বন্ধুদের সাথে ফেলে আসা স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বন্ধুত্বের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এই স্মৃতিময় গল্পগুলো যেন মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। তাই আজকে স্মৃতি পাতা থেকে একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। সেটি হল ছোটবেলা বন্ধুদের সাথে নিয়ে বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলার অনুভূতি। আসলে বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলার অনুভূতি অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় আমরা যেন বন্ধুদের সাথে মাঠে বেরিয়ে যেতাম আর ঘরে ফেরার নাম নিতাম না। বাবা মা আমাদের খুঁজতে যেত। সত্যি সেই দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। আমার বন্ধু মানিক এবং রফিক এই তিনজন আমাদের বাড়ির পাশে ছিলাম। আমরা ছোটকালের তিনজন মিলে অনেক আনন্দময় সাথে দিন গুলো পার করতাম। রফিক বিদেশে গিয়েছিল সে সৌদি আরব দশটি বছর ছিলো।আজকে সে বাংলাদেশে আসছে। আর রাতে ফোন দিয়ে আমার সাথে কথা বললো। তাই যেন ছোটবেলার এই ফুটবল খেলার দিনের কথা মনে পড়ে গেল। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম আশা করছি গল্পটি পড়ে ভালো লাগবে।


আসলে ছোটবেলা কোন চিন্তা-ভাবনা ছিল না। ছিলো না কোন বাধা। সারাদিন যেন খেলাধুলায় মেতে থাকতাম। আমরা তিন বন্ধু মিলে আমাদের বাড়ির পাশে একটি মাঠ রয়েছে। সেই মাঠে ফুটবল খেলতে ছিলাম। এমন সময় বৃষ্টি নামলো আর বৃষ্টির মধ্যে বন্ধুরা বাড়ি যেতে চাইলো। তবে রফিক একটু বড় ছিল ও বললো বাড়ি যাবো না, বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলব। তাই তিন বন্ধু মিলে বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলতেছিলাম। আর এই বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ ছিল। কাঁদার মধ্যে যখন শর্ট দেওয়া হচ্ছিল তখনই যেন পড়ে যাচ্ছিলাম, আর অনেক হাসাহাসি হচ্ছিল।


children-1822688_1280.jpg

source

এই বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলতেছিলাম। আর অনেক আনন্দ উপভোগ করতেছিলাম। তারপরে ফুটবল খেলা শেষে বন্ধু বলল যে পাশের বাড়ির লিচু গাছে অনেক লিচু ধরেছে। আসলে তখন লিচু সময় ছিল। আর বৃষ্টির মধ্যে সেই লিচু বাগান থেকে আমরা লিচু পারবো। আমি না করেছিলাম, তবে রফিক বলল ঔ গাছের লিচু অনেক মিষ্টি। আমরা খেতে পারব। আরো ঐ গাছের লিচু অনেক মিষ্টি। তারপরে আমরা বন্ধুরা মিলে সেই লিচু গাছের কাছে আসলাম। লিচু পাড়ার জন্য, বৃষ্টির মধ্যে কোথাও কেউ নেই। এই সুযোগে লিচু পারবো। তাই বন্ধু যেন লিচু গাছে উঠলো লিচু পারতে।যখন কয়েকটা লিচু পারা হলো ওমনি কে যেন বলে উঠলো কে রে লিচু তলায়। এই বৃষ্টির মধ্যে লিচু চুরি করতে এসেছিস। এই কথা শুনে আমরা তিন বন্ধু দিলাম চোখ বুজে দৌড়। এত দৌড় দিয়েছি সেদিন খুবই ভয় পেয়েছিলাম। তারপরে আমরা আমাদের বাড়ির পিছনে একটি পুকুর রয়েছে, সেই পুকুর পাড়ে এসে বসে থাকলাম।বৃষ্টির মধ্যে দিয়েই লিচু পাহারা দিচ্ছিল। এটা আমরা কখনোই ভাবিনি। আসলে সে খুবই কঠোর ব্যক্তি। গ্রামের মধ্যে সকলে জানে, তাই ভেবেছিলাম যে আজকে হয়তো বৃষ্টির মধ্যে সেই লিচু গাছ পাহারা দেবে না। তাই আমরা গিয়েছিলাম, তবে খুবই ভয় পেয়েছি,তারপর আর কোনদিন এই লিচুতলা যায়নি।


people-5365324_1280.jpg

source

তারপরে আমরা বন্ধুরা এসে আমাদের আম গাছের গাছ থেকে আম পারলাম এবং আমাদের আম গাছে অনেক আম ধরেছিল। সেই আমগুলো পেরে আমরা বৃষ্টির মধ্যে স্কুল মাঠে গেলাম। স্কুল মাঠে গিয়ে স্কুলের বারান্দায় বসে আমরা এই আমগুলো খেতে লাগলাম। আসলে মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে বিট লবণ বানিয়ে সেই কাঁচা আম খেতে খুবই মজা লেগেছিল। সেই বৃষ্টির দিনে কাঁচা আম খেয়ে আমরা আবার স্কুল মাঠে ফুটবল খেলতে লাগলাম। ফুটবল খেলতে গিয়ে স্কুল মাঠের কাঁদার ভিতর পড়ে গিয়ে আমি পাই অনেক ব্যথা পেয়েছিলাম। তারপরে আমরা বন্ধুরা মিলে সেই স্কুল মাঠে বসে ছিলাম। তবে স্কুল মাঠে বসে থাকা অবস্থায় খুবই ভয় পাচ্ছিলাম। বৃষ্টি আরও বেশি জোরে হচ্ছিল এবং চারিদিকে মেঘের গর্জন ছিল। আর এই মেঘের গর্জন যেন আমাদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। তাই আমরা স্কুল মাঠে বারান্দাতেই চুপ করে বসে থাকলাম। এভাবেই অনেকক্ষণ সময় পার হয়ে গেল বৃষ্টি যেন কমতে ছিলই না।


অনেকক্ষণ পর বৃষ্টি কমে গেল এবং আমাদের এই স্কুলের মাঠের সামনেই বড় একটি পুকুর রয়েছে। আর সেই পুকুরে নৌকা ছিল গ্রামের এই পুকুরে নৌকাটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। বন্ধুরা বলল যে আয় আমরা নৌকাটি চালাবো। আসলে ছোট নৌকা ছিল, তাই যেন এই নৌকা চালানোর জন্য আমরা এগিয়ে আসলাম। তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই পরবর্তী পর্বে নৌকা চালানোর সেই মুহূর্ত শেয়ার করবে ইনশাআল্লাহ।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 last year 

বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আসলেই ভুলা যায় না।বন্ধুদের সাথে সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে আজকে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।বন্ধুরা মিলে বৃষ্টির দিনে খুব মজা করে ফুটবল খেলেছেন।আবার অন্যের গাছে চুরি করে লিচু পারতে গিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে আপনারা অনেক মজা করেছেন।পুকুরে নৌকায় উঠার মুহূর্ত পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।

 last year 

সত্যিই ভাইয়া ছোটবেলার দিনগুলো ছিল খুবই আনান্দের। আপনার এই পোস্ট দেখে ছোটবেলায় সেই বৃষ্টির পানিতে ফুটবল খেলার কথাটি মনে পড়ে গেল। আপনার পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

 last year 

ছোটবেলায় ফেলে আসা দিনগুলো খুবই অসাধারণ ছিল। প্রায় প্রত্যেকটা মানুষেরই মন চায় আবার সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে। আপনার পোস্ট পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলা লিচু চুরি করে খাওয়া যেগুলো সত্যি ছোটবেলা অনেক আনন্দদায়ক ছিলো। ধন্যবাদ ছোট বেলার স্মৃতিকে সুন্দর ভাবে পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য।

 last year 

আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 last year 

ছোটবেলায় আসলে অনেক ঘটনা রয়েছে সেটি আজও মনে পড়লে হাসি পায়। আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সবাই মিলে কাদার ভিতর ফুটবল খেলতে অন্যরকম মজা আছে। আবার বৃষ্টির মধ্যে লেচু চুরি করতে গিয়েছেন কেউ একজন আপনাদের লিচু চুরি করতে দেখে ফেলেছে। পরে ভয়ে আবার দৌড়ে পালিয়ে গেলেন এটাও অনেক মজার ছিল । অবশেষে এটা শুনে খারাপ লাগলো যে আপনি কাদার মধ্যে পড়ে পায়ে ব্যথা ফেলেন। যাই হোক সব মিলিয়ে সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করছেন ধন্যবাদ।

 last year 

আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻🌹

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65633.94
ETH 2670.37
USDT 1.00
SBD 2.90