাছ পেতে হবে তারও তো কোনো কথা নেই। আমার মনে হয় যে কোনো ব্যক্তিরই শুধু শুধু এরকম কথা বলার কোন প্রয়োজনই নেই। যাইহোক আপনারা সেদিন পিকনিকের মতো করে সবাই মিলে যে মাছগুলো রান্না করে খেয়েছিলেন এবং খুব মজা করেছিলেন যেন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 9 months ago 

ভাই আপনি আজকের পোস্টে বর্ষাকালে মাছ ধরার স্মৃতিচারণ শেয়ার করেছেন আর আমি আগামীকালকের পোস্টে শীতকালে মাছ ধরার ঘটনা শেয়ার করব। মাছ ধরা শেষে যখন অনেক মাছ পাওয়া যায় তখন সত্যিই অনেক আনন্দ হয়। সবার মুখে হঠাৎ করেই হাসি চলে আসে। ধরে আনা মাছগুলো যখন সবাই এক এক করে দেখতে আসে তখন এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে যায়, এটা ঠিক কথা বলেছেন।

 9 months ago 

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 54357.85
ETH 2282.80
USDT 1.00
SBD 2.31