ছোটবেলা বাবার সাথে যমুনা নদীর পাড়ে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-৩
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
প্রতিটা সন্তানদের কাছে বাবারা একটা জীবনের অংশ হয়ে থাকে। আসলে বাবা ছাড়া জীবনটা যেন কল্পনা করা যায় না। মরুভূমিতে যেমন একা ছেড়ে দিলে মানুষ তার জীবনকে নিয়ে অনেক সংশয় পড়ে যায়, জীবনটাকে কিভাবে সাজাবে সেটা নিয়ে যেন দিশেহারা হয়ে পরে। তেমনি বাবা ছাড়া যেন কোন কিছুই ঠিকভাবে চলতে পারে না। তাই বাবারা সবসময় সুপার হিরোর মত তার সন্তানকে সাহায্য করে যায়। জীবনের হাজারো কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে। হাজারো যন্ত্রণার মধ্যে থেকেও যেন সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে। আসলে বাবারা সবসময় তাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে কিভাবে তারা সন্তান সুখে থাকবে এবং শান্তিতে থাকবে, সে কোথায় যেন তার মাথার ভিতরে সব সময় কাজ করে।তাই প্রত্যেকটা বাবা সন্তানদের জন্য অপরিসীম ভূমিকা রাখে। বাবা ছাড়া যেন পথহারা দিশার মতো মানুষের জীবন হয়ে যায়। তাই বাবাদেরকে সম্মান করা আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব-কর্তব্য। বাবাদের নিয়ে হাজারো গল্প রয়েছে আমাদের জীবনে। সেই গল্প থেকে একটি স্মৃতিময় গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের ৩য় পর্ব নিয়ে এসেছি।
বাবার সাথে নদীতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। আর এই যমুনা নদীর অপরূপ সুন্দরময় দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে এবং নৌকায় করে ভ্রমণ করেছি। ট্রলারে ও জাহাজে উঠেছিলাম, তারপরে নদীর পাড়ে ছোট ছোট স্পিড বোর্ড ছিল। বাবা বলল স্পিডবোর্ডে নিয়ে আমাকে ঘুরাবে। তাই আমি সেই স্পিডবোর্ড এর কাছে আসলাম এবং স্পিডবোট ১২ জন মানুষ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তাই আমরা যখন 12 জন হলাম তখন যাত্রা শুরু করল, প্রত্যেক জনের ভাড়া ছিল তখন ২00 টাকা করে। যাই হোক অনেকক্ষণ ঘুরাবে।আমি প্রথমে স্পিড বোর্ড চড়বো তাই অন্যরকম একটা অনুভূতি আমার ভিতরে কাজ করতেছিল। বাবাকে আমি শক্ত করে ধরেছিলাম, আমি বাবার কোলের মধ্যে বসে ছিলাম।
স্পিডবোট যখন যাত্রা শুরু করলো তখন আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম। কারণ স্পিডবোর্ড অনেক স্পিডে চলতেছিল নদীর মধ্যে দিয়ে। নদীর পানি গুলো যেন দু দিক দিয়ে উঁচু হয়ে ছিল। আর আমি ভয়ে বাবাকে শক্ত করে ধরেছিলাম। বাবা বলেছে ভয় পেয়ো না, আমি তো আছি, আসলে স্পিডবোট এত স্পিডে চলবে সেটা আমি কখনো ভাবিনি অনেক স্পিডে চলতেছিল। যার কারণে এই প্রথম প্রথম অনেক ভয় পেয়েছিলাম। তারপরে যখন নদীর মাঝখানে আসলো তখন একটু ভয় কম হলো। তবে নদীর উপর দিয়ে চলার সময় যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করতে ছিল। বিশেষ করে মনের ভিতর ভয় করতেছিল,আর মনে মনে ভাবতে ছিলাম কখন এখান থেকে নামবো।
তারপর স্পিডবোট থেকে নামলাম, স্পিডবোট থেকে নামার সময় খুবই ভালো লাগলো। কারণ অনেকে ভয় পেয়েছিলাম। কখন নামবো যার কারণে নামতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। তারপরের স্পিডবোর্ড থেকে নেমে আমি দেখতে পেলাম নদীর কিনারায় আইসক্রিম বিক্রি করছে। তাই বাবাকে বললাম আইসক্রিম খাব, বাবা আমাকে আইসক্রিম কিনে দিল এবং আইসক্রিম খেতে খেতে নদীর আরেকটু সামনে গিয়ে দেখতে পেলাম সেখানে থেকে মাছ ধরা, সেই দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এখান থেকে ইলিশ মাছ ধরছিল। আর এই ইলিশ মাছগুলো নদীর কিনারায় যেন বিক্রি হচ্ছিল, সকলেই নদীর টাটকা মাছ কেনার জন্য ভিড় জমিয়ে ছিল, আমরা সেখানে গেলাম, বাবা ও সেখানে মাছ কেনার জন্য দামাদামি করতে লাগলো।
https://twitter.com/rayhan111s/status/1698237901426118878?t=pg3-dEa7IjKDWn4Q3q8RAQ&s=19
বাবার সাথে যমুনা নদীতে ঘুরতে যাওয়ার আজ ৩য় পর্ব আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই পর্বে আপনি আপনার বাবার সাথে স্পিডবোটে উঠেছেন এবং সেখানে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন।স্পিডবোটের স্পিড অনেক বেশি থাকায় আপনি একটু ভয়ও পেয়েছেন। কিন্তু অনেক বেশি মজা করেছেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি বাবার সাথে স্পিডবোটে ওঠার এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে ঘুরাঘুরি করার স্মৃতিগুলো বেশ চমৎকার। এই স্মৃতিগুলো যেন কোনভাবেই ভোলা যায় না। আপনার বাবার সঙ্গে আপনি ছোটবেলায় যমুনা নদীর পারে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনারা নদীতে স্পিডবোর্ডে ও চড়ে ছিলেন। বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়ে।
আমার আগে ধারনা ছিলো ইলিশ শুধু পদ্মা আর সমুদ্রেই পাওয়া যায় । মাঝে মাঝে অবাক হই যে কত কিছু জানিনা।যাই হোক আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য