ছিনতাইকারীর পীড়া||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি যে বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি,সেটা নিশ্চয় এতক্ষণে টাইটেল দেখে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।তবে একের অধিক সমস্যাও যেন বেশি এই মানুষ জাতির মধ্যে।একে অন্যের থেকে কিভাবে ঠকিয়ে নিয়ে নিজে উপরে উঠবে এরকমই মনোভাব সবার।অথচ আমরা কেউ পরকালের কথা চিন্তা করছিনা।সবার মধ্যে এমন একটা ভাব যে দুনিয়ার জীবনেই হয়তো সবটা শেষ আমাদের।এজন্য হত্যা,চুরি,ডাকাতি ইত্যাদি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত সবাই।
বর্তমান সাধারণ মানুষের চলাচল অনেকটাই ঝুঁকিতে পড়েছে।বিশেষ করে রাতের বেলায় মানুষের যাতায়াত আগের মতো আর নিরাপদ নেই।বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিশ্চিত থাকার কোনো উপায় নেই যে আবার সশরীরে বাড়িতে ফিরতে পারবো।চারিদিকে দল বেধে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছিনতাইকারীর দল।কখন যে ভবলীলা সাঙ্গ হবে, এই ভয়ে যেন থাকতে হয় সারাক্ষণ।গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষগুলো বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।
কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের সাথে প্রান্ত নামের একটি ছেলের কথা শেয়ার করেছিলাম।যাকে অকালে হত্যা করা হয়েছে।সবার ধারণা ছিল রাজনীতির দ্বন্দ্ব থেকে এই হত্যা।আসলে ব্যপারটা এরকম ঘটেনি।প্রান্ত পড়েছিল এই ছিনতাইকারীদের হামলায়।বন্ধুর বোনের রক্ত দিয়ে ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা তাকে ঘেরাও করে।প্রান্তের থেকে তারা মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য জিনিস নিতে চাইলে প্রান্ত বাঁধা প্রদান করে।তখন ছিনতাইকারীরা তাকে আঘাত করে এবং ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে একটি ব্রিজের পাশে রেখে যায়।
প্রান্তের মৃত্যুর এক সপ্তাহের মধ্যেই আসামিদের শনাক্ত করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তের মাধ্যমে।তাদের তদন্তে আরও ধরা পড়ে ওই একইদিনে ছিনতাইকারীরা আরও একজনের উপর হামলা করেন।তার থেকেও মোবাইল ফোন এবং টাকা নিতে চাইলে তিনি বাধাপ্রদান করায় তাকেও আঘাত করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে।একপর্যায়ে সবকিছু নিয়ে ছিনতাইকারীর দল পালিয়ে যায়।কিন্তু সৌভাগ্যবশত তিনি এখনো বেঁচে আছেন।বর্তমান তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।সবাই ছিনতাইকারী থেকে সাবধানে থাকবেন বিশেষ করে রাতে এবং ভোরের দিকে চলাচলের ক্ষেত্রে।কারণ এই দুই সময় রাস্তা ফাঁকা থাকে এবং লোকজনের চলাচল খুবই কম। যার ফলে হামলাকারীরা এই সময়টাকেই টার্গেট করেন।উপরোক্ত দুটি ঘটনা এই দুই সময়েই ঘটেছিল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আপু আপনার লেখা এই গল্পটি আমাদের বাসার খুব কাছে ঘটেছে । তাহলে তো বুঝতে পারছি আপনিও ফরিদপুরেই থাকেন ।বেশ ভালো লাগলো। আর আপনি ঠিকই বলেছেন রাতের বেলা এবং ভোরের দিকে ছিনতাই গুলা অনেক বেশি হয়ে থাকে । তাই সবাইকে অনেক বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন।ধন্যবাদ।
জি আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছিনতাইকারী সব দিকে ছড়িয়ে পরেছে। কিছুদিন আগে আমাদের পাশের এলাকায় একজন ছিনতাইকারী একজন কে ভোর বেলায় আটকিয়ে অনেক টাকা নিয়ে গিয়েছিল। আজকে আপনার পোস্ট পরে খুব খারাপ লাগলো। আসলে সমাজের অবস্থা খুব খারাপ। সাবধানে থাকবেন আপু।
জি শহরের অবস্থা খারাপ,এজন্য প্রাণ গেল একজনের।ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আপনার ঘটনা শুনে তো শরির শিউরে উঠছে আমি তো মাঝে মধ্যে রাতে হাটাহাটি করি এখন ভয় লাগছে।আসলে আমাদের আইন শৃঙখলা বাহিনির আরো বেশি সতর্ক হতে হবে এবং একশন নিতে হবে এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে।
ঘটনা তো আমার সাথে ঘটেনি ভাইয়া।আমার শহরে ঘটেছে।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপু আপনার ঘটনাটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো।আসলে এ ধরনের ছিনতাই কারীরা পরকালের কথা ভাবে না।নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এরা জীবন ও নিয়ে নেয়।ঘটনাটি খুব ই দুঃখজনক। সাধারণত খুব ভোরে আর রাতে এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটে।আমাদের সকলের সচেতন হয়ে চলাফেরা করা উচিত।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সতর্কমূলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমিও মাঝেমধ্যে ভাবি যে, যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে, তারা কি একবারের জন্যও ভাবে না সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তারপর পরকালে সৃষ্টিকর্তার কাছে সব কিছুর হিসাব দিতে হবে। পরক্ষণে ভাবি যে তারা এসব কিছুই ভাবে না। কারণ তাদের কাছে দুনিয়া ই সব। যাইহোক আলোচিত দুটি ঘটনা ই খুব মর্মান্তিক। আমাদের সবার উচিত আরো বেশি সতর্ক হওয়া। কারণ ইদানীং ছিনতাই, রাহাজানি অনেক বেড়েছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ঠিক বলেছেন একদম ভাইয়া।ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য এবং মতামত প্রকাশ করার জন্য।