Steem engagement challenge-S10/W3| I do believe marriages are made in heaven.
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই। আমি ভালো আছি আপনাদের দোয়া ও আর্শীবাদে আমিও ভালো আছি। সিজন টেন এর তৃতীয় সপ্তাহের এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত। এবারের নির্বাচিত বিষয়টি আমাদের সকলের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।
তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে আমার মতামত জানাতে আমি বেশ খুশি। ইনক্রিটিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটি কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ এমন একটি বিষয় নির্বাচন করার জন্য। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
আমি এক বাক্যেই বলবো যে হ্যাঁ আমি বিশ্বাস করি যে বিয়ে স্বর্গেই হয়। অর্থ্যাৎ স্বর্গ থেকেই নির্ধারিত। একজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহ তালার প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখে আমি এটি বিশ্বাস করি। কারণ আল্লাহ তালা আমাদের স্মৃষ্টি করার পূর্বেই জীবন সঙ্গী নির্ধারণ করে রেখেছেন।
আমরা যখন আত্মার জগৎ এ ছিলাম তখনি আল্লাহ তালা আমাদের জন্য তিনটি জিনিস নির্ধারণ করে রেখেছে। সেগুলো হলো জন্ম মৃত্যু ও বিয়ে। এই তিনটি আমরা কখনই পরিবর্তন করতে পারবো না। কিন্ত অন্যান্য সকল কর্মকান্ড আমরা পরিশ্রম এবং সততার দ্বারা পরিবর্তন করতে পারবো।
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে অনেকক্ষেত্রেই আমরা যাকে চাই তাকে কিন্তু পাই না। কিন্তু আবার যাকে চাই না তাকেই শেষমেস বিয়ে করি। সাধারন দৃষ্টিতে এটি স্বাভাবিক মনে হলেও একটু গভীরভাবে উপলব্ধি করলে এর যথার্থতা আমরা বুজতে পারবো।
বিয়ে যদি আমাদের স্বর্গ থেকেই ঠিক করা না থাকতো বা স্বর্গে বিয়ে না হতো তাহলে সমাজে এমন সব ঘটনা ঘটতো না। আমরা যাকে ইচ্ছে বিয়ে করতে পারতাম। কোন বাদ্ধবাধকতা থাকত না। কিন্তু পারি না কেন? হাজার চেষ্টা করেও পারি না।
আবার অনেকেই পারে। সব মিলিয়ে বলবো বিয়ে স্মৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিশাল এক রহমত এবং স্বর্গে বা আত্মার জগতেই তিনি আমাদের জীবনসঙ্গী নির্ধারণ করে দেন।
আমি অবশ্যই সাজানো বিয়েকে পছন্দ করি। কেননা সামাজিক রীতিনীতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে সাজানো বিয়েই অতি উত্তম। একটু খোলাসা করেই বলি, প্রথমেই বুজতে হবে সাজানো বিয়ে ও প্রেমের বিয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আমাদের সংস্কৃতি কোন বিয়েকে বেশি প্রাধান্য দেয় এবং কোন বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই উত্তরগুলো আমাদের সবারই জানা।
একটু মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু সেদিকে আমি যাবো না। বর্তমান সমাজে প্রেমের বিয়েটাই হয়তো বেশি চোখে পরবে আমাদের সকলের। কিন্তু এই বিয়েগুলো কতটুকু স্থায়ী হয় বা গুরুজনদের দোয়া কে কেমন পায় সেটা কিন্তু প্রশ্নের বিষয়। আমরা যেহেতু এই সমাজে বাস করি, পরিবার নিয়ে থাকি তাই পারিবারিক গন্ডি পেরিয়ে যদি কেউ প্রেম করে বিয়ে করি তাহলে এই সমাজ বা পরিবার কিন্তু তা মেনে নিতে চায় না। মানার কথাও না।
কারণ আমাদের সংস্কৃতি এরকম, আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন এরকম। তাছাড়া যে বিয়েতে গুরুজনের আর্শীবাদ থাকে না, সামাজিক কোন নিয়ম থাকে না, সে বিয়ে কতটুকু দীর্ঘস্থায়ী হবে তা আমাদের হয়তো সকলেরই বোধগম্য। অনেকক্ষেত্রে আবার এর ব্যতিক্রমও হয়। প্রেমের বিয়েও অনেক সময় পূর্ণতা পায়।
এবার আসি সাজানো বিয়ের কথায়। আপাতদৃষ্টিতে সামাজিক ভাবে ও দুই পরিবারের সম্মতিতে যে বিয়ে সম্পন্ন হয় তাই সাজানো বিয়ে। যুগের পর যুগ ধরে এই রীতি আমাদের সমাজে চলে আসছে। তাছাড়া আমাদের ধর্ম এই বিয়েকে সমর্থন জানিয়েছে। আর এই বিয়েতে রয়েছে অনেক রহমত ও বরকত।
একটি ছেলে ও একটি মেয়ের যখন পারিবারিকভাবে সাজানো বিয়ে হয় তখন সেই বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয় বেশি। এর পেছনে যৌক্তিক কিছু কারণও রয়েছে। সাজানো বিয়েতে ছেল এবং মেয়ের সব খোঁজ খবর নিয়ে পরিবারের সবার সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবণা কম থাকে।
একে অপরের পরিবারের খোঁজ নেয়, সামজ্যসতা রক্ষা করে, কর্মসংস্থানের বিষয় প্রাধাণ্য দেয়, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর সব থেকে বড় কথা হলো গুরুজনের দোয়া বা আর্শীবাদ। সাজানো বিয়েতে সবার সম্মুতি থাকে এবং গুরুজনের দোয়া পাওয়া যায়।
সংসার জীবনে কোন ভূল ত্রুটি হলে গুরুজনেরা তা সুদরে দেয়। এতে করে সংসার ভাঙ্গার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই সব মিলিয়ে সাজানো বিয়েই একদম ঠিকঠাক বলে আমি মনে করি।
আমার মতে সুখী দাম্পত্য জীবনের সংজ্ঞা হলো পারস্পারিক আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। অর্থ্যাৎ একজন স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝে যদি এই তিনটি জিনিস বিদ্যমান থাকে তাহলে অবশ্যই সেই সংসার সুখী সংসার হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। যে সংসারে এই তিনটির মধ্যে একটির অভাব রয়েছে সেই সংসার কখনো সুখী হয় না।
মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটি লেগেই থাকে। একজন স্বামীর উচিত তার স্ত্রীকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখা। আর একজন স্ত্রীর উচিত তার স্বামীকে ভরসা করা, তার উপর আস্থা রাখা, পুরোপুরি ভালোবাসার মধ্য দিয়ে স্বামীর মন জয় করে নেয়া।
মানসিক দূরত্ব এবং বিচ্ছেদ বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ হলো পারস্পারিক আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার অভাব। এগুলোর অভাব যখন একটি সংসারে লক্ষনীয় হয় তখন সেই সংসারটি আর দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কিছু উদাহরণ দিলে হয়তো বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার হবে।
সন্দেহপ্রবণতাঃ সন্দেহপ্রবণতা বর্তমান বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। একজন স্বামী বা স্ত্রী যখন একে অপরকে সন্দেহ করা শুরু করে তখন বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয়। এরপর কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। ধীরে ধীরে সেটি বিচ্ছেদে পরিণত হয়। তাই আমাদের এই দিকটায় বিশেষ নজর রাখা উচিত। সন্দেহ প্রবণতা দূর করা উচিত।
সময় না দেওয়াঃ একজন স্বামী বা স্ত্রী যখন একে অপরকে পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে অন্য কাজে মনযোগী থাকে তখন মানসিক দূরত্বের স্মৃষ্টি হয়। এরপর স্বামীর কোন কাজগুলো ভালো লাগে স্ত্রীর কোন কাজগুলো ভালো লাগে এই দুইয়ে যখন কেউ কাউকে সমর্থন না করে তখন থেকেও মানসিক দূরত্বের স্মৃষ্টি হয়। তাই এই দিকগুলো আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।
আস্থার অভাবঃ স্বামীর প্রতি স্ত্রীর আস্থা এবং স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আস্থা থাকবে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন বিভিন্ন কারণে এই আস্থা কমে যায় ঠিক তখনি মানসিক দূরত্বের স্মৃষ্টি হয় এবং শেষ পর্যন্ত সেটি বিচ্ছেদে রুপ নেয়। তাই সাংসারিক জীবনে আস্থা জিনিসটা খুব দরকার। আর আস্থার প্রতিদান দেওয়াটাও জরুরী। তাই এগুলো আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।
এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়ার জন্য আমি যে তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই তারা হলেন, @mostofajaman @shiftitamanna @sisol
Hello dear, @rakibal