বন্ধুর সাথে ভ্রমণ ও মাছ ধরার স্মৃতিময় গল্প//পর্ব- ২ ও শেষ পর্ব //

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এই স্মৃতির পাতা থেকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করছি। আজকে সেই গল্পটি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আসলে বন্ধুদের সাথে অনেক মজা করেছি। তাই আমরা দুই বন্ধু মিলে আমার অন্য বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম বন্ধুরা তাদের রাস্তার পাশের পুকুরে মাছ ধরছে। আর এই মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমাদের মাছ ধরার খুব ইচ্ছা জাগল। তাই আমরা সাইকেল থামিয়ে তিন বন্ধু মিলে এই পুকুর থেকে মাছ ধরতে ছিলাম। সত্যি মাছগুলো চাষকৃত ছিল। যার কারণে একসাথে সবাই মিলে মাছ ধরার মুহূর্তে অনেক আনন্দের ছিল। তো বন্ধুরা চলুন সেই মাছ ধরার গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।


মাছ ধরার জন্য আমি হাসান যখন পুকুরে নামলাম।তখন খুবই ভালো লাগতেছিল। আসলে এ ভাবে মাছ ধরার মুহূর্তে অনেক আনন্দের। মানিকের চাচা পুকুরে অনেক বড় বড় মাছ ছিলো।বড় জাল দিয়ে মাছ ধরতে ছিলো।যখন জাল টেনে মাছ গুলো কাছে আনা হলো তখন মাছ গুলোর লাফালাফি দৃশ্য দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার। দৃশ্যটি অসাধারণ ছিলো।তারপর মাছ গুলো আমি হাসান আর মানিক ধরতে ছিলাম।বড় বড় মাছ ছিলো তাই ধরে রাখতে পার ছিলাম না।ছুটে যাচ্ছিলো।অনেক আনন্দের সাথে তিন বন্ধু মিলে মাছ ধরতে ছিলাম।


bike-g67396c7fb_1920.jpg

source

তিন বন্ধু মিলে অনেক আনন্দের সাথে পুকুরে মাছ ধরতে ছিলাম। সত্যি খুবই ভালো লাগতেছিল। অনেক বড় বড় সিলভার কাপ মাছ ছিল। আর এই সিলভার কাপ মাছ গুলো ধরতে গিয়ে অনেক আনন্দ হচ্ছিল। কারণ বারবার আমাদের কাছ থেকে মাছগুলো ছুটে যাচ্ছিল এবং মাছগুলো যখন ধরতে ছিলাম তখন খুবই ভালো লাগতেছিল।একটি বড় মাছ এসে আমার পায়ে ধাক্কা মারলো। আমি তখন ভয় পেয়ে গেলাম। হাসানকে বললাম দেখ একটা মাছ আমার পায়ে নিচে রয়েছে। মাছের মাথা ওপরে আমার পা দিয়ে চেপে ধরেছিলাম।তখন হাসান আমার পায়ের কাছে গিয়ে দেখতে একটি বড় বোয়াল। মাছ কি বড় ছিলো।হাসান এই বোয়াল মাছের মুখের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে মাছটি ধরলো। যার কারণে মাছের দাঁতের সাথে হাসানের হাত কেটে গেল। তারপর হাসান হাসান মাছটি ছাড়ে নাই।


এই মাছটি ধরার পরে হাসানের হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। যার কারণে মানিকের চাচা বলল যে তুমি আর মাছ না ধরে পুকুর পাড়ে বসে থাকো তখন হাসান বসে ছিলো। আমি তখন মানিকের সাথে মাছ ধরতে ছিলাম। এই পুকুরে অনেক বড় বড় মাছ। আর বোয়াল মাছ গুলো পুরনো ছিলো সিলভার কাপ মাছ ধরতে ছিলাম এবং অনেকক্ষণ ধরে মাছ ধরলাম।অবশেষে মাছ ধরা শেষ হলো। অনেক মাছ হলো। আর এই মাছগুলোর ছোট একটি ট্রাকে করে সিরাজগঞ্জ বাজারে বিক্রি করা হবে। মানিকের চাচা আমাদের বলল যে তোমাদের কোন কোন মাছ গুলো পছন্দ। তোমরা একটি করে বড় মাছ দেবো হাসানকে বলল তুমি যে মাছ ধরতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছো, এই মাছটি তোমাকে দেওয়া হলো। আর সেই পুকুরে দশটির মতে বোয়ার মাছ ছিলো। মানিকের চাচা আমাকে বললো তুমি কোন মাছটি নিবা।আমি কিছু বললাম না।


landscape-gf2d9bb08c_1920.jpg

source

তখন মানিক তার চাচাকে বললাম চাচা আমাদের তিনজনকে একটি করে বোয়াল মাচ দিন। যেহেতু হাসানকে একটা বোয়াল মাছ দিয়েছেন।তাই মানিকের কথা মত মতার চাচা বললো ঠিকই। তোমাদের তিনজনকে একটি করে বোয়াল মাছই দেবো তখন আমাকে একটা করে বড় বোয়াল মাছ দিলো।তিন বন্ধুর তিনটি বোয়াল মাছ পেয়ে খুবি খুশি ছিলাম।অনরক আনন্দের সাথে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। মানিক বলল আমাদের বাড়িতে চল যাই আজকে বললা আজকে বাড়িতে যাই আগে।


বন্ধুদের সাথে এই মাছ ধরার মূহুর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল। আসলে সেই স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা খুবই মনে পড়ছে। আসলে সেই পুকুরটি রাস্তার পাশে ছিল এবং বর্ষার পানিতে এই বোয়াল মাছ গুলো এই পুকুরে এসেছিল। তাই সেই বোয়াল মাছ গুলো খেতে খুব মজাদার ছিলো।আর বন্ধুদের সাথে সেই দিনটি খুব আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি এবং তিন বন্ধু মিলে যখন বোয়াল নিয়ে বাড়িতে আসলাম। তখন খুবই ভালো লাগতেছিলো। তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে সেই স্মৃতিময় গল্পটি শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 2 years ago (edited)

আপনাদের সবাই ভ্রমণ ও মাছ ধরে ছিলেন খুব মজা করে। আসলে মাছ ধরার ব্যাপারটা আমার কাছে সবসময় খুব ভালো লাগে। আমি যখন বাড়িতে যাই তখন বরশি দিয়ে মাছ ধরি। আপনি তো বেশ বুদ্ধি করে পায়ের নিচে একটি মাছ চেপে ধরে রেখেছিলেন। তারক সে মাছ ধরতে গিয়ে হাসানের হাত কেটে গেছে শুনে খুবই খারাপ লাগলো। নিশ্চয়ই মাছের দাঁত অনেক ধারালো। যাইহোক অবশেষে তিনজনে তিনটি বোয়াল মাছ পেলেন শুনে সত্যি খুব ভালো লাগলো।

 2 years ago 

আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🌹

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ ও মাছ ধরার স্মৃতিময় গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে ছোটবেলা এভাবে মাছ ধরা সত্যি স্মৃতি হয়ে থাকে।তাজা মাছ গুলো ধরতে অনেক ভালো লাগে।মানিক চাচাকে বলতে চাচা তিনজনকে তিনটি বোয়ালমাছ দিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 
 2 years ago 

ভাইয়া আপনার বন্ধুর সাথে ভ্রমণ ও মাছ ধরার স্মৃতিময় গল্পের প্রথম পর্ব টা পড়তে পাড়ি নাই। তবে দ্বিতীয় পর্বটা পড়ে অনেক ভাল লেগেছে। আপনাদের তিন বন্ধু তিনটি বোয়াল মাছ নিয়ে বাড়ি ফিলেছেন,সেটা জেনে বেশি ভাল লেগেছে। কারন কেউ খালি হাতে ফিরেন নাই। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 63209.62
ETH 2570.91
USDT 1.00
SBD 2.76