নৌকায় করে মামার বিয়ের স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-১
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে স্মৃতিময় একটি গল্প শেয়ার করতে আসলাম। আর এই গল্পটি হল আমার মামার বিয়ের গল্প। আসলে আগে বর্ষাকালে অনেক বিয়ে হত,আর এই বিয়ে হতো নৌকাতে। অনেক আনন্দের সাথে এই বিয়েতে যাত্রা হতো। আসলে আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়াশোনা করি। তখনকার ঘটনা শেয়ার করছি।মামার বিয়ে হয়েছিল নৌকায় করে। আসলে তখন বর্ষাকাল ছিল আর বিশাল বড় একটি নৌকায় করে এই বিয়ের আয়োজনে করা হয়েছিলো।আমরা সবাই গিয়েছিলাম। সেই দিনের কথা আজ খুবই মনে পড়ছে তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে স্মৃতির পাতা থেকে এই গল্পটি শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। আশা করছি আমার এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আগে প্রত্যেক বছরই বর্ষা হতো। গ্রাম অঞ্চলে এই বর্ষার মৌসুমে যেন অনেক বিয়ের আয়োজন করা হতো। বিশেষ করে নৌকায় করে অনেক বিয়ে দেখেছি। এর মধ্যে আমার মামার বিয়েই নৌকায় করে হয়েছে। আসলে আমাদের গ্রামের পরের গ্রামে মামার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই বিয়েতে আমরা নৌকায় করে গিয়েছিলাম। আসলে নৌকায় করে বিয়ে যাওয়ার মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি রয়েছে। এই অনুভূতিগুলো এখন আর দেখা যায় না। এখন আর নৌকা করে বিয়ে খুবই কমই হয়। মামার বিয়ে আমরা অনেক আনন্দের সাথে সেই দিনটা পালন করেছি।তাই বিয়ের দিন সকালবেলা আমি আমার ছোট মামার সাথে শহরে এসেছিলাম ফুল কেনার জন্য। ছোট মামা ও তার চাচাতো ভাইরা মিলে মামার জন্য বাসর ঘর সাজানোর জন্য ফুল কিনে আছিলো।
আসলে বিয়েতে বাসর ঘর সাজানো হয়। এই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের কারণ বাসর ঘর নিয়ে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। তাই মামারা ফুল এনো এবং আরো অন্য কিছু এনে বাসর ঘর খুবি সুন্দরভাবে সাজাচ্ছিল। আমি এবং আমার খালাতো ভাইরা ছিল। তাদের সাথে আমরা সাহায্য করতে ছিলাম এবং খুবই ভালো লাগতেছিল। আসলে মামার বিয়ে বলে কথা আমার অধিকার ছিলো বেশি। সেই দিনগুলো খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি এবং আনন্দগুলো সেই দিন যদি ফিরে পেতাম খুব মিস করছি।তো সেই বিয়ের মুহূর্ত গুলো খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করতে ছিলাম। তাই আমি অনেক আনন্দের সাথে এই বাসর ঘরের সাজাতে সাহায্য করলাম।
মামা বলল যে এই বাসর ঘর ঢুকাতে তোদেরকে ব্যবহার করব কারণ তোরা টাকা চাবি। বললাম ঠিক আছে আমার কোন সমস্যা নেই। টাকা আমরা আদায় করব। তারপর বাসর ঘরে সাজানো শেষ এবং আমরা গোসল দিয়ে বিয়েতে যাওয়ার জন্য রেডী হলাম। ঘাটে নৌকায় এসে দাঁড়িয়েছে। আসলে যে নৌকায় করে আমরা বিয়েতে যাব।মামাকে গোসল দিয়ে সবাই রেডি করে গেছে, খুবই সুন্দরভাবে সেজেগুজে আমরা সবাই নৌকাতে উঠলাম। আসলে এই নৌকাটি বিশাল বড় ছিল এবং নৌকাটি বিয়ের জন্য নতুন নৌকা নিয়ে আসা হয়েছে। নৌকাতে দেখে যেন খুবই ভালো লাগলো। আসলে আনন্দের সাথে সেই নৌকাতে যাচ্ছিলাম এবং একটা গানের বক্স নিয়েছিলাম কিন্তু নানার কারণে সেই বক্স গান বাজানো হলো না। নানা গান পছন্দ করে না তাই আমরা আর গান বাজাতে পারলাম না।
সবাই নৌকায় করে যাচ্ছিলাম, অনেক আনন্দের সাথে তবে গান বাজাতে হলে বিয়ের আনন্দটা অনেক ভালো লাগতো। তারপরে আমরা নৌকায় করে আসলাম। আসলে এক ঘন্টা নৌকার যাত্রার পরে আমরা মামার নতুন শ্বশুরবাড়ির পাশে আসলাম। এখানে আমরা ঘাটে নামলাম ঘাটে নেমে মোটরসাইকেল ছিল। এই মোটরসাইকেল করে মামাকে নিয়ে যাওয়া হল তার শ্বশুরবাড়িতে। আর আমারা সবাই হেঁটে হেঁটে আসতে লাগলাম। তবে হেঁটে আসলেও অনেক আনন্দ হচ্ছিলো। কারণ গ্রামের অনেক মানুষ এবং অনেক আত্মীয়-স্বজনদের সাথে নিয়ে এই নৌকায় করে বিয়ে খাওয়ার মুহূর্ত ছিলো। আর মামার বিয়ে আমি প্রথম নৌকাই করে খেয়েছি।তাই অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার।
নৌকায় করে মামার বিয়ে খাওয়ার চমৎকার একটি স্মৃতিময় গল্পের প্রথম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে নৌকায় করে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার মজাই আলাদা। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো আপনার নানার আগমনের সাথে সাথে গান-বাজনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা গুলো জানতে পেরে। যাহোক আপনার এই স্মৃতিময় গল্পের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নৌকায় করে মামার বিয়ে খাওয়ার খুবই সুন্দর মুহুর্ত
শেয়ার করেছেন৷ নৌকায় করে কখনোই বিয়ে খেতে যাওয়া হয়নি৷ তবে আজকে যেভাবে আপনি নৌকা করে বিয়ে খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ যখন আপনার নানা আসলেন তখন সব গান বাজনা বন্ধ হয়ে গেল৷ এরকম ঘটনা আমাদের এখানে অনেক ঘটেছে৷ মুরুব্বিরা আসলেই তারা গান বন্ধ করে দেয়৷ পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম৷