সাইকেল চালানোর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ// পর্ব- ৩

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


স্কুল জীবনে স্মৃতিময় গল্পের কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। আসলে স্কুল জীবনের সেই দিনগুলো আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত ছিল। বিশেষ করে বন্ধুদের সাথে কাটানো ওই স্কুল জীবনের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে খেলাধুলার সেই মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ আমি প্রতিবারই খেলায় অংশগ্রহণ করেছি। অরেকবার আমি এই খেলায় অংশগ্রহণ থেকে বিজয় লাভ করেছি।আসলে আমরা একজন ছাত্র তিনটা করে খেলা অংশগ্রহণ করতে পারতাম।আর এই তিনটা খেলার বেশি কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। তবে তিনটা খেলাতে অনেকেই বিজয়ী হয়েছে, আর এই বিজয় মুহূর্তগুলো আমাদের স্কুলের একুশে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হতো। তাই সেই দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। তো বন্ধুরা স্কুল জীবনে স্মৃতিময় গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম।ধীর গতিতে সাইকেল চালানোর প্রতিযোগিতা এই গল্পটির আজকে তৃতীয় পর্ব বা শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি।


bicycle-384566_1280.jpg

source

মামাকে সাথে নিয়ে যখন আমাদের স্কুলে মাঠে আসলাম। এসে দেখতে পেলাম প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই আমার বন্ধুরা সকলেই এসেছে এবং তারা এই সাইকেল চালানো ভালোই শিখতে পেরেছে মআমাদের স্যার বলল যারা সাইকেল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছ তারা স্কুলের মাঠের পশ্চিম পাশে যাও। ওখানে তোমাদের রতন স্যার রয়েছে। সে এই সাইকেল প্রতিযোগিতাটি নিজে হাতে দায়িত্ব পালন করছে। তাই আমরা সকলে মিলে মাঠের পশ্চিম পাশে গেলাম এবং সেখানে আমার মামা সাথে গিয়েছে। মামা আমাকে অনেক পরামর্শ দিল। যে মাথা ঠান্ডা রেখে যেভাবে শিখিয়েছি সেভাবেই যেন কাজ করতে হয়। আসলে ধীরগতিতে সাইকেল চালাতে হলে মন ও চিন্তা ভাবনা এই সাইকেল প্রতিযোগিতার মধ্যেই থাকতে হবে। যদি চিন্তা অন্যদিকে চলে যায় তাহলে তুমি এই সাইকেল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারবে না। তাই মামার কথা বলতে আমি সকল কথা মতো অংশগ্রহণ করলাম।


সাইকেল প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়ে গেল, আমি ঠান্ডা মাথায় আস্তে আস্তে চালাচ্ছিলাম। অনেকেই এগিয়ে যাচ্ছিল আমি কারো প্রতিযোগিতায় দিকে না তাকিয়ে আমি নিজে আমার মতো করে সাইকেল চালাচ্ছিলাম এবং মাঠের মাঝে আসার আগে আমি সাইকেলটা একদম দাঁড় করিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম। আবার অল্প অল্প করে চাচ্ছিলাম। অনেকেই দেখি সাইকেল পার হয়ে গিয়েছে এবং আমাদের যে বড় ভাই এর আগে ফার্স্ট হয়েছিল। সে সাইকেল চালিয়ে একটু আগেই তার বন্ধু সাইকেল নাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গেছে। তাই সে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি আর কারো সাইকেল চালানো দেখতে ছিলাম না তখন। আমি আমার মত করে সাইকেল চালাচ্ছিলাম এবং মাঝে মাঝে একটু এগিয়ে আমি মামার পরিকল্পনার মত একদম সাইকেল দাঁড় করিয়ে দেখেছিলাম। আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতাম।


cyclist-4910488_1280.jpg

source

আমি যাদের সাথে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম সকলেই পার হয়ে গিয়েছেম আর যে ভাইকে নিয়ে ভয়ে ছিলাম যে ফাস্ট হবে সে তার বন্ধুর সাইকেলের আঘাতে পড়ে গিয়েছিল।আর সবাই পার হয়ে গেছে।আমি মাঠের মাঝপথে এসে একদম সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম।আর আস্তে আস্কে একটু যাচ্চিলাম আর দাঁড়িয়ে থাকতাম।আমি আমার মত সাইকেল চালাচ্ছিলাম। এর মধ্যে স্যার এসে বলল তোমাকে আর সাইকেল এভাবে দাঁড়িয়ে রাখতে হবে না। তুমি সাইকেল থেকে নামলাম।


স্যার এই কথাটা শোনার পরে অনেক ভয় পেয়ে গেলামম যে আমার সাইকেল চালানোর মধ্যে কি কোন ভুল হলো নাকি। স্যার এভাবে বলছে, পরে স্যারকে বললাম স্যার কি হয়েছে স্যার বলল যে আরে বাবা তুমি তো ফার্স্ট হয়েছে। তোমার সাথে যারা অংশগ্রহণ করেছিল তারা হয়তো পাঁচ মিনিট আগেই পার হয়ে গিয়েছে। আমি দেখতে ছিলাম তুমি কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারো মআসলে তুমি খুবই ভালো সাইকেল চালিয়েছো এবং অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলা তুমি ভালো করেছো।আমি ফার্স্ট হয়েছি, জানতে পেরে এত ভালো লাগতেছিল যা বলার মত না। তখন আমি দৌড়ে মামার কাছে আসলাম। মামাকে জড়িয়ে ধরলাম যে মামা তোমার জন্যই আমি ফার্স্ট হতে পেরেছি। মামা তখন বলল যে আমি তোমাকে দিক নির্দেশনা দিয়েছি, তুমি সর্বোচ্চ করেছো মআমার খুবই ভালো লেগেছে, সত্যিই সেই দিনটা এত আনন্দময় ছিল যে বলার মত না।


স্কুল জীবনে ধীরগতিতে সাইকেল চালানোর এই প্রতিযোগিতায় আমি ফার্স্ট হয়েছিলাম।আর সেকেন্ড হয়েছিল এক বড় ভাই থার্ড হয়েছিল আমার বন্ধু পরে আমি জানতে পারলাম। আসলে আমি ফার্স্ট হওয়ার পরে এত ভালো লাগতেছিল যা বলার মত না। সেই দিনটা আমি অনেক খুশি ছিলাম। মামার কারণে আমি এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হতে পেরেছিলাম। মামা আমাকে এভাবে দিকনির্দেশনা না দিলে আমি ফাস্ট হতে পারতাম না। তাই স্কুল জীবনের সেই প্রতিযোগিতার মুহূর্তের কথা মনে করতে পেরেই খুবই ভালো লাগে। এখনো যদি কোন স্কুলের প্রতিযোগিতা দৃশ্য গুলো দেখি তাহলে সেই দিনের কথা মনে পড়ে যায়। তাই স্মৃতির পাতা থেকে আমার এই গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 3 months ago 

যাক এই গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। যে আপনি আপনার মামার পরিকল্পনা ও টেকনিক কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট হয়েছেন। আসলে কোন প্রতিযোগিতায় বিজয় লাভ হতে পারলে সেই প্রতিযোগিতার সার্থকতা প্রকাশ পায়। আর প্রতযোগীতা অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। সত্যি আপনার গল্পটি অসাধারণ ছিল।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

আপনার লেখা গল্পের আগের পর্বগুলি পড়া হয়নি যদিও তবে শেষ পর্ব পড়ে ধারণা পেয়েছি।আসলে আপনি আপনার মামার পরামর্শ অনুযায়ী সাইকেল চালিয়েছেন বলেই ফার্স্ট হয়েছেন।এটা খুবই কঠিন খেলা ,আমাদের স্কুলেও হতো ।যাইহোক ব্যালেন্স ঠিক রাখতে রাখতে আপনি হয়তো খেয়াল করেননি সবাই আগেই পার হয়ে গিয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67646.55
ETH 3796.22
USDT 1.00
SBD 3.52