ঐতিহাসিক কাজীর মসজিদে নামাজ পড়ার অভিজ্ঞতা
হ্যালো বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম/আদাব। আশা করি সবাই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি এবং সুস্থ আছি।
আজ শুক্রবার এই দিনটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন।প্রতিদিন আমি হয়তো কোনো কাজে বা অন্য কোন জায়গায় গিয়ে সময় কাটাই। কিন্তু শুক্রবার দিনটায় আমার কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা হয় না। আমি প্রতি শুক্রবার করে আমার বাড়ির পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। আজ হঠাৎ ভাবলাম কাজীর মসজিদ তো আমার বাড়ি থেকে বেশি দুরে না ওখানে এ নামাজ পড়তে যাবো। ওই মসজিদে নামাজ পড়তে অনেক ভালো লাগে । পরিবেশ টা অনেক সুন্দর।
ঐতিহাসিক কাজী মসজিদ টি আমার বাসা থেকে দুই/ তিন কিলোমিটার হবে । মসজিদ টি অবস্থিত ,কুড়িগ্রাম জেলার ,উলিপুর উপজেলার দুই নং দললিয়া সাত নং ওয়ার্ডের সরদারপাড়া নামের এক গ্রামের পাশে ।মসজিদটি একটি জঙ্গলের মাঝে হঠাৎ করে দেখা গিয়েছিল। মানুষ বলে যে মসজিদটি নাকি কেউ নির্মাণ করেনি।মসজিদটি মাটির নিচ থেকে ভেসে উঠেছে ।তাই মসজিদ টি ঐতিহাসিক কাজের মসজিদ নামে পরিচিত।
ঐতিহাসিক কাজী মসজিদে নামাজ শেষে ছোট্ট আকারে একটা ওয়াজ মাহফিল এবং সুন্নত খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ।পরিবেশটাও অনেক সুন্দর । ঐতিহাসিক কাজের মসজিদটি একতারা ভবন ছিল।অনেক দূর থেকে মানুষ সেখানে নামাজ পড়তে আসে।নামাজ পড়ার জায়গা না হওয়ায় মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসী উদ্যোগে এখন মসজিদটি তিনতলা ভবনে নির্মিত হয়েছে ।
মসজিদে গিয়ে দেখলাম মসজিদের সামনে একটা কাঁঠাল গাছে অনেক কাঁঠাল ধরেছে ।ভাবলাম আমাদের ওইদিকে অনেক কাঁঠাল গাছ রয়েছে ।কিন্তু এইরকম কাঁঠাল ধরে নেই ।এগুলো সব আল্লাহর রহমত, এবং কাঁঠালের সাইজ গুলো অনেক বড় ।
তারপরে আমি মসজিদে প্রবেশ করতে গিয়ে দেখলাম। যে একটা কালো পর্দা দিয়ে দরজাটি বন্ধ । আমি একটা ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলাম যে এটা কালো পর্দা দিয়ে বন্ধ কেন? ভদ্রলোকটি আমায় বলল যে বাবা ওখানে এখন মহিলারা নামাজ পড়তেছে । মহিলারা নামাজ পড়ে বের হলে আমরা পুরুষরা নামাজ পড়বো ।ওখানে একটা জিনিস দেখে অনেক ভালো লাগলো যে ওখানে মহিলাদের জন্য নামাজ পড়ার সুন্দর একটি পরিবেশ রয়েছে। মহিলারা নামাজ শেষ করে বের হওয়ার পর।
মসজিদের মুয়াজ্জিন আযান দেওয়া শুরু করলো। মহিলারা তখন আবদ্ধ রুমে চলে গেল। আমরা সবাই তখন মসজিদে প্রবেশ করে চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করলাম।
বাকি নামাজ আদায় করে মসজিদ টা ভালোভাবে দর্শন দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজ এ পর্যন্ত বন্ধুরা, আবার দেখা হবে অন্য কোন প্রসঙ্গ নিয়ে ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন
<\div>
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু। আমার পোস্টে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
ঐতিহাসিক কাজির মসজিদে নামাজ পড়ার সৌভাগ্য আমারও হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর আগে আমি আমার মনের আশা নিয়ে কাজির মসজিদে নামাজ আদায় করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ মহান আল্লাহ তায়ালা আমার সেই মনের আশা পূর্ণ করে দিয়েছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, কাজীর মসজিদে মহিলাদের নামাজ পড়ার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে, যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কাজীর মসজিদ নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
We support quality posts anywhere and any tags.
Curated by : @lhorgic