শীতের দিনে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস খাওয়া নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘটে যাওয়া গল্প//পর্ব-১//[১০% @shy-fox ]🌹
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বন্ধুদের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সেই স্মৃতিগুলো মনে করতে পেরে যেন খুবই ভালো লাগে। আসলে বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে থাতে। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে কলেজ জীবন পর্যন্ত এর মধ্যে বন্ধুদের সাথে আনন্দময় মুহূর্ত গুলো খুব মনে পরে। আসলে বন্ধুদের সাথে আনন্দময় মুহূর্ত গুলো কখনো ভোলা যায়না। আর বন্ধু ছাড়া লাইফ যেন চলতে পারে না। আসলেই বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল। কারণ জীবনে আনন্দময় মুহূর্ত গুলো বন্ধুদের সাথেই হয়ে থাকে। আর যার বন্ধু নেই সে জীবনে আনন্দ মজা উপভোগ করতে পারেনি। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি শীতকালে বন্ধুদের সাথে খেজুর রস খাওয়া নিয়ে একটি সুন্দর গল্প। আশা করছি এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে, তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক,,,।
সময়টা ছিল ২০২০ সাল আমরা সকল বন্ধুরা তখন গ্রামে বসবাস করতাম, আর গ্রামে বসবাস করার মধ্যে রয়েছে অনেক আনন্দ। বন্ধুরা সবাই মিলে বিকেলবেলা আড্ডা, খেলাধুলা, কত আনন্দময় মুহূর্ত ছিলো। আমার বন্ধু হাসান একদিন আমাদের বাড়িতে আসলো। বলল যে শুক্রবার সকালে আমরা উল্লাপাড়া যাব খেজুরের রস খাওয়ার জন্য। আর উল্লাপাড়াতে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য অনেক ভিড় জমে। আসলে খেজুর রসের এই ঐতিহ্যবাহী জায়গা উল্লাপাড়ার পাশে,আর এই খেজুরের রস খাওয়ার জন্য আমাদের একদম সকাল বেলা রওনা দিতে হবে, শীতের মধ্যে সকাল বেলা রওনা দেওয়া খুব কষ্ট। তারপরে বন্ধুরা সবাই রাজি হলাম, আমরা সকলেই একসাথে গিয়ে সেখান থেকে আমরা গাছে উঠে খেজুরের রস পারব এবং একদম অরজিনাল খেজুরের রস খাবো, এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ হবে, তাই আমরা সবাই রাজি হলাম।
তাই খেজুরের রস খাওয়ার জন্য আমরা শুক্রবার এর সকালবেলা বের হব বলে সকলকে জানানো হলো। আমরা চারজন বন্ধু যাব, দুটি মোটর সাইকেল নিয়ে। আমার বন্ধু হাসানের একটি মোটরসাইকেল রয়েছে এবং সুজনের একটি মোটরসাইকেল রয়েছে, আর এই সকাল বেলা মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার জন্য আমরা পরিকল্পনা করলাম। একদম ফজরের নামাজ পরে আমরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলাম।ঘুম থেকে উঠে আমরা চার বন্ধু এক জায়গায় হলাম এবং শীতের যত পোশাক রয়েছিল সবাই পড়লাম, কারণ মোটরসাইকেল করে এত সকালবেলা অনেক শীত লাগে। তাই আমরা মোটরসাইকেল করে যাত্রা শুরু করলাম। রাস্তায় অনেক কুয়াশা ছিল, আমি হাসানকে বললাম সাবধানে আস্তে আস্তে চালায় এবং হাসান মোটর সাইকেলের হেডলাইট জ্বালিয়ে আস্তে আস্তে যাত্রা শুরু করলো। সত্যিই এত সকালবেলা আমরা যখন আসলাম,যখন হাই রোডে উঠলাম তখন দেখতে পেলাম আমাদের মতো অনেকেই এই খেজুরের রস খাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছে।তাদের সাথে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতে করতে যাত্রা শুরু করলাম। এত ভালো লাগতেসিলো এই শীতের মধ্যে কষ্ট করে যাচ্ছি এটা মনে হচ্ছিল না। শুধু মুহূর্তগুলো উপভোগ করতেছিলাম।
তারপরে আমরা যখন মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন হাসান বলল যে আমি তো এবার প্রথম যাচ্ছি, ওখানে খেজুরের রস কিভাবে কি বিক্রি হয়। সেটা তো আমি জানি না, তখন আমাদের পাশে যে আর অন্যরা ছিল তখন তারা আমাদের বলল, যে আমরা এর আগেও গিয়েছিল, ওখানে অনেক মজা হয়, সারি বেঁধে খেজুরের গাছ রয়েছে এবং প্রত্যেকটা গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়।অনেক খেজুরের বাগান রয়েছে। আপনি চাইলে আপনি নিজেও গাছে উঠতে রস সংগ্রহ করতে পারবেন। আবার এই খেজুরের রস দিয়ে আমাদের সামনে তারা খেজুরের গুড় বানিয়ে দেয়। আমরা সেখানে যদি অপেক্ষা করি, সত্যিই এই কথাগুলো শুনতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আমরা বললাম ঠিক আছে আমরা ওখানে থাকবো এবং খেজুর রস খাবো, আর অরজিনাল খেজুর রস দিয়ে গুড় বানিয়ে নিয়ে আসবো।তাই আমরা আবারও যাত্রা শুরু করলাম, আমাদের সিরাজগঞ্জ শহর থেকে উল্লাপাড়া এখানে আসতে এক ঘণ্টা সময় লাগে মোটরসাইকেলে।
অবশেষে প্রায় একঘন্টা মোটরসাইকেল চালিয়ে আমরা উল্লাপাড়ায় এই খেজুরের বাগান এর পাসে আসলাম। খেজুর বাগানের পাশে এসে আমি যেন মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর পরিবেশ আর খেজুর গাছের দৃশ্য গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি আমরা এখানে গিয়ে রাস্তা পাশে কিছু খজুরের গাছ দেখে ভাবতে লাগলাম খেজুরের রস হতো এখানেই সংরক্ষণ করা হয়। তখন আমার এক বন্ধু বলল যে আরো সামনে গেলে আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবে। তাই আমরা আবারও একটু সামনে এগিয়ে গেলাম।সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম সারি বেঁধে যেন খেজুরের বাগান, আর সকলেই যেন এই সকালবেলা খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রত্যেকটা খেজুর গাছের সাথে একজন করে মানুষ রয়েছে। এখানে আসলে প্রতিদিন খেজুর রস বিক্রি করা হয়। আর অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ খেজুরের রস খাওয়ার জন্য আসে।মূহুর্ত গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাই আমরা একটি খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য খেজুর গাছে মালিকের সাথে কথা বলতে লাগলাম।
গল্পটি চলমান,,,,,,।
সত্যি আমাদের সবার জীবনে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে বিশেষ করে বন্ধুদের নিয়ে। আপনি তো দেখছি ২০২০ সালে বেশ ভালই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। শীতকালের ওই সকালটিতে যেদিন আপনারা খেজুরের রস খাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। শীতকালে আসলে আমিও মাঝেমধ্যে বের হই সকাল সকাল খেজুরের রস খাওয়ার জন্য। এভাবে বন্ধুদের সাথে মজা করতে করতে খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মুহূর্তটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
বন্ধুদের সাথে সবার কোন না কোন ঘটনা জড়িয়ে আছে। বন্ধুদেরকে নিয়ে অনেক স্মৃতি মাখা ঘটনা আছে। এগুলো ভোলার নয়। এখন তো সবাই যার যার কাছে ব্যস্ত। অনেকদিন পর পর সবাই এক হওয়া হয় তখন খুব ভালো লাগে। আপনি মনে হয় 2020 সাল খুব ভালোই কাটিয়েছেন। বন্ধুদের সাথে খেজুরের রস খেতে উল্লাপাড়ায় গিয়েছিলেন। সকাল সকাল খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা কুয়াশার ভিতরে।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻🌹
উল্লাপাড়া অদ্ভুত নাম তো।অতীতের স্মৃতিগুলো আসলেই স্মরণ করলে ভালো লাগে।তাছাড়া আপনি এবার যেতে পারেননি জেনে খারাপ লাগলো।আপনারা খেজুর রস খাওয়ার জন্য অনেক দূরের পথ গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো, খেজুর গুড় খেতেও বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের সকলের জীবনে এমন অনেক স্মৃতি আছে যা আমাদের মনে সব সময় নাড়া দেয়। বন্ধুদের নিয়ে স্মৃতিগুলো রোমন্থন করতে খুব ভাল লাগে। ২০২০ সালে ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। বন্ধুদের নিয়ে খেজুরের রস খেতে গেলেন আর খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন শুনে ভাল লাগলো। সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।