অনেক দিন পর আমাদের গ্রামের হাটে এসেছিলাম।হাটে এসে অনেক ভালো লেগেছে। কারণ ছোট বেলা এই হাটে বাবার সাথে আসতাম।হাটে আসার জন্য বাবার কাছে বায়না করতাম,যে বাবা আমি হাটে যাবো।বাবা নিতে চায়তোনা কারণ হাটে যেতে হতো হেঁটে।যাইহোক,এই গল্প পরে একদিন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে ইনশাআল্লাহ।আজকে আপনাদের মাঝে আমাদের হাঁটের সবজি বাজারের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি।আসলে হাটে যে সব সবজি পাওয়া যায় সেগুলো টাটকা হয়।কারণ গ্রামের মানুষ এই সবজি গুলো তাদের ফসলের জমিতে চাষ করে।তাই এই টাটকা সবজি গুরো খেতে খুবি মজাদার হয়।তো বন্ধরা চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে শুরু করা যাক,,,,।

প্রথমেই আমি একটি সবজির দোকানে আসলাম। এসে দেখতে পেলাম সেই সবজির দোকানে শীতের প্রধান সবজি আমার প্রিয় ফুলকপি দেখতে পেলাম। আর তার সাথে ছিলো গাজর।আর গাজর আমার খুবি প্রিয়।গাজর এর হালুয়া আমি খুবি পছন্দ করি।তাই এই হাটে গাজর দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে, আর গাজর গুলো খুবি ভালো মানের ছিলো।তাই আমি গাজর কিনলাম প্রতি কেজি গাজরের এর দাম ছিলো ৩০ টাকা করে।আমি ৬০ টাকা দিয়ে ২ কেজি গাজর কিনেছিলাম।

আসলে অনেক দিন পর গ্রামের হাটে এসেছি তাই সবজির বাজরের দৃশ্য গুলো হেঁটে হেঁটে দেখছি আর ফটোগ্রাফি করছি।তারপরে অন্য দোকানে আমি আসলাম।সেখানে দেখতে পেলাম টমেটো, আর এই টমেটো গুলো আমাদের পাশের গ্রামের আর বড় ভাইয়ের জমিতে চাষ করা, তাই তার টমেটো দেখে খুবি কিনতে ইচ্ছে হলো তাই কিনতে গেলাম ভাই বললো তোর টাকা দিতে হবে না, এমনি নিয়ে যাও।টমেটো গুলো অনেক ভালো মানের ছিলো।

তারপর আমাদের গ্রামের সালাম চাচার সাথে দেখা, সালাম চাচা অনেক দিন আগে থেকে সবজির ব্যবসা করে। চাচা আমাকে দেখে বললো তুমি সবজি কিনতে এসেছো কিকি লাগবে বলো।অনেক দিন পর তোমাতে হাটে দেখলাম।ছোট বেলা তোমার বাবা সাথে হাটে এসে আমার দোকানে বসে জিলাপি খেতা মনে আছে।চাচা কথা শুনে ছোট বেলায় ফিরে গেলাম।চাচাকে বললাম জি চাচা মনে আছে।তাই চাচা কাছে থেকে সিম ও লেবু কিনলাম।চাচা বললো টাটা যা মন চাই দাও না হলে না দাও।চাচা মনটা অনেক বড়।চাচা পাশে আর সবজি দোকানদকররা ছিলো তাদের সাথে চাচা আমার ছোট বেলার গল্প শেয়ার করতে ছিলো।

তার পর গেলাম রহিম দাদার দোকানে। আসলে এই রহিম নানা আমাদের মামা বাড়ির পাশেই বাড়ি।আমান নানা সাথে সে বন্ধু মতো মিশতো।তাই ছোট বেলা থেকেই নানা বলি।তাই দেখলাম নানা সাথে দেখা করে যায়।আমার নানাতো মারা গেছেন।তার সাথে দেকা হলে তাও ভালো লাগবে।তাই নানা দোকানে আসলাম।নানার দোকানে এসে দেখি নানা খুবি ব্যস্ত। দোকানে খুবি ভির।সততার সাথে ব্যবসা করলে মানুষ তো আসবেই।তারপর নানার সাথে দেখা করে গল্প করলাম।সময়টা ভালোই কাটলো।

সবজির বাজারের শেষের দিকে চলে এসেছি।আসলে আমাদের এই হাটের সবজির বাজারটা অনেক বড়।শেষের দিকে এসে দেখলাম একটা সবজি দোকানে সবজি বিক্রেতা নেই, আসলর গ্রামে বলে এই দোকান থেকে কেউ সবজি নিয়ে যাচ্ছে না।শহরে এভাবে রেখে কম মানুষ ভরসা পায়।তাইহোক আমি সেই সবজির দোকানের পাশে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে ছিলাম কখন এই দোকানদার আসবে।কারণ তার দোকান থেকে ধনিয়াপাতা কিনবো বলে।