আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার স্মৃতির পাতায় ভ্রমণের মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে আসলাম। আসলে আমি অনেকদিন আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকাতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। আর এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আমি বিকেলবেলা অসাধারণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। সমুদ্রের পারে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করেছি। আর এই সমুদ্রর পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রকৃতির মাঝে অনেক আনন্দের সাথে মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছিলাম। সেই মুহূর্তগুলো ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম। আজকে সেই অ্যালবাম থেকে আপনাদের মাঝে আমি ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে আসলাম। আসলে শীতের সময় সমুদ্র সৈকতে যেন হাজার মানুষের আনাগোনা দেখতে পাওয়া যায়। আর এই সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য যেন ফুটে ওঠে। তাই আপনাকে আপনাদের মাঝে সেই স্মৃতির পাতায় রাখা ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আশা করছি আমার ভ্রমণের মুহূর্তও ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।

সমুদ্র সৈকতে বিকেলবেলা গিয়েছিলাম সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য। আর এই সূর্যাস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমায়। আর বিকেল বেলা এই অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলোর মাঝে আমি বালুর উপর দিয়ে হাঁটতে ছিলাম। আর সূর্য অস্ত যাওয়ার এই দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম। সত্যিই এই মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল।

বিকেলবেলা দেখতে পেলাম অনেকেই এই সমুদ্রের পাড়ে বালুর উপর দিয়ে হাঁটছে এবং খেলাধুলা করছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের তারা খেলাধুলায় মেতে উঠেছে, সাইকেল চালাচ্ছে। আসলে বালুর এই সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো অসাধারণ। সমুদ্রের পানি ঢেউ যেন এই বালুগুলোকে এক নিমিষেই মিশিয়ে দেয়। আর এই দৃশ্যগুলো খুবই ভালো লাগে। বিকেলবেলা দেখতে পেলাম অনেকেই সমুদ্রের পানিতে খেলাধুলা করছে। আসলে সমুদ্রের এই সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।

বিকেলবেলা সমুদ্রের পাড়ে দেখতে পেলাম, আকাশটা যেন লাল বর্ণ ধারণ করেছে। সূর্য এখন অস্ত যাবে। সূর্য আস্তে আস্তে পশ্চিম আকাশে ডুবতে শুরু করেছে। আর সমুদ্রের পানির মাঝে এই অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যের মধ্যে দেখতে অনেকেই এসেছে। আসলে সূর্য অস্ত যাওয়ার এই দৃশ্য অসাধারণ লাগে আমার কাছে।তাই সমুদ্রের পাড়ে এই সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম।

সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢুকতে শুরু করেছে। সূর্য অস্ত যাচ্ছে আর এই মুহূর্তে দেখে খুবই ভালো লাগলো। মনে হচ্ছিল যেন এই সূর্য সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাচ্ছে। কি অপরূপ সুন্দর দৃশ্য। সত্যি এই দৃশ্য না দেখে কখনোই কল্পনা করা যায় না এবং এর অনুভূতি শেয়ার করা যায় না। যখন আমি দেখতে ছিলাম তখন এত ভালো লাগতেছিল, সকলেই একসাথে দেখতে পেয়ে আর বেশি ভালো লাগতেছিলো।

সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে আমি সমুদ্রের পাড় থেকে উপরে চলে আসলাম উপরে এসে দেখতে পেলাম চারদিকে লাল এবং গাছপালার এই অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য। সন্ধ্যা নেমে আসলো, আর সন্ধ্যার সময় চারপাশে প্রকৃতি যেন এক অন্যরকম লাগতে ছিলো।

পাড়ে এসে দেখতে পেলাম মাছ বিক্রি করছে। আর সমুদ্রের এই বিভিন্ন মাছ বিক্রি করা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এই মাছ গুলো ফ্রাই করে খাওয়া হয়। এই দোকানেই ফ্রাই করে দেয় তাই মাছ ফ্রাই খেতে খুবই মজা লাগে। বিশেষ করে সমুদ্রের মাছ ফ্রাই যে খেয়েছে সে বারবার খেতে চাইবে। তাই এই সমুদ্রের পারে মাছ বিক্রি করার দৃশ্যগুলো দেখতে লাগলাম এবং আমরা একটি মাছ কিনলাম। আমরা রূপচাঁদা মাছ কিনেছি ফ্রাই করার জন্য।

আমরা একটি বড় রূপচাঁদা মাছ কিনেছি ১০০০ টাকা দিয়ে। আর এই মাছটি তারা খুবই সুন্দর ভাবে ফ্রাই করে দিচ্ছিলো। আসলে এই ফ্রাই করার দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। তাই আমি ফটোগ্রাফি করতে লাগলাম। আর এই ফ্রাই খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। তাই আজকে আপনাদের মাঝে সমুদ্রের পাড়ে ভ্রমণের মুহূর্তের দৃশ্যগুলো শেয়ার করলাম।