প্রবীণ বয়স টা বড্ড অসহায়ের||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
দুইদিন যাবৎ কিছুটা সময় রোদ্রজ্বল আবহাওয়া আবার কিছুটা সময় মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও একটু আগে থেকে বৃষ্টি শুরু হলো।তবে বৃষ্টির মাত্রাটা খুব একটা বেশি না এজন্য গরমের পরিমাণ টা এখনো কমেনি।যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে তাহলে আশা করতে পারি অন্তত পরিবেশটা অনুকূলে থাকবে।কয়েকদিন অতিরিক্ত খরা জনজীবনকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে।বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন তাদের বেশিরভাগ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলেন।এছাড়া এই গরমে হিট স্ট্রোকের মুখে পড়ছিলেন তারা।
আজকে আপনাদের মাঝে যে বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি সেটা নিশ্চয়ই পোস্টের টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন বন্ধুরা।প্রবীণ বয়স টা আমাদের সকলের জন্যই অনেকটা অসহায়ের।অন্যের উপর নির্ভর করে চলতে হয়।খুব কম মানুষ আছে যারা বৃদ্ধ বয়সে এসে পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে আদরের সঙ্গে পৃথিবী ছাড়ে।এখনো অনেক বৃদ্ধকে দেখে থাকি আমরা যে,তারা শেষ বয়সে এসেও সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে চলছে।অথচ এই বয়স টা তাদের জন্য বিশ্রামের বয়স ।
সেদিন পরীক্ষা দিয়ে বাসায় আসার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল বাইরে প্রচুর। সেই বৃষ্টিতে একজন বৃদ্ধাকে দেখে অনেকটাই খারাপ লাগলো।মানুষ বৃদ্ধ হলে কতটাই না কষ্টে থাকে। আমার সাথে অটোরিক্সায় উঠেছিলেন যিনি তার বয়স ৮০ বছর হবে।যেহেতু বৃষ্টি ছিল বাইরে তিনি ভিজে গিয়েছিলেন পুরোটা আর কাঁপছিলেন শীতে।তার কথা বোঝা যাচ্ছিল না বার্ধক্য জনিত কারণে ।তিনি ওই অবস্থায় একা ফরিদপুর থেকে এসেছিলেন।তার কাছে কোনো টাকা পয়সাও ছিল না।
ওই অটোরিক্সায় আরো যাত্রীরা ছিলেন কিন্তু কারো কাছে বাড়তি কোনো বস্ত্র ছিলনা যে তাকে দিবেন।তো সবাই যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা দিয়েছিলেন।আর অনেকটা ভয় ও লাগছিল কোনো বিপদ না হয়ে যায় ওনার যে পরিমাণ কাঁপছিলেন।কারণ শীতেও নাকি ঠাণ্ডা হয়ে বাচ্চা এবং বৃদ্ধদের প্রাণনাশ হয়।যেহেতু তিন কিলোমিটার রাস্তা মাত্র এসেছিলাম এটুকুতেই বুঝলাম মানুষের জীবনটা বৃদ্ধ হলে অনেকটা অসহায়ের হয়।মানুষের জীবনে শ্রেষ্ঠ সময় ইয়ং বয়স টাই।যেই সময়টা সে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী চলতে পারে কারো উপর নির্ভরশীল হতে হয়না।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 20th May,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
বৃদ্ধ বয়সটা অসহায় বয়স আর ইয়ং বয়সটা শ্রেষ্ঠ দুটো কথাই যথেষ্ট সঠিক বলেছেন আপনি। আমাদের উচিত হচ্ছে ইয়ং বয়সটাকে কাজে লাগিয়ে সেই বৃদ্ধ বয়স তার জন্য কিছু জমিয়ে রাখা। যাতে ইয়ং বয়সে আমরা যেভাবে চলতে পারতেছি ঠিক সেভাবেই যেন বৃদ্ধ বয়সেও কারোর উপর নির্ভর করে চলতে না হয়। তবে ওই বৃদ্ধির জন্য আমার কাছেও খুব খারাপ লাগতেছে। সন্তান ছিল কি ছিল না সেটা জানিনা। তবে আল্লাহ উনাকে সঠিক সময় বৃদ্ধ বয়সে উপভোগ করার তৌফিক দিন এটাই কামনা করি।
জি ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বৃদ্ধ বয়সে যখন এই মানুষগুলোর বিশ্রাম করা উচিত কিংবা সন্তানদের কাছে যত্নে থাকা উচিত, সেই সময়টাতে কিছু কিছু ছেলে-মেয়ে তার বাবা-মাকে ঠিক এভাবেই রাস্তায় নামিয়ে দেয়। আপনি যে মানুষটার কথা এখানে তুলে ধরলেন, এই মানুষটা নিশ্চয়ই অনেক অসহায়, না হলে বৃষ্টিতে ভিজে এইভাবে অসহায়ের মত থাকতো না। তার যদি দেখার লোক থাকত তাহলে অবশ্যই তার খোঁজখবর নিত। তবে আশেপাশের লোক টুকটাক সাহায্য করে ভালোই করেছে। এখন হয়তো মানুষটা ওই টাকা গুলো দিয়ে পোশাক কিনতে পারবে।
জি ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু প্রবীণ বয়সটা সত্যিই বড্ড অসহায়। এই বয়সে মানুষ বাচ্চাদের মত হয়ে যায়। আপনি বৃদ্ধ লোকটিকে দেখেছেন বৃষ্টিতে ভিজে কাঁপতে । ইয়াং হলে তো সে বৃষ্টিতে ভিজতো না দৌড়ে গিয়ে কোথাও উঠতেন বৃষ্টিতে ভেজার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আসলেই ঠিক বলেছেন আপনি ইয়াং বয়সটি সব থেকে শ্রেষ্ঠ। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।