নাটোরে গ্রিন ভ্যালি পার্কে ভ্রমণের সেই মুহূর্তগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছিলো।আসলে আর্টিফিশিয়াল ভাবে এই পার্ক তৈরি করা হয়েছে। আর মানুষের তৈরি পার্ক এত সুন্দর হবে সেটা কল্পনাও করিনি। মানুষের তৈরি পার্কের ভিতর প্রকৃতির অনেক সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো তারা ফুটিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে গাছপালা ও সবুজ প্রকৃতির এই দৃশ্যগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। অনেক ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। আর এত সুন্দর ভাবে পার্ক সাজানো ছিল যা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে।তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই পার্কের ভ্রমণের তৃতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি। আশা করছি আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক তৃতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখা।

একটি গোল চত্তরের মধ্যে চারিদিকে সবুজ প্রকৃতি ও মাঝখানে একটি হরিণের মাথার ভাস্কর্য তৈরি করা আছে। সাদা এই হরিণের ভাস্কর্যটি দেখে এত ভালো লেগেছে আমার যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়, কারণ চারদিকে সবুজ প্রকৃতির গাছপালা ছিল। আর পাতা ভারি এই গাছের মধ্যে হরিণের ভাস্কর্য যেন ফুটে উঠেছে। এই দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।

বিশাল বড় জায়গা নিয়ে এই পাতাবাহারি গাছের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। আসলে এই পাতাবাহারি গাছের ভিতরে রয়েছে লোহার তৈরি রাস্তা ডিজাইন।আর এই লোহার উপরে পাতাগুলো এমন ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। যা দেখেই কেউ বুঝতে পারবে না এটি লোহার তৈরি। খুবই সুন্দর লেগেছে এই দৃশ্যগুলো দেখে। আসলে একদম নিরিবিলি এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এই জায়গাটিতে দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সবুজ গাছের এই দৃশ্যগুলোর মাঝে মুহূর্তগুলো আমার অনেক আনন্দময় ছিল। তাই আমি ফটোগ্রাফি করতেছিলাম আর এই মুহূর্তগুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করতেছিলাম।

একটি গেট রয়েছে, যা সবুজ দৃশ্যে ঘেরা। আর এই সবুজে ঘেরা গেটটির ভিতর দিয়ে আমি প্রবেশ করলাম। ফুলের রাজ্যে, সত্যিই এই ফুলের রাজ্যটি যেন দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। সবুজ এই গেটের ভিতর দিয়ে অনেক বড় একটি ফুলের বাগানে আসলাম, আর এই ফুলের বাগানের দৃশ্যগুলো দেখতে আরো ভিতরে প্রবেশ করলাম।

এই ফুলের বাগানটি বিশাল বড় ছিল, আর এখানে বিদেশি জাতের সকল ফুল এত সুন্দর ভাবে ছিলো, যে ফুলগুলো দেখে আমার মন খুশিতে মেতে ওঠেলো। খুবই সুন্দর ভাবে এই ফুলগুলো লাগানো হয়েছে। আর ফুলগুলোর এত পরিচর্যা করা হয়, যার কারণে দেখতে ভালো লাগে। আসলে এই ফুলের দুই পাশে ছিল ভাস্কর্য। আর এই ভাস্কর্যগুলো ছিল অনেক সুন্দর বিশেষ করে বিদেশি জাতের ফুলের এই বাগানটি আমি মন ভরে দেখতে ছিলাম।

কিছু কার্টুনের আমি ভাস্কর্য দেখলাম।আসলে এই ভাস্কর্যগুলো ছোট বাচ্চারা দেখলে অনেক আনন্দিত হবে। কারণ এত সুন্দরভাবে এই ভাস্কর্যগুলো দেখে যেনে ভালো লাগলো। কার্টুনগুলো তৈরি করে রেখেছে। এই পার্কের ভিতর আর এই ফুলের বাগানের সাথে এই ভাস্কর্যটি যেন অনেক সুন্দর মানিয়েছে। দেখে তাই আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে এত সুন্দর এবং পরিকল্পনা নিয়ে এই পার্ক তৈরি করেছে যা দেখলেই ভালো লাগে।

আমি এই ফুলের বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করতে লাগলাম। আসলে আমার সেই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমি ফুল অনেক পছন্দ করি। যার কারণে এই পার্কের ভিতরে বিশাল বড় এই ফুলের বাগান দেখতে পেয়ে সেখানে আমি অনেকক্ষণ সময় পার করেছি। আর আমি নিজেও ফটোগ্রাফি করেছি। আর এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আসলে ফুলের এই দৃশ্যের মাঝে এসে যেন ফুলের রাজ্যে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম।