সাইকেল চালানোর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ// পর্ব- ২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
স্কুল জীবনের স্মৃতিময় সেই দিনগুলোর কথা এখন খুবই মনে পড়ে। কারণ স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে এত আনন্দময় এবং হাসিখুশিভাবে সেই দিনগুলো পার করেছি যা বলার মতো না। যে দিনগুলো ছিল আমাদের জীবনের সবচাইতে মধুর সময় আর শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। কারণ স্কুল জীবনের মুহূর্তগুলো আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষের কাছে স্কুল জীবনের মুহূর্তগুলো সবচাইতে বেশি আনন্দময় ছিল। স্কুল জীবনে ওই দিনগুলো যদি আবার ফিরে পেতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। সেই দিনগুলোর কথা আজ খুবই মনে পড়ে। যখন স্কুল জীবনে ছিলাম তখন আমরা ভেবেছি কবে বড় হবো কবে প্রতিষ্ঠিত হবো। কিন্তু এখন ভাবছি জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্তগুলো ছিল স্কুল জীবনের সেই মুহূর্ত। আর স্কুল জীবনের আমাদের একটি সাইকেল চালানোর প্রতিযোগিতা দিয়েছিল। সেই গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম।আজকে সেই গল্পের ২য় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম।
প্রতিযোগিতাটি ছিল ধীরগতিতে সাইকেল চালানো। যার কারণে প্রথম পর্বের আমাদের স্কুলের বড় ভাইরা ফার্স্ট হয়েছিল মআমি পারিনি এবং বাড়িতে এসে সকল কিছু বলার পরে মামা বলল যে সেও নাকি স্কুল জীবনে এই ধীরগতিতে সাইকেল চালিয়ে অনেক পুরস্কার নিয়েছে। এবং তার নাকি একটা অনেক দামি সাইকেল রয়েছে। এই সাইকেলটি আমাকে দেবে। তাই মামা সকাল সকাল বাড়িতে চলে গেলেন এবং দুপুরেই সেি সাইকেলটি মেরামত করে নিয়ে আসলেন। মামার সাইকেলটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো এবং সাইকেলটি অনেক ভালো ছিল, আমার সাইকেলের তুলনায়। যার কারণে এই সাইকেলটি দিয়ে আমাকে শিখিয়ে দিবেন। তখন আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। তাই বিকেল বেলা আমাকে সাথে নিয়ে আমাদের স্কুল মাঠে চলে আসলাম।
আমাদের এই স্কুল মাঠে অনেক বড় ছিল। যার কারণে মামা আমাকে খুবই সুন্দরভাবে এই সাইকেলটি চালানো শিখা ছিলো। আসলে আমি যতবার চালানো শিখতেছিলাম ততবারই আমার কাছে সাইকেলটি জোরে জোরে চালানো হচ্ছিল এবং আমি ধীরে ধীরে চালাতে পারছিলাম না। মামা বলল যে ধীরে তো চালাতে হবে, তবে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তাহলে এই ধীরগতিতে সাইকেল চালানো তুমি বিজয়ী হবে। তাই মামা বলল দাঁড়াও আমি তোমাকে দেখিয়ে দেই। আমি কিভাবে সাইকেল চালাই সেটা তুমি ভালোভাবে লক্ষ্য করবে। তাই মামা সাইকেলটি নিয়ে চালানো শুরু করে দিল এবং একটুখানি যাওয়ার পরেই মামা সামনের ব্রেক এবং পেছনের ব্রেক চেপে ধরল এবং এই সাইকেলটি আর যাচ্ছে না। আর হ্যান্ডেল দিয়ে এদি , ওদিকে ব্যালেন্স ঠিক করতে ছিল। মামা বলল যে নিজের নড়াচড়া করা যাবে না। নএবং সাইকেলের ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রনে রাখলেই তুমি এই সাইকেলটি একদম নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে এবং সাইকেলের উপরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। সাইকেল যাবে না তুমিও পরবেনা।
মামার কথা শুনে আমি ধীরগতিতে সাইকেল চালানো শুরু করে দিলাম। তবে আমি যতবারই ধীর গতিতে সাইকেল চালানো শুরু করে দিয়েছি ততবারই পড়ে যাচ্ছিলাম। তবে আমি হাল ছাড়িনি, বারবার চেষ্টা করতেছিলাম। এভাবে এক দুই ঘন্টা চেষ্টা করার পরে অনেকটাই আমি পারতেছিলাম। তখন অনেকটাই ভালো লাগতেছিল। মামা বললো আজকে অনেক হয়েছে, কালকে আবার আসবো, যেহেতু চার দিন পরে ফাইনাল খেলা হবে যার, কারণে এই তিন দিন তোমাকে আমি শিখিয়ে দেবো।
মামার কথা শুনে অনেকটাই ভালো লাগলো, মনের ভিতরে অনেক সাহস আসতেছিলো। যে আমি পারবো, আর আমাকে বিজয়ী হতে হবেই। যার কারণে পরের দিন আবারো একই টাইমে মামার সাথে এসে আমি শেখা শুরু করে দিলাম। আর মামা বলল যে আজকে অনেকটাই ভালো পেরেছো।আসলে এভাবে চেষ্টা করলে পারা যাবে। চেষ্টা থাকলে মানুষ সকল কিছু করতে পারে, তাই আমি মামার কাছ থেকে তিন দিনের চেষ্টা করতে করতে অনেক শিখতে পেরেছি এবং এখন আমি সাইকেল অনেক ধীর গতিতে চালাতে পারি। আর সাইকেল নিয়ে দাঁড়াতে থাকতে পারি। তাই খুবই ভালো লাগতেছিল এবং আগামীকাল আমার ফাইনাল প্রতিযোগিতা হবে। সেজন্য আমি আজকে সারাদিনই নিজে নিজেই চেষ্টা করতেছিলাম এবং আমার ভিতরে একটা কনফিডেন্স এসেছিল যে আমি পারবোই।
আরো একটা পার্ট, বুঝতেই পারলাম না অবশেষে কে বিজয়ী হলো।যাই হোক চেষ্টা করলে মানুষ সবই পারে আপনি চেষ্টা করেছেন বিদায় আপনার মামার সাহায্যে ধীরগতিতে সাইকেল চালানো শিখতে পেরেছেন।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার মামার কাছ থেকে আপনি সাইকেল চালানো শিখেছেন ।আপনার সাইকেল চালানো শেখাতে গিয়ে আপনার মামা অনেক কষ্ট করেছে ।তিন দিন সাইকেল চালানোর পর আপনি অনেকটা সাইকেল চালাতে পেরেছেন। ধন্যবাদ সাইকেল চালানোর প্রতিযোগিতার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।