রেসিপি||লাউ আলু দিয়ে শৈল মাছ রান্না||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে।কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশী বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি।আমার আজকের রেসিপি লাউ ,আলু দিয়ে শৈল মাছ রান্না।আমরা মাছে ভাতে বাঙালি।দুপুরের খাবার মেনুতে মাছ না থাকলে আমাদের খাওয়াটা সম্পূর্ণ হয়না।যারা এই মাছ খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য শীতকালের একটি বেস্ট রেসিপি আমি আজ শেয়ার করছি।সেদিন বাসায় রেসিপিটি তৈরি করা হয়েছিল আর খেতেও ভালো ছিল। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিই আমার আজকের মজাদার রেসিপিটি।
Posted using SteemPro Mobile
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
শৈল মাছ | ৭ পিচ |
আলু | ২টি |
লাউ | ১/২ অংশ |
কাঁচা মরিচ | ৫টি |
শুকনো মরিচ মরিচ | ৬ টি |
পেঁয়াজ | ৩টি |
রসুন | ১টি |
শুকনো মরিচের গুড়া | পরিমাণ মতো |
ধনিয়া গুড়া | পরিমাণ মতো |
ধনিয়া পাতা কুচি | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
হলুদ | পরিমাণ মতো |
জিরা | পরিমাণ মতো |
সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
নিম্নে রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করছি।
ধাপ-১
ধাপ-১
প্রথমে পেঁয়াজ ,রসুন, কাঁচা মরিচ,জিরা বেটে নিতে হবে।তারপর মাছ গুলোকে লবণ, হলুদ দিয়ে মেখে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২
ধাপ-২
এবার কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে বাটা মসলা দিয়ে নেড়ে চেড়ে সবজিগুলো দিয়ে দিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো লবণ,হলুদ গুড়া,ধনিয়া গুড়া,শুকনো মরিচ গুড়া দিয়ে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি উপকরণ গুলো।
ধাপ-৩
ধাপ-৩
এবার অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে তরকারি ভুনা করে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
ধাপ-৪
এবার ধনিয়া পাতা কুচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।তারপর কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়েছি।ব্যাস আমার রেসিপি প্রস্তুত হয়ে গেল।
ধাপ-৫
ধাপ-৫
এবার একটি পাত্রে পরিবেশন করেছি রেসিপিটি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার রেসিপি ব্লগটি পড়ার জন্য।আজকের মতোএখানেই শেষ করছি আমার রেসিপি।আবার নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে আপনাদের সাথে খুব শীঘ্রই দেখা হবে। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
রেসিপি ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
তারিখ | ১১-১২-২০২৩ |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
লাউ আলু দিয়ে শৈল মাছ রান্না দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশে অসাধারণ হয়েছে। ধাপে ধাপে শেয়ার কারার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার ভাবে আজকে আপনি আমাদের মাঝে সোল মাছের রেসিপি তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আপনার এ রেসিপি কিন্তু আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। পাশাপাশি ব্লগটা কিন্তু দারুণভাবে সাজিয়েছেন আপনি। উপস্থাপনা টা ছিল অসাধারণ।
আমার ব্লগটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
শীতের সবজি লাউ দিয়ে খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই লাউ দিয়ে শোল মাছের রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আসলে লাউ দিয়ে রেসিপিগুলো খেতে খুবই মজা হয়। আপনার এই রেসিপির পরিবেশনে আমার খুবই ভালো লাগলো।
জি ঠিক বলেছেন একদম,ধন্যবাদ ভাইয়া।
লাউ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। শীতকালে ঠান্ডা ঠান্ডা লাউয়ের তরকারি আমার ভীষণ পছন্দের। আলু এবং শৈল মাছ দিয়ে লাউয়ের রেসিপিটা বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু ।
লাউ আর আলু দিয়ে আপনি শোল মাছের একটি দুর্দান্ত রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু এই রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে মাছ না থাকলে খাবারের দুপুরবেলায় খাওয়ার মজাই লাগেনা, এবং কি খাওয়া একেবারে সম্পূর্ণ হয় না। শৈল মাছ আমার অনেক বেশি পছন্দের। যার কারণে এটা আমার জন্য সত্যি অনেক বেস্ট একটা রেসিপি। লাউ দিয়ে শৈল মাছ রান্না খাওয়া হয়েছে। তবে সাথে আলু ছিল না। যার কারণে লাউ আলু দিয়ে শৈল মাছ রান্না করলে কি রকম হয় এটা জানা নেই। আপনি অনেক মজাদার ভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন। দুপুরবেলায় মজাদার রেসিপি টা দেখার কারণে, আমার একটু বেশি লোভ লেগে গিয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যিই আমাদের বাঙালিদের মাছ ছাড়া একবেলাও চলে না। লাউ সুন্নতি খাবার এবং আমি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আর শৈল মাছ খুব স্বাদের এবং পুষ্টিকর মাছ। লাউ দিয়ে ভীষণ তৃপ্তিদায়ক একটি খাবার রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আর পরিবেশন অসাধারণ ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি ভাইয়া একদম।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু মাছ ছাড়া আমাদের জন্য একদিনও চলতে চায় না। শীতকালে লাউ খেতে অন্যরকম মজা লাগে।তাছাড়া শীতকালের লাউ অনেক কচিও হয়। শোল মাছ দিয়ে এভাবে লাউ এর রেসিপি খুবই ভালো লাগে খেতে। আপনিও আজকে খুবই সুস্বাদু করে রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে।
ধন্যবাদ আপু আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।
লাউ এবং শোল মাছ দুটোই আমার ভীষণ প্রিয়। লাউ আলু দিয়ে শৈল মাছ রান্না দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। রান্নার ধাপসমূহ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো ছিলো আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন দুপুরের খাবারে যদি মাছ না থাকে তাহলে খেতে খুব একটা ভালো লাগে না আর বাঙালি হিসেবে মাছ সকলের অনেক বেশি পছন্দের। খুবই মজাদার এবং লোভনীয় শোল মাছ রান্নার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, বাজারের নতুন আলু এসেছে আর এই নতুন আলু এবং লাউ দিয়ে যদি শোল মাছ রান্না করা হয় তাহলে খুবই সুস্বাদু লাগে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।