মানুষকে অত্যাধিক বিশ্বাস করাটা বিপত্তির কারণ(পর্ব -১)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে কি বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন নিশ্চয় বন্ধুরা।আপনারা কি যেকোনো লোককে সহজেই বিশ্বাস করেন?লোকটি আপনার রিলেটিভ পরিচিত, আবার আংশিক পরিচিত এগুলোর কোনো একটি।মানুষটিকে দেখে আপনার মনে হয় সৎ ভালো একজন ব্যক্তি। সৎ ভালো ব্যক্তি বলতে আমরা কেমন ধরনের লোককে বুঝি।যে কিনা নামাজী,কথার সাথে কাজের মিল এগুলো গুণাগুণ সমৃদ্ধ মানুষ। এটা ঠিক আমরা সমাজে বসবাস করি।আমাদের সকলের সাথে মিলে মিশে অন্যের উপর আস্থা রেখে জীবন নির্বাহ করতে হয়।বেশিরভাগ লোকজন নিজে ঠিক যেমনটা অন্যকেও ঠিক তেমনটাই মনে করে।কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি একদমই ভিন্ন।
আমি সবসময় অন্যকে যথাযথ দুরত্বেই রাখি।যে কিনা তারা কোনো ধরনের সমস্যা না সৃষ্টি করে আমার জীবনে পরবর্তীতে।দেখুন পৃথিবীর সেরা জীব হচ্ছে মানুষ।আর আপনি এই মানুষ জাতির মন কখনোই পাবেন না ।আপনি তাদের জন্য যতটুকুই করেন না কেন।তাদের আপনার প্রশংসা করতে যেমনি সময় লাগবে না ঠিক আপনার নিন্দা করতেও সময় লাগবেনা।এই দুইটি তারা খুব সহজেই করে ফেলতে পারেন সময়ের অপেক্ষা শুধুমাত্র।তাই আমার মনে হয় কাউকে অত্যাধিক বিশ্বাস করলে পরবর্তীতে ঠকতে হয়।
আমার এসব কথাবার্তা শুনে আপনাদের অদ্ভুত লাগছে তাইনা।আর মনে হচ্ছে আমি নেতিবাচক চিন্তাধারার একজন মানুষ।পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে আমার মতে,আপনাকে কিছুটা নেতিবাচক চিন্তার মানসিকতা রাখতে হবে যদি আপনি দুর্বল চিত্তের মানুষ হয়ে থাকেন।আর আমি যে এরকম চিন্তাভাবনা ধারণ করি এজন্য আমার বাড়ির লোকজন আমাকে প্রায় রাগারাগি করে।কিন্তু পরবর্তীতে যখন আমার এই চিন্তা গুলো কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সঠিক হয়ে যায় তখন আর কিছু বলেনা। আজকে একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এলাম।এরপর আপনারা আমার এসকল চিন্তাভাবনা রাখার কারণ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
আমার আব্বু হচ্ছে লোকজনকে খুব বেশি ভরসা করেন,বিশ্বাস করেন।ওইযে নিজে যেরকম সবাইকে সেরকম ভাবে আরকি।কিন্তু পৃথিবী তো আর তেমন টা না।আমরা বাইরে একজন মানুষকে যা দেখি মানুষটি তেমনটা নাও হতে পারে।আসলে বিষয়টি হচ্ছে আমার দাঁত এর ক্যাপ লাগানো নিয়ে একটি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।আসলে সমস্যাটা ওই ডাক্তার যিনি তিনিই সৃষ্টি করেছেন।অর্থাৎ তিনি তার পারিশ্রমিক টা নিয়েও কাজটি সঠিকভাবে করেন নি আরকি।আর এই বিষয়টি আমি প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলাম।কিন্তু তখন বাড়িতে বললে, আব্বু আমাকে রাগারাগি করেছিলেন যে,আমি সবসময় মানুষকে অবিশ্বাস করি আর নেতিবাচক চিন্তা ধারণ করি এজন্য। যিনি ডাক্তার তিনি একজন ডাক্তার নামাজী ,ভালো একজন মানুষ।
কিন্তু আজকে আমার সন্দেহ টাই সঠিক,ডাক্তার দেখাতে গিয়ে আজকে বিষয়টি একদম ক্লিয়ার হয়ে গেল।আজকে লেখাটি অনেকটা বড় হয়ে গেল বন্ধুরা পরবর্তী পর্বে লেখাটি ডিটেইলস এ শুরুর দিক থেকে শেয়ার করবো বন্ধুরা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date-23December,2023
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আসলেই মানুষকে অতিরিক্ত বিশ্বাস না করে যথাযথ দূরত্ব মেনে চলাটাই ভালো। তাতে অযথা অনেক উটকো ঝামেলা থেকেও দূরে থাকা যায়। আপনার অনুমান করার ক্ষমতা / পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা হয়তো একটু বেশিই ভালো, তাই সহজেই বুঝতে পারেন কে কেমন প্রকৃতির। যাই হোক, ডিটেইলস ঘটনা জানার অপেক্ষায় রইলাম আপু...
জি দূরত্ব মেইনটেইন করে চলাই ভালো আমি মনে করি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে মাত্রা অতিরিক্ত বিশ্বাসের ফল বিশ্বাস ঘাতকতাই হয় দিনশেষে। আঙ্কেল ভালো মানুষ তাই চারপাশের সবাইকেই ভালো মনে করেন আসলে এই যে নামাজী হলেই সে খুব ভালো হবে ব্যাপারটা তা নয়। কত শ্রেণীর মানুষ আছে বুঝা বড় দায়।
জি আপু,মানুষ ধার্মিক হয়েও নীতি কে বিসর্জন দেয়।ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আঙ্কেল সাদা মনের মানুষ এজন্য খুব সহজেই সবাইকে বিশ্বাস করে। যেহেতু আঙ্কেল সাদা মনের মানুষ তাই ডাক্তারকে বেশি বিশ্বাস করেছিল আসলে ডাক্তারের সাথে কি হয়েছিল সেটা পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবেন আর আমার তো সেটা জানার আগ্রহ জেগেছে অপেক্ষায় রইলাম।
জি,ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক বলছেন আপু আসলে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাস করা ভালো নয়। কারণ প্রতিটি মানুষ আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে পৃথিবীতে আসেন। যদিও কিছু মানুষের চালচলন দেখলে ভালো লাগে। কিন্তু মানুষ বাইরে এক রকম ভিতরে আরেক রকম। মানুষের মন বোঝা খুবই জটিল বিষয়। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু একদম ঠিক বলেছেন,ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান যুগে মানুষ চেনা বড় দায়। কারণ উপর দিয়ে ভালো মানুষ মনে হলেও, বেশিরভাগ মানুষ ভিতরে ভিতরে শয়তান। তারা নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য যেকোনো বাজে কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না। সুতরাং এখন মানুষের সাথে যত কম মেলামেশা করা যায় ততই ভালো। কারো সম্পর্কে আপনার ধারণা করার ক্ষমতা দারুণ, তাইতো আগে থেকেই বুঝতে পারেন কে কেমন হবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
হ্যা এটাই সন্দেহ হয়েছিল আমার,আর সেটাই হলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
যারা ভালো মানুষ তাদের এই একটি সমস্যা সবাইকে নিজের মত মনে করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে ভালো মানুষের থেকে খারাপ মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাছাড়া ইনি কেমনই বা ডাক্তার আপনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঠিকভাবে চিকিৎসা করেনি। ডাক্তার অনেক নামাজী মানুষ জন্য আপনার বাবা তাকে সন্দেহ করতে রাজি ছিলেন না হয়তো। পরবর্তীতে কিভাবে আপনি বুঝতে পারলেন যে ওনার গাফিলতের জন্য আপনার দাঁতের সমস্যা হয়েছে। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
জি আপু,ডাক্তারের গাফিলতি ছিল,এজন্য আমার ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।