সুষম খাদ্য
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে সুষম খাদ্য সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
আসলে বর্তমান সময়ে আমরা যেসব খাবার খাই সেসব খাবারগুলো মোটেও ভালো নয়। কেননা এসব খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ মেশানো থাকে। আসলে আমরা একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেছি যে পূর্বের যেসব লোকজন ছিল তাদের কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি ছিল এবং তারা অনেক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকত। অর্থাৎ পূর্বের মানুষের গড় আয়ু অনেক বেশি ছিল। আসলে তখনকার সময়ে মানুষ যেসব ফলমূল, শাকসবজি খেত তাতে কোন বিষাক্ত কোন সার ব্যবহার করা হতো না। আসলে সে সময়ে মানুষ যে সব ধরনের খাবার খেতো সেগুলো একদম পিওর খাবার ছিল। কেননা তখন মানুষ অতিরিক্ত ফসল ফলানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের হাইব্রিড ফসল কখনো ফলতো না। আসলে তখনকার সময়ে মানুষ সারের ব্যবহার খুব কম করতো।
আসলে তখনকার সময় জনসংখ্যা অনেক বেশি কম ছিল এজন্য ফসলের উৎপাদনে অনেক বেশি কম ছিল। কিন্তু যত দিন বেড়েছে ততই মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই অতিরিক্ত মানুষের জন্য প্রয়োজন হয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণ খাবারের। আসলে আগে আমরা একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেছি যে এক বিঘা জমি হতে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন করা হতো তাতে করে তেমন একটা বেশি ধান কখনোই পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে হাইব্রিড জাতীয় ফসলের কারণে এখন প্রায় সেই এক বিঘা জমি হতে প্রায় চার পাঁচ গুণ বেশি ধান পাওয়া যায়। আসলে আমরা এজন্য এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাহিদা পূরণ করতে পারলেও কিন্তু খাবারের গুণগত মান কখনো ঠিক রাখতে পারছি না। আসলে খাবারের গুণগত মান যদি সঠিক না থাকে তাহলে মানুষের পুষ্টির অভাব দেখা দেবে এবং এর ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুর শরীরে বাসা বাঁধবে।
আর এজন্য মানুষ এখন সেই সুষম খাদ্য কখনোই পায় না। আসলে মানুষ বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় খাবার খেতে অনেক বেশি ভালোবাসে। আসলে এইসব মসলা জাতীয় খাবারে স্বাদ থাকলেও সেসব খাবারের গুণগত মান অনেক বেশী কম থাকে। কেননা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে যা কিনা মানব শরীরের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকি। আসলে এইসব কেমিক্যাল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। আসলে মানুষ এইসব বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার যদি খাদ্যে ব্যবহার করে তাহলে কিন্তু মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কমে যাবে এবং আর এর ফলে আমরা এখন
ঘরে ঘরে দেখতে পাই যে ক্যান্সারের মতো এমন মরণব্যাধি রোগ ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে।
আসলে তাই মানুষের খাদ্য অভ্যাসকে পরিবর্তন করে একটা সুন্দর খাদ্য অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। আসলে মানুষ যেভাবে বাইরের খাবার খায় এবং নিয়মিত ঠিকঠাক করে খাবার না খেলে কিন্তু শরীরের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। যদিও এখন তো আমরা সুস্থ আছি তাই আমরা কিন্তু আমার শরীরের কদর করছি না। আসলে আমরা যদি শরীরটাকে সব সময় নষ্ট করতে থাকি তাহলে একটা সময় আমাদের শরীরটা দুর্বল হয়ে যাবে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কমে যাবে। আসলে আমাদের শরীর যদি দুর্বল হয়ে যায় তখন আমাদের আর কাজ করার ক্ষমতা থাকবে না। আর এজন্য আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে হলে আমাদের সবসময় সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং বাইরে বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় খাদ্যকে না বলতে হবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।