বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সেই স্মৃতি দিনগুলো আজ খুবই মনে পড়ছে। আসলেই স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো কখনোই ভুলা যায় না। এখনো যেন সেই দিনের কথা মনে পড়ে যায়। আর স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে সবচাইতে আনন্দময় মুহূর্তে উপভোগ করেছি। তাই আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে অনেক আনন্দের সাথে সেই দিনগুলো পার করেছি।স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত নিয়ে অনেক গল্প আমাদের জীবনে রয়েছে। তাই আমার জীবনের গল্প থেকে একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের তৃতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি তৃতীয় পর্বটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন আমার বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তের সেই গল্পটি পড়া শুরু করা যাক।

আমরা চার বন্ধু মিলে যখন আমার প্রিয় বন্ধু রফিকের সাথে দেখা করার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেই ভ্রমণের মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল। কারণ আমরা ট্রেনে অনেক আনন্দময় মূহুর্ত উপভোগ করলাম এবং ট্রেন থেকে নেমে একটি সিএনজি নিয়ে যখন রফিকের বাসার সামনে আসলাম। রফিক আমাদের দেখে জড়িয়ে ধরল সত্যি বন্ধুকে অনেকদিন পর এভাবে দেখে খুবই ভালো লাগলো। বুকের মাঝে বন্ধুকে নিয়ে যেন এক অন্যরকম শান্তি পেলাম। বন্ধু খুবই খুশি হলো সে তাড়াতাড়ি আমাদের সকল বন্ধুদের সাথে হাত মিলালো এবং সবাইকে সাথে নিয়ে ওর বাসায় চলে গেলাম। প্রথমে ওর বাসায় গিয়ে আমরা বিশ্রাম করব, তাই ওই বাসা দিকে রওনা দিলাম।

বন্ধুর বাসায় আসলাম, বন্ধুর বাসায় পরিবেশ খুবই ভালো ছিল কারণ তারা মিরপুর দুইয়ে থাকে। আর মিরপুর ২ এর বাসা গুলো খুবই সুন্দর। বন্ধুর বাসায় গিয়ে আমরা রেস্ট করলাম। তারপর দেখি বন্ধু অনেক খাবার আয়োজন করেছে। বন্ধুর আম্মু, আব্বু খুবই ভালো মনের মানুষ। তাদের সাথে আমরা অনেকে অল্প করলাম এবং বিকেলবেলা বন্ধুর বাবা এবং বন্ধুর সাথে নিয়ে আমাদের মিরপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাবে।আর আমার এই মিরপুর চিড়িয়াখানায় প্রথম যাওয়া হয়েছিল। তখনই বন্ধুদের সাথে নিয়ে একসাথে এভাবে মিরপুর চিড়িয়াখানা যাওয়ার অনুভূতি ছিল অসাধারণ।

মিরপুর চিড়িয়াখানার গেটে আসলাম। গেটে এসে দেখতে পেলাম অনেক মানুষের ভিড়ম এটাই আমার প্রথম মিরপুর চিড়িয়াখানায় আসা। তবে মিরপুর চিড়িয়াখানা সম্পর্কে অনেক বার শুনেছি। সেখানে সকল রকমের পশু পাখি রয়েছে। তাই দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। আজকে যখন প্রথম আসলাম খুবই ভালো লাগলো। বন্ধুর বাবা টিকিট কাটলো। আমরা পাঁচ বন্ধু এবং বন্ধুর বাবা একসাথে সেই মিরপুর চিড়িয়াখানায় ঢুকলাম।মিরপুর চিড়িয়াখানায় ঢুকিয়ে দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর সুন্দর পশু পাখির। বিশেষ করে আমি ময়ূর পাখি দেখতে পেলাম আর ঘোড়া দেখতে পেলাম। খুবই ভালো লাগলো সত্যিই অসাধারণ ছিল সেই মূহুর্ত। আমি বাঘ দেখার জন্য বারবার বলছিলাম যে বন্ধু বাঘ কোথায় আছে। বন্ধুর বাবা বলল যে বাঘ দেখতে হলে আরেকটু সামনে যেতে হবে। তাই আমরা বাঘ দেখার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।