নিজেকে যাচাই করি!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম এমন একটা লেখা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যে লেখাটি আসলে শেয়ার করাটা অনেক বেশি প্রয়োজন বলে আমি মনে করেছি। আর সে লেখাটি হলো,
আমরা সব সময় এটাই বলতে থাকি যে, আমাদের চারপাশের মানুষজন অনেক বেশি টক্সিক। আমাদের চারপাশের মানুষজন অনেক বেশি নেগেটিভ, আমাদের চারপাশের মানুষজন অনেক বেশি খারাপ, তারা কোনো ভালো কিছুই চিন্তা করতে পারে না। তারা সবসময় খারাপটাই চিন্তা করে। তারা সব সময় অন্যের দোষ ধরে বেড়ায়। তারা সবসময় অন্যকে কষ্ট দেয়। এবং সে কারণে আসলে আমরা ভালো নেই অর্থাৎ অন্যরা খারাপ বলে, আমরা নিজেরা ভালো নেই। এই ধারণাটাই সব সময় আমরা করে থাকি।
কিন্তু মাঝেমধ্যে ব্যাপারটা একটু ভিন্ন রকমের ও হয়। ভিন্ন ধরনের হয় বলতে আসলে ব্যাপারটা মাঝেমধ্যে এমন হয় যে, হয়তো আমরা নিজেরাই টক্সিসিটির মধ্যে বাস করি। অর্থাৎ আমাদের নিজেদের মনটা ই টক্সিক। অর্থাৎ আমরা সব সময় নেগেটিভ ভাবি বলেই হয়তো, আমাদের চারপাশটা আমাদের কাছে নেগেটিভ লাগে। হয়তো আমাদের চারপাশের মানুষরা ভালো কিন্তু আমি নিজে খারাপ বলেই আমার সব সময় অন্যদেরকে খারাপ মনে হয়। এটা কিন্তু অনেক পসিবিলিটিস আছে।
তাই সবসময় অন্যকে যাচাই করার আগে আমাদের উচিত নিজেকে যাচাই করা। কারণ এই ব্যাপারটা আগে ভালোভাবে বুঝতে হবে যে, আমি নিজে কতোটা ভালো কিংবা আমি নিজে কতোটা খারাপ কিংবা আমার নিজের মেন্টালিটি কেমন। আমরা যেখানে নিজেদের মেন্টালিটি নিজেই নিয়ে নিজেরা কোনো সিউরিটি দিতে পারি না। সেখানে আসলে সবসময় অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর কোনো মানে নেই।
আর এই প্রবণতাটা আমাদের সকলের মধ্যেই বিরাজমান। আমি শুধুমাত্র অন্যদের দোষ দিয়ে কথা বলছি, তা না। আমি নিজের দোষ ও দিচ্ছি। কারণ এটা খুব ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন যে, আমাদের চোখে অন্যের দোষটা খুব সহজেই ধরা পরে। কিন্তু নিজের দোষটা একেবারেই ধরা পরে না।
একটা কথা আছে নিজে ভালো তো জগৎ ভালো। সব সময় চিন্তা করতে হবে আমি নিজে কতটা ভালো?? এক শ্রেণীর মানুষ আছে নিজের দোষ কখনোই ধরতে চায় না শুধু আশপাশের মানুষের দোষ গুণ নিয়ে আলোচনা করে।