শিশুশ্রম থেকে বিরত থাকুন||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
গতকাল রাতে নিউজটি দেখে অনেকটা হতবাক হয়ে গেলাম।একজন নারী কিভাবে এতোটা ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।তিনি আবার একজন মা। মানুষে মানুষে যে বিভেদ, কোলাহল,হত্যা এগুলোর যেন শেষ নেই।পৃথিবী আর মানুষের বসবাস উপযুক্ত রইলনা।যত দিন যাচ্ছে মানুষ হিংস্র হয়ে উঠছে,প্রকাশ পাচ্ছে তাদের অমানবিক পৈচাশিক আচরণ।কোনো সময় এগুলো কোনো কারণ ছাড়াই ঘটে যাচ্ছে,শুধুমাত্র নিজের ক্রোধ মিটানোর জন্য।আমাদের দেশে যেকোনো ভয়ানক নৃশংস ঘটনা ঘটে যাচ্ছে নিমিষেই।কিন্তু তার একটিরও দৃষ্টান্তমূলক বিচার সময়মতো হচ্ছেনা। যার দরুন একজনকে দেখে অন্যজনের মানসিকতার পরিবর্তন হতেও দেরি লাগছে না।একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
গতকাল রাজধানীতে একটি আট বছর বয়সি মেয়ে শিশুকে হত্যা করে পালিয়েছে বাড়ির গৃহবধূ।মেয়েটি গৃহকর্মীর কাজে নিযুক্ত ছিল বাড়িটিতে।মেয়েটিকে তার ফুপু বাসাটিতে রেখে গিয়েছিল কাজের জন্য।মেয়েটির মা নেই,বাবা আছে। হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় দুবেলা যাতে ঠিকমতো খেতে পারে।এজন্য এসেছিল মানুষরুপি ওই ভয়ানক হায়েনার কাছে।কয়েকটি চ্যানেলের নিউজে দেখলাম।মেয়েটিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে,চোখ নষ্ট করে দিয়েছে।তারপর আবার শরীরে গরম পানি ঢেলেছে।এরপর মেয়েটির মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়েছে গৃহবধূ।
এলাকাবাসীরা বলছিলেন যে,মহিলা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে যুক্ত।এজন্য তার স্বামী তাকে ছেড়ে গেছেন।তিনি বর্তমান তার স্বামীর ফ্ল্যাটেই থাকতেন।এর আগেও বিভিন্ন মেয়েকে তারা কাজের জন্য পাঠিয়েছেন কিন্তু সবার সাথেই খারাপ আচরণ করেছেন ।তাই তারা কাজ ছেড়ে দিয়েছেন।যেহেতু তিনি নানান অবৈধ কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন।কিন্তু তার কোনো বিচার হচ্ছিল না।শিশু মেয়েটির মৃত্যুর মাধ্যমেই একজন খারাপ মানুষ সমাজ থেকে বিতাড়িত হবেন হয়তো।পাপের ঘরা পূর্ণ হয়ে গেলে পৃথিবীতেই শাস্তি পেতে হয়।সৃষ্টিকর্তা ছাড় দেন,ছেড়ে দেননা।মানুষরুপি ভয়ানক নারী খুব শীঘ্রই বুঝতে পারবেন এবার।সবশেষে বলবো,শিশু শ্রম একধরনের অপরাধ।এধরনের হত্যাকাণ্ড যাতে আর না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।এজন্য শিশুশ্রম থেকে বিরত থাকতে হবে আমাদের উভয় পক্ষকে।একজন শিশুর উপর পরিবারের দায়িত্ব না দিয়ে তাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে সমাজ এবং রাষ্ট্রের সহায়তা নিয়ে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
বর্তমানে আমাদের দেশে হত্যা খুন গুম যেন বেড়েই চলেছে। আর এর মধ্যে শিশুশ্রম অর্থাৎ শিশুকে নিজের বাসায় নিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া আবার কোন ভুলের জন্য তাদেরকে অত্যাচার করা, এটা শহর অঞ্চলের স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে। আপনার মত আমরাও প্রায় শুনতে পায় ছোট বাচ্চাদের কাজের নামে তাদের উপর অত্যাচার করা হয়। এমনকি তাদেরকে মেরেও ফেলা হয়। আসলে এর একবার কঠিন বিচার হয়ে গেলে, এগুলো থেকে মানুষ দূরে থাকতো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
এই ঘটনাটার কথা আমি শুনেছিলাম আপু। আমি যখন শুনেছিলাম তখন আমার কাছেও অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল। আমাদের সবারই উচিত শিশুশ্রম থেকে বিরত থাকা। একদিন না একদিন এই মানুষদের বিচার অবশ্যই হবে। এরকম মানুষের জন্য দেশটা একেবারে নিশংস হয়ে যাচ্ছে।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন আপনি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি খবরটা হয়তো দেখিনি ব্যাস্ততার কারনে, যাইহোক আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। সত্যিই গা শিউরে ওঠার মতো ব্যাপার এটা। আমাদের শিশু শ্রমকে না বলতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ এরকম মানুষরূপী পিশাচদের উপযুক্ত বিচার হবে।
জি ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে ।
খবরটা একবার দেখা হয়েছিল। তারপর আর দেখতে পুড়ো খবর দেখা হয়নি। কারন আমি আবার এগুলো নিতে পারিনা। আমার অনেক খারাপ লাগে। কিন্তু আমি ভাবী যে কি করে এরা পারে এত করুন ভাবে এত শিশু একটি বাচ্চাকে মেরে ফেলতে। আমিও চাই এমন জঘন্য মানুষের শাস্তি হউক। দারুন লিখেছেন আপু।
জি আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ চলে এসেছে। মানুষের এই হিংসাত্মক বিবেকহীন কর্মকাণ্ড সাথে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করেই চলেছে অনলাইনে গেলেই বিভিন্ন ধরনের নিউজে এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা গুলো দেখতে পাওয়া যায়। নিষ্পাপ বাচ্চাটিকে কিভাবে হত্যা করলো সত্যিই হৃদয়ের অন্তর্নিহিত বিষয়টি নাড়া দেয়।
জি ভাইয়া হৃদয়স্পর্শী এসক ঘটনা গুলো।ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য।
মানুষের মন এত নিষ্ঠুর হয় কিভাবে। হয়তো ওই মহিলারও সন্তান ছিল। একবারও চিন্তা করতে পারতো একটা অনাথ শিশুকে এভাবে হত্যা করা তার মনে একবারও বাধা দিল না। এই ধরনের জঘন্য পাপীকে করুন শাস্তি দেওয়া খুবই দরকার। আমাদের সমাজ থেকে আসলে শিশুশ্রম কখনো যাবে না। শিশুশ্রম থাকবে এবং অনবরত শিশুদেরকে হত্যা করা হবে। তাছাড়া শিশুদের প্রতি নির্যাতন চলতেই থাকবে। যদি মা-বাবারা সচেতন না হয় তাহলে পরের দোষ কি আর দিব। অনেক ভালো লিখেছেন আপু খুবই খারাপ লাগলো পড়ে ধন্যবাদ।
জি আপু ওনারও সন্তান আছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই ঘটনাটির কথা যদিও শোনা হয়নি তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে সর্বপ্রথম জানতে পারলাম। এই বিষয়টা শুনে আমার যা একেবারে শিউরে উঠেছে। এরকম নিশংস মানুষ কিভাবে হয়। এরকম মানুষের রূপী হিংস্র প্রাণীরা সত্যি অনেক বেশি ভয়ংকর হয়। সেই ছোট্ট বাচ্চাটার জন্য অনেক খারাপ লেগেছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই দোয়া করি যেন ওই মহিলাটির অনেক বড় শাস্তি হয়। আর বাচ্চাটা যেন বেহেস্ত নসিব করে।
জি আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে আট বছরের শিশুকে হত্যা করে বাড়ি থেকে পালিয়েছে এই বিষয়টি সত্যি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। আসলে আমাদের দেশে এমন ঘটনা এখন অনেক দেখা যায়। ধন্যবাদ আপু সময় উপযোগী একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া দুঃখজনক একটি ঘটনা।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্যের জন্য।
আমাদের মাঝে সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট শেয়ার করেছেন।আমাদের দেশে হত্যা,নেশাদ্রব্য ওসিসি শ্রম এগুলো বিপুল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।আমার যতটুকু মনে হয় আমরা যদি আমাদের মানসিকতা বিবেক যতদিন ঠিক করতে পারব না ততদিন এগুলো আরো বৃদ্ধি পাবে।শুধু আইন কঠোর করলে অন্যায়কে সবাই ভয় পায় না। কিন্তু নিজেদের বিবেককে পরিবর্তন করলে অন্যায় করতে সাহস পায় না।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।