নাটক রিভিউ - তোর জন্য মরতে পারি||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে ফিরে এলাম।নাটকটি আজকেই দেখলাম আর বেশ ভালো লাগলো তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করি।নাটকটি ভালো লাগত অন্যতম কারণ ছিল বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপট কে কেন্দ্র করে মেয়েদের পরিণতি নিয়ে লেখা গল্পটি ।চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আমার নাটকের রিভিউ পোস্ট।
নাটকের নাম | তোর জন্য মরতে পারি |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | রাফাত মজুমদার রিংকু |
স্ক্রীপ্ট | রাসেল আজম |
অভিনয়ে | তানজিম সায়ারা তটিনী,খায়রুল বাশার,জিল্লুর রহমান,রিয়াজ রাজ আরও অনেকে |
চিত্রগ্রহণ | খায়রুল ইসলাম শিমুল |
সহকারি পরিচালক | মোঃ রাশেদ রাতুল |
মুক্তির তারিখ | ০৭-০৬-২০২৪ |
দৈর্ঘ্য | ৪১ মিনিট ৪৭সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকটিতে অভিনীত নায়কের চরিত্রের নাম রাসেল এবং নায়িকার চরিত্রের নাম নার্গিস ।রাসেল নার্গিসকে খুব ভালবাসে তার জন্য সবকিছু করতে পারে।বাইকে করে রাসেল নার্গিসকে নিয়ে ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যায়।কিন্তু নার্গিস কলেজে যাবে তার ঘুরার কোনো ইচ্ছা নাই।রাসেল তখন বলে পড়াশুনার সাথে ঘুরাফেরা ও দরকার আছে।কিন্তু নার্গিস কোনো কথা না শুনেই ফিরে যায় কলেজের উদ্দেশ্যে।তারপরের সিন দেখায় রাসেল ক্রাম খেলছে একটি ছেলেকে মারছে।কারণ সে তার নার্গিসকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলেছে।এরপর ফুসকার দোকানে নার্গিস তার বান্ধবীদের সাথে ৫০০ টাকা বাজি ধরে ফুসকা খাচ্ছিল।কিন্তু অতিরিক্ত ঝাল দেওয়া ফুসকা নার্গিসের খেতে কষ্ট হচ্ছিল।তাই রাসেল এসে ফুসকা ফেলে দেয় এবং ফুসকাওআলা মামা কে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এরপরের দৃশ্যে নার্গিস তার ছাত্রীকে পড়াতে সেখানে গিয়েছে এটি দেখায়।ওখানে গিয়ে ছাত্রীর মাকে রাসেল বেতনের সাথে ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দিতে বলে।কিন্তু ছাত্রীর মা নিষেধ করে পরে অনুরোধ করায় রাখে তার কথা।নার্গিসকে বেতনের টাকা দেয় ছাত্রীর মা মূল বেতনের সাথে ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দেয়।তখন নার্গিস প্রশ্ন করে কেন টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।তার ছাত্রী তো এবার গণিতে মাত্র ৪৫ পেয়েছে।ঠিক তখনি নার্গিসের মনে পড়ে রাসেলের কথা।তখন পড়ানো শেষ করে নার্গিস রাসেলকে গিয়ে ধরে এবং টাকা কেন দিয়েছে জানতে চায়।রাসেল বলে সে টাকা ইনকাম করে তার দিলে কিছু হবেনা কারণ আপনজনের দিয়েছে।
এরপরের দৃশ্যে দেখায় যে,নার্গিস সেজে গুজে কলেজে যাচ্ছে।কিন্তু তখন নার্গিসের মা তাকে একটি বস্তা নিয়ে তার বাবাকে দিতে বলে।কারণ তার কোনো ভাইবোন নেই সে ছাড়া।নার্গিস কোনোভাবেই নিতে চায়না সেই বস্তা কারণ নতুন জামা পরেছে সেটাই ময়লা লেগে যেতে পারে।ঠিক তখনি রাসেল এসে বস্তা নিয়ে যেতে চাই।তখন নার্গিস তাকে ধন্যবাদ জানাই।তারপর কিছুদূর যেতেই দেখা যায় নার্গিসকে নিতে একটি ছেলে গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।ছেলেটি নার্গিসের প্রেমিক।তারপর তারা দুইজন ঘুরতে যায়।সেখানে তাদের অনুসরণ করে রাসেল।তারপর রাসেলের পুরো ব্যাপারটি খুব খারাপ লাগে।কারণ সে তার ভালোবাসার মানুষকে অন্য করো সঙ্গে দেখতে পারছে না।
কলেজের সামনে রাসেল বোঝাতে চেষ্টা করে নার্গিস কে।সে তাকে কখনোই বিয়ে করবেনা।কারণ নার্গিস এর বাবা তরকারির ব্যবসা করে আর ছেলেটি অনেক বড়লোক।সে শুধু শুধু টাইম পাস করছে তার সাথে।তখন নার্গিস তাকে ঝাড়ি দিয়ে চলে যায় যে ভালোবাসায় সব সম্ভব ধনী দরিদ্র ব্যাপার না।তারপর রাসেলের এক বন্ধু তাকে পানির মধ্যে চুবানি খাওয়ায় বোঝাতে যে নিজেকেই মানুষ ভালোবাসে।নিজের জীবনের উপর কেই নেই।সে সেখানেও নার্গিসের মুক্তি দেখতে পাই।বলতে গেলে নার্গিসকে ছাড়া সে বাঁচবেনা তার জন্য সে মরতেও রাজি।
এর মধ্যে নার্গিসের সাথে তার প্রেমিকের অবৈধ সম্পর্ক হয়ে যায়।তখন সে প্রেম টা ব্রেকআপ করতে চাই।তখন নার্গিস কান্নাকাটি করে এরপর তাদের প্রেমটা থাকে।একটি বাসা থেকে নার্গিসকে শাড়ি পরে বেরিয়ে যেতে দেখায় এই দৃশ্যে।তখন তার প্রেমিক এসে তাকে নিয়ে কোথাও একটা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।তখন নার্গিসের একটি ফোন আসে তার বাবা স্ট্রোক করেছে ফোনে বলা হয়।তখন নার্গিস বাড়ি গিয়ে দেখে তার বাবার কিছু হয়নি বাজারে সে।নার্গিসের মা তার শাড়ি পরা দেখে প্রশ্ন করে এক পোশাকে গিয়ে ওই শাড়ি কোথায় পেয়েছে।তখন নার্গিস কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।তারপর তার প্রেমিককে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছে রাসেল সেটা দেখতে পাই।সেখানে গিয়ে তারা দুজনে নার্গিসের ভালোবাসার পরীক্ষা দেয়। বিষ মিশ্রিত পানি খেতে গেলে নার্গিস তার প্রেমিককে আটকায়।কিন্তু রাসেল ঠিকই সেই বিষপানি খেয়ে ফেলে।
তারপর হাসপাতালে নিয়ে যায় রাসেলকে দুজনে।সেখানে তার জন্য প্রার্থনা করে নার্গিস।তখন নার্গিসের প্রেমিক বলে সে তাকে ভালবাসে কিন্তু তার সংসার করে অন্য কাওকে মিস করবে এটা কখনোই মানতে পারবেনা তিনি।তারপর সেখান থেকে চলে যায় তিনি।নার্গিস রাসেলকে দেখতে চাইলে ডাক্তার বলে তিনি আশঙ্কা মুক্ত দেখতে পারেন।সেখানে গিয়ে দুজনের কথা হয় এবং নাটকটি এখানে শেষ হয়।
সবগুলো স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
আমার কাছে নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে।নাটকটিতে অনেক গুলো শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে।বর্তমান মেয়েরা রঙিন স্বপ্ন দেখে ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজেদের সম্মানহানি করে ফেলছে।তাছাড়া কোনটা তার জন্য ভালো বা খারাপ সেই পার্থক্য করতে পারছেনা।এরকম দৃশ্য গুলো আমাদের সমাজে অহরহ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। দরিদ্র বা নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়েরা নিজেদের অবস্থান ভুলে গিয়ে আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখতে গিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপদে পড়ছে।কোনটা সঠিক ভালোবাসা আর কোনটা বেঠিক তারা পার্থক্য করতে ভুল করছে।নাটকের গল্পে রাসেল ছিল সঠিক ভালোবাসার মানুষ নার্গিসের জীবনে কারণ সে তার জন্য মরতেও রাজি ছিল ।অন্যদিকে টাকাওয়ালা প্রেমিক ছিল বেঠিক সে তাকে কখনোই ভালোবাসতো না উল্টো তার ক্ষতির কারণ হয়েছিল।গল্পটি খুব সুন্দর করে বর্তমান প্রেক্ষাপট কে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে।
এই নাটকটিতে আমি ৯/১০ রেটিং দিলাম। |
Post by-@rahnumanurdisha
Date-13th June,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
এ নাটকটি আমি দুদিন আগে দেখেছি। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে মেয়েটি হয়তো বুঝতেই পারেনি সে ওই ছেলেটিকে ভালোবাসে। এরপর শেষে গিয়ে বুঝতে পেরেছে। নাটকের শেষটা দারুন ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু।
আমি আজই দেখেছি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটকটির মাধ্যমে সুন্দর একটা শিক্ষা আমরা পেয়েছি। বেশ ভালো লাগলো। অত্যন্ত সুন্দরভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে প্রায় মেয়ে ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজের সম্মানহানি করে ফেলতেছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার রিভিউটি।
জি ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
তটিনী এবং খাইরুল বাশারের জুটিটা আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। তাদের দুজনের নাটক আমি অনেক দেখেছি। দুজনেই তাদের নাটকগুলোতে অনেক সুন্দর অভিনয় করে। তোমার জন্য মরতে পারি এই নাটকটা অনেক সুন্দর ছিল। এই নাটকটা যদিও এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি, কিন্তু নাটকের পুরো কাহিনী খুব ভালো লেগেছে। আমাদের সমাজে নারীদের সাথে এরকম ঘটনা কিন্তু বর্তমানে ঘটতেছে। এটা থেকে তাদেরকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। সঠিক এবং বেঠিক ভালোবাসাটা তারা আসলেই বুঝতেই পারেনা এখনো। এরপরে তারা খারাপ কোন কিছুর সম্মুখীন হয়ে থাকে। খুব সুন্দর ছিল নাটকটা।
জি ভাইয়া এই জুটির নাটক বেশ ভালো লাগে আমারও।
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপনি। আপনার নাটক রিভিউটা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। বেশ চমৎকার ছিল আপনার আজকের এই নাটকটা। এত সুন্দর ভাবে নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
এই নাটকটার সাথে কিন্তু বাস্তবতার মিল রয়েছে। এটার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো বিষয় রয়েছে। আসলে আমাদের সমাজে বর্তমানে মেয়েগুলো ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে তারা ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজেদের সম্মানহানি করে ফেলছে। তারা সঠিক ভালোবাসা কোনটা এবং ভুল ভালোবাসা কোনটা এটাই বুঝতে পারে না। আমি সময় পেলে নাটকটা দেখবো।
জি আপু বাস্তবিক একটি নাটক ছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেখে ছবি ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি সুন্দর নাটক এর রিভিউ এখানে শেয়ার করেছেন তা বেশ অসাধারণ হয়েছে এবং এখানে আপনি সবগুলো ঘটনা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ধন্যবাদ ভাইয়া।