ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প
প্রিয় সতীর্থব্লগারবৃন্দ,
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ছালাম সকলেই কেমন আছেন? আশা রাখি সকলেই ভাল আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প নিয়ে কথা বলতে এসেছি।
বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। ‘মৃৎ’ মানে মাটি আর ‘শিল্প’ মানে সুন্দর সৃষ্টিশীল বস্তু।
মাটি দিয়ে তৈরি জিনিসপএ কে মৃৎশিল্প বলে।এই শিল্পের অতীত ঐতিহ্য খুবই সমৃদ্ধশালী। হাঁড়িপাতিল থেকে শুরু করে ঘর-গৃহস্থালি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার হতো মৃৎশিল্পের নানা জিনিসপত্র।এগুলো তৈরি হতো এঁটেল মাটির দারায়।মাটি দিয়ে কুমাররা তাদের জীবিকার প্রধান উৎস।মৃৎশিল্প আমাদের বাঙালির অনেক পুরোনো এবং সুন্দর শিল্প।আমাদের দেশে অনেক শিল্প রয়েছে তার মধ্যে মৃৎশিল্প অন্যতম।হাজার হাজার বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় মৃৎশিল্প গড়ে উঠেছে। এটি শুধু শিল্প নয় এটি গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে অনেক পুরোনো ঐতিহ্য।মৃৎশিল্পের মুল উপাদান হলো মাটি আর পানি।যারা মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে তাদের কুমার বলে।
এই শিল্প দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আধুনিকতার কারনে এই শিল্প দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার ঐতিহ্য বহনকারি মাটির সামগ্রীর কমতে থাকায় এই ঐতিহ্যটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ছোট বেলায় যখন কারো সাথে মেলায় যেতাম তখন এই মাটির তৈরি পুতুল, হাঁড়ি, কলস নিয়ে আসতাম। আর এখন এগুলো প্রায় দেখাই যায় না।আগে মাটির তৈরি জিনিসপএ নিয়ে অনেক খেলাধুলা করতাম।আগে মাটির কলসি থেকে ঠান্ডা পানি পান করতাম।কলসিতে পানি অনেক ঠান্ডা থাকে।আগে প্রতি গ্রাম বাংলার মানুষের বাড়িতে কলসি দেখা যেত এখন তা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সংসার জীবনে মৃৎশিল্পের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল কিন্তু এখন আধুনিকতার কারনে সবই বিলুপ্ত। কিছু কিছু এলাকায় এখনো এই শিল্প চলমান।মৃৎশিল্প বিলুপ্ত হওয়ার কারণে অনেক কুমার পরিবার অসহায় হয়ে যাচ্ছে। এই মাটি তাদের পরিবার চালায়।একসময় সৈয়দপুর (নীলফামারী)ছিল মৃৎশিল্পের জন্য অনেক জনপ্রিয়।
কিন্তু কালের পরিবর্তনে আজ তা বীলিন হতে চলছে।ঘনিয়ে আসছে এ শিল্পের অকাল।হয়তো এমনো দিন আসবে এ শিল্প আর কখনো দেখা যাবে না।শুরু মাএ বই এর পতায় এর ইতিহাস থাকবে।আগে গ্রাম বাংলায় দেখা যেত ফেরিওয়ালারা মাথায় নিয়ে মাটি জিনিসপএ বিক্রি করে বেড়াতেন এখন তা আগের মতো দেখা যায় না।
আমার লেখার মধ্যে কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ,
@ratul420
আপনি টাইটেল আরেকটু বড় আকারে লিখলে ভাল হবে। মাটির তৈরি জিনিসপত্র আমাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। আসলেই আগে দেখতাম মাটির হাড়ি পাতিলে ভাত রান্না করত। আর এখন হাড়ি পাতিল ভাত রান্না করে না। এগুলো মাটির তৈরি জিনিসপত্র প্রায় বিলুপ্তির পথে। পোস্ট কোয়ালিটি আরো ভাল করতে হবে।
Thanks viya
খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই। মৃৎশিল্প দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে। আপনি মৃৎশিল্প নিয়ে খুব ভালো একটি পোস্ট করেছেন আর তার সাথে ভালো উপস্থাপনা করেছেন।
Thanks viya
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
মাটির তৈরি মৃৎশিল্প আমরা দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি।মৃৎশিল্প আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। অসাধারণ হয়েছে পোস্টি। ধন্যবাদ ভাই।
thanks viya
মৃৎশিল্প হলো আমাদের দেশের এক ঐতিহ্যপূর্ণ কাঠামো।
মৃৎশিল্পের তৈরি বিভিন্ন রকম জিনিস এখনো গ্রাম বাংলায় দেখা যায়। তবে শহরে খুব কম দেখা যায় এটি। বিশেষ করে বলতে গেলে মাটির তৈরি জিনিসগুলো।ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
Thanks viya
মাটির তৈরি জিনিস গুলো এখন খুব কম দেখা যায়, আগের কার মানুষ মাটির তৈরি হাড়িতে ভাত রান্না করতো কিন্তু এখন ঐ রকম আর দেখা যায় না, আপনি মাটির তৈরি জিনিস গুলো নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, আর মাটির জিনিস গুলো দেখতেও খুব ভালো লাগে, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
Thanks viya
মাটির তৈরি জিনিস সত্যি অতুলনীয়। গৃহস্থালির অনেক কাজে লাগে। আপনি মৃৎশিল্পী নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। ঐতিহ্য বাহী মৃৎশিল্পী নিয়ে। কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত প্রায় এসব মাটির তৈরি হস্ত শিল্প। ধন্যবাদ আপনাকে
Thanks viya
মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন সবাই ব্যবহার করি। আর আমাদের সকলের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কুমার রা তৈরি করে। বিভিন্ন রঙ এবং ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইন দেখতে ভালোই লাগে।ধন্যবাদ
Thanks viya
কলসি এখন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। একটা সময় যখন ফ্রিজ ছিলো না তখন অনেক গরমে মায়েরা কলসিতে করে ঘরের কোনে পানি রাখত আর অনেক ঠান্ডা হয়ে থাকত পানি। সেই পানি অনেক স্বাদের ছিলো। কিন্তু এখন শুধু সৃতিচারণ হয়ে আছে। সুন্দর লিখেছেন আপনি।
মৃৎশিল্প নিয়ে সুন্দর সুন্দর কিছু কথা বলেছেন। আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজে মৃৎশিল্পের ব্যবহার রয়েছে। এগুলো আমাদের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে এ শিল্পের পরিসর কিছুটা কমে আসায় খারাপ লাগবে। মৃৎশিল্প টিকে থাকুক আজীবন, এটাই চাই।