চাচাতো বোনের হাতে মেহেদী দেওয়া এবং আর্ট নিয়ে মজার কিছু গল্প||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে চাচাতো বোনের হাতে মেহেদি দেওয়া এবং আমার জীবনে আর্ট নিয়ে কিছু মজার ঘটনা শেয়ার করবো।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে খুব ভালো আর্ট পারেন।যারা খুব ভালো আর্ট পারেন তাদের কাছে মেহেদী দেওয়া কোনো ব্যাপার হয়না সাধারণত।তবে যারা আর্ট ভালো পারেন না একদমই তাদের কাছে মেহেদী দেওয়া অনেকটাই কষ্টসাধ্য কাজ।
আমি আর্টের বিষয়ে একদমই অদক্ষ।এজন্য মেহেদী দেওয়া আমার কাছে অনেকটাই কষ্টসাধ্য কাজ।ছোটবেলায় মেহেদী পরা হতো বড়দের থেকে।কিন্তু বড় হওয়ার পর আর পরা হয়না বললেই চলে।আনুমানিক ১০ বছর হবে হয়তো যে মেহেদী পরা হয়না আমার এই মেহেদী দিতে না পারার জন্য।অবশ্য কখনো চেষ্টাও করিনি মেহেদী দেওয়ার।কারণ চেষ্টা করতে করতেই একপর্যায়ে গিয়ে ভালো ডিজাইন করা সম্ভব হয়।এসকল কিছু শখের পর্যায়ে পড়ে।আমার আবার খুব একটা শখ নেই যেকোনো কিছু দায় পড়লেই করা হয় আরকি আমার।
তো কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর আমার চাচাতো বোন এসেছে আমার কাছে মেহেদী নিতে।এদিকে মেহেদী দেওয়ায় তো আমি অস্টরম্ভা।এখন উপায় কি!প্রথমেই তো বললাম মনি আমি মেহেদী দিতে পারিনা কিন্তু সে মেহেদী পরবেই যেমনি দিই না কেন। পরে অন্যরা দিয়ে দিতে বলায় রিস্ক নিয়ে দিলাম যে কান্না করলে আমার দোষ নেই।তবে মেহেদী দেওয়া শেষে তার নাকি পছন্দ হয়েছে ডিজাইন।তো যাক এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম আরকি।অবশ্য চার বছরের বাবু ছিল এজন্যই পছন্দ হয়েছে তা না হলে আর হতো না,হিহি।
এবার চলুন আমার স্কুল কলেজ লাইফের আর্ট এর গল্প শেয়ার করি।২০১৫ সালে আমি নিজে হাতে আর্ট করা শিখেছি প্র্যাকটিকাল খাতা করতে গিয়ে যেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।তার আগে আমার আম্মু সব আর্ট করে দিতেন চারুকারুর খাতাগুলো।তো গনিত বিষয়গুলোতে সম্পদ্য,উপপাদ্য গুলো আমি নিজেই আঁকতে পারতাম।সেগুলোতে কখনোই কোনো সমস্যা হতনা।কারণ ওগুলো তো বাধ্যতামূলক বিষয় ছিল একাডেমিক বিষয়ে।তাছাড়া অন্যান্য ক্লাসের বিজ্ঞান বইয়ে অনেক সময় চিত্র আর্ট এসে থাকতো পরীক্ষায় ।ওগুলো সবসময় স্কিপ করতাম এবং অন্য প্রশ্নের উত্তর করার চেষ্টা করতাম।
কিন্তু এসএসসি পরীক্ষা যখন দিচ্ছিলাম আমাদের জীববিজ্ঞান বিষয়ে চিত্র আঁকতে হবে এরকম একটা প্রশ্নের উত্তর করেছি।এবার তো আর্ট এর পালা কিন্তু না দেখে আর্ট আমার পক্ষে সম্ভব না ।এবার আমার পিছনের সিট এ থাকা এক বান্ধবীকে বললাম এক সেট প্রশ্ন আমার খাতা দেখে লেখ আর আমার আর্ট টা করে দে বান্ধবী।আর বন্ধুর বিপদে সবসময় বন্ধুরা পাশে থাকবে এটাই তো বন্ধুত্ব।এভাবে করে আমার বন্ধু বান্ধবীর সাহায্যে আমি আর্ট নামক বিষয়গুলো থেকে রক্ষা পেতাম।
এবার কলেজ লাইফের একটি ঘটনা শেয়ার করি চলুন।আমাদের ইন্টারমিডিয়েট এ উদ্ভিদ বিদ্যা প্র্যাকটিকাল পরীক্ষাতে খাতায় আর্ট করে দেখাতে হয়েছিল ।এখানে অবশ্য দেখেই আর্ট করতে দিয়েছিল কিন্তু উদ্ভিদবিদ্যা তে কিছু চিত্র ছিল বেশ জটিল।যেগুলো ৩০ মিনিটের মধ্যে আঁকতে পারা অনেকটাই কষ্টসাধ্য। তারপরে আবার যতক্ষণ না ভালো আর্ট হবে ততক্ষণ খাতা জমা নিবেনা।ওখানে আমি এবং আমার এক বান্ধবী দুজনে আর্ট এ অদক্ষ হওয়ায় আমাদের সবার চেয়ে একঘন্টা সময় বেশি দিয়ে আর্ট ভালো হওয়ার পর খাতা জমা নিয়েছিল। অনেকটা ভোগান্তি তে পড়তে হয়েছিল দুজনের।এই ছিল আমার আর্ট এর বিষয়ে কিছু গল্প।এগুলো এখন যদিও বলছি যে মজার ঘটনা কিন্তু সেই মুহূর্তগুলোতে অনেকটাই কষ্টসাধ্য ঘটনা ছিল।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | নিজ বাসস্থান |
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 21th May,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
চেষ্টা করলেই কোন জিনিস অসাধ্য নয় আপু। মানুষের সাধ্যের বাইরে কেবলমাত্র মৃত্যুকে ঠেকানো তা ব্যতীত যেকোনো কাজ মানুষ চেষ্টা পরিশ্রম এবং কঠিন সংকল্পতা নিয়ে শুরু করলেই সে কাজ সম্পূর্ণ হতে বাধ্য। কে বলেছে আপনি মেহেদী আর্ট পারেন না। অসম্ভব সুন্দর ডিজাইন দিয়ে মেহেদী আর্ট টি করেছেন আপনি। একটা কথা বলি, আমাদের কমিউনিটিতে অনেকেই মেহেদী আর্ট ডিজাইন পোস্ট করে তো চাইলে আপনিও মেহেদি ডিজাইন এর পোস্ট করতে পারেন। তাহলে একদিন ভালো ভালো ডিজাইন আপনিও করতে পারবেন। শুভকামনা রইল।
জি আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই,ধন্যবাদ আপনাকে।
মেহেদি ডিজাইন আর্ট করার গল্পটি পড়ে ভালোই লাগলো। আপনার চাচাতো বোন আপনার উপর বিশ্বাস রেখেছে আপনি চেষ্টা করেছেন বলেই আপনার ডিজাইন করা তার পছন্দ হয়েছিল। যদিও আপনি ভয় পেয়ে ছিলেন এরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী অনেকেই হয়ে থাকে। যাইহোক স্কুল লাইফ কলেজ লাইফের যে প্র্যাকটিক্যাল খাতার আর্টগুলো করা হয় সেগুলো আমি তেমন একটা পারতাম না। বান্ধবী কিংবা বন্ধুদের কাছ থেকে সেটা সংগ্রহ করে নিতাম । সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো হাসি পায়।
আগেকার দিনের কথা মনে পড়লে আসলেই হাসি পায়,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার চাচাতো বোনের হাতে মেহেদী দেওয়া এবং আর্ট নিয়ে মজার কিছু গল্প। আপনি বেশ দারুণভাবে আপনার চাচাতো বোনের হাতে মেহেদী দেওয়ার ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রাকটিক্যাল খাতার গল্প দেখলাম আপনার পোস্টের মধ্যে বেশ দারুন। আসলে আমি আর্ট করতে ভালো পারিনি প্রাকটিক্যাল খাতা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আর্ট ভালো না পারলে একটু সমস্যায় পড়তে হয়,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমরাও স্কুল জীবনে কিংবা পরীক্ষার সময় বন্ধু-বান্ধবকে দিয়ে কত যে আর্ট করিয়ে নিয়েছি তার কোন হিসাব নেই আপু। তাছাড়া কলেজ লাইফে আপনাদের যে আর্ট করতে আরো এক ঘন্টা এক্সট্রা টাইম দিয়েছিল, এটা তো অবশ্যই আপনাদের সৌভাগ্য বলা চলে। হা হা হা... যাইহোক, আপনার চাচাতো বোনের হাতে যে মেহেদী দিয়েছেন, সেটা কিন্তু খুব বেশি একটা খারাপ লাগছে না দেখতে।