ঐতিহ্যবাহী পোশাক হলো পাঞ্জাবি

স্টিম ফর ট্রেডিশন

স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্য ও মডরেটরদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আমাদের দেশের একটি বিশেষ ভুমিকা পালন করে এই পাঞ্জাবি পোশাকটি।

ঊনিশ শতক বা বিশ শতকের প্রথমের দিকে পাঞ্জাব অঞ্চলে সুতি কাপড়ের সমৃদ্ধশালী শিল্প ছিল। সেই সমৃদ্ধশালী শিল্পে মোটা সুতি কাপড়ের লুঙ্গি, চাদর, তোয়ালে,জামার কাপড় ইত্যাদি পোশাক আশাক সহ বিভিন্ন রকমের বস্ত্র তৈরি করা হতো। সুতি কাপড়ের শিল্পটি পাঞ্জাবি পোশাককে সমৃদ্ধশালী করে তোলে। পাঞ্জাবি বিভিন্ন উৎসব, স্থানীয় উৎসব এবং অনুষ্ঠানের উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন রকমের ডিজাইনের পাঞ্জাবি পোশাকটি তৈরি করা হয়।

আগেকার সময়ে পাঞ্জাব এলাকার লোকেরা সুতির পোশাককে প্রাধান্য দিত বেশি।পাঞ্জাবি আমাদের সকলের জন্যই অর্ধেক অঙ্গের জামাটি হাঁটু পর্যন্ত লম্বা হয়। এই পাঞ্জাবির পোশাকের সঙ্গে ওড়না জাতীয় কাপড় পড়তো।বর্তমান সময়ে পাঞ্জাবির সঙ্গে ওড়না চলে না আর। আধুনিক যুগে পাঞ্জাবি সব শ্রেণীর লোকের জন্যই ব্যবহার হচ্ছে। পাঞ্জাবি শুধু যে মুসলিম জাহানের জন্য তা নয় কিন্তু এই পোশাকটি সকলের সাথে মিশ্রিত। আমাদের মুসলিম জাহানের লোকেরা সব সময় পাঞ্জাবিকে প্রাধান্য দেয় বেশি।সব সময় মুসলিম জাহানের মানুষ পড়তে ভালবাসে। কিন্তু অন্যান্য ধর্মীয় লোকেরা যেকোন অনুষ্ঠানে এই পাঞ্জাবিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

কুরবানি ঈদের দিন আমি ঈদগাহ মাঠে যাওয়ার সময় ছেলে নামাজ পড়তে যাবে আমার সাথে। এরপর আমি একটু অপেক্ষা করার পর ছেলে কালো রঙের পাঞ্জাবি পড়ছে আর সাদা রঙের প্যান্ট পড়ছে। তারপর আমি ঈদগাহ মাঠে গেলাম। নামাজ পড়ে এসে ছেলের ছবি তুললাম। আসলেই অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছিলো পাঞ্জাবি পড়ে। পাঞ্জাবি পড়লে অনেক সুন্দর দেখা যায় প্রত্যেককে। আমরা মুসলিম তাই ইসলামি শরিয়তের পাঞ্জাবি পোশাকটি আমাদের সকলের পড়া। আমার ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ