মানুষকে বিশ্বাস করতে শেখা জরুরি||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
মানুষ সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে পারলে তাকে সাধারণত পজেটিভ মানুষের খাতায় রাখা হয়।এখন যারা সহজেই এই বিষয়টি পারেনা তাদের নেগেটিভ মানুষদের খাতায় রাখা হয়।আমাদের সমাজে বেশিরভাগ নেগেটিভ মানুষের সংখ্যায় বেশি।তারা সহজেই কাউকে বিশ্বাস করতে ভয় পেয়ে থাকে।এর কারণ হয়তো বর্তমান সমাজের পরিস্থিতি।আমাদের পৃথিবীর অস্বাভাবিক অবস্থা আমাদের মনকে ভয়ের দিকে তাড়িত করে ফেলছে প্রতিনিয়ত।আমরা আগের মতো সহজেই কাউকে বিশ্বাস করতে পারিনা।
এই অবিশ্বাসের বিষয়টা আমার ক্ষেত্রেও একটু বেশি ।আমি আমার নিজের পরিবারের মানুষকেও বিশ্বাস করতে পারিনা। এটার কারণ যে আমার পরিবারের মানুষ, ব্যপারটা কিন্তু এরকম না।আমার আশেপাশের পরিস্থিতি,বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদি।আসলে নিজেকে সর্বোচ্চ নিরাপদ রাখার যতো ধরনের প্রচেষ্টা আছে সেটা আমি করি সবসময়।আর এই অবিশ্বাসের কারণে বন্ধুবান্ধব সংখ্যাও আমার খুব সীমিত।কিন্তু এভাবে চলতে চলতে আমি একটি বিষয় খেয়াল করছি আমার কমিউনিটি আসলেই খুব ছোট হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।এভাবে করে চলতে থাকলে একটা পর্যায় গিয়ে সমস্যা ফেইস করতে হবে আমার আগামীতে এটাও বুঝতে পারছি এখন।
এই তিন বছর আগের একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক চলুন।তখন ২০১৯ সাল,আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম।তো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় আমার আগের বেঞ্চে একটি ছেলের সিট পড়ে ।এখন স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেটি আমার সাথে পরিচিত হয়।ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার আগে ছেলেটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিরিয়াল আসে অর্থাৎ ওর চান্স হবেই শিউর।এখন আমাকে জিজ্ঞেস করেছে আমার কোথাও হয়েছে কিনা।আমি বললাম আমার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইউনিটে ওয়েটিং লিস্টে সিরিয়াল আসছে বেশ দূরে হবেনা চান্স।আর এক ইউনিটে ভালো পরীক্ষা দিয়েছি,রেজাল্ট দিই নি এখনো।তারপর ছেলেটি বললো তুমি যদি কোনো টা না পারো থেকে সাহায্য নিও।
আমি তো একটু অবাক হলাম যে,প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আমাকে সাহায্য বা কেন করবে সে।আর ভুল বলে দিতে পারে,আমার বিশ্বাস হয়নি তাকে আরকি।যেহেতু তখন আমারও বেশ ভালোই প্রিপারেশন ছিল।কোচিং করেছিলাম সেইভাবে প্রস্তুতি নিয়েই গিয়েছিলাম পরীক্ষার জন্য।তাই আমি নিজে যা পেরেছিলাম তাই করে এসেছি পরীক্ষার হলে বরাবরের মতো।কিন্তু ওই ছেলেটির পাশে যেই ছেলেটি পড়েছিল,সেই ছেলেটি কিছু পারছিল না সমস্ত ওর টা কপি করেছিল।কিন্তু রেজাল্টের দিন আমি দেখতে পাই যে, আমাকে পরীক্ষায় সাহায্য করতে চেয়েছিল ওই ছেলেটার সিরিয়াল আর ওর পাশের ছেলেটার সিরিয়াল।তো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার সিরিয়াল বেশিদূর দেখায় না। মানে ১০০০ এর কম দেখা যায় আরকি।এটা নিশ্চয় জানেন এক দুই মার্কের জন্য সিরিয়াল কয়েক হাজার পিছনে চলে যায়।বিষয়টা বুঝতে পারলেন তো কাউকে বিশ্বাস করতে পারাটাও ভালো কোনো কোনো সময়।যেহেতু আমার প্রস্তুতি মোটামুটি ভালো ছিল ,যেটা শিউর ছিলামনা ওর থেকে শিউর হয়ে দাগিয়ে এলে আমারও চান্স হয়ে যেত।যেহেতু সেই কপি করা ছেলেটি কিছু পারছিলনা তারপরেও চান্স পেয়ে গেল। তাই মানুষকে বিশ্বাস করাটাও জরুরি জীবনে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
শেষ পর্যন্ত কপি করে সেই ছেলেটার চান্স হয়ে গেল। আসলে অনেক সময় আমরা বিশ্বাস করতে ভয় পাই। কারণ বিশ্বাস করে অনেক সময় আমরা ঠকে যাই। কি আর করার যা হবার সেটা তো হয়েই গেছে।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি হয়তো ঠিকই বলছেন, মানুষকে বিশ্বাস করতে শেখা জরুরি । তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার উল্টোটাও হয়ে যায়। এই যেমন ধরুন আমি একজনকে ৬ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছি, অথচ আজ পর্যন্ত তার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না।কেননা তিনি বাইরের দেশে থাকেন।আদৌ কোন দিন সেই টাকা তুলতে পারব কিনা তা বলতে পারছিনা। শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপরেই তাকে আমি টাকা ধার দিয়েছিলাম, এক্ষেত্রে আমার কিন্তু কিছুটা হলেও বিশ্বাসের অভাব রয়ে গেল। আপু,তবুও আমি চেষ্টা করি এখনো মানুষকে বিশ্বাস করার জন্য। যাইহোক ছেলেটি কপি করে চান্স পেয়ে গেল, কথাটি শুনে খুবই ভালো লাগলো। কেননা সে বিশ্বাসের ফল পেয়েছে।
আপনি হয়তো টাকাটা পাবেন শীঘ্রই যেহেতু বিশ্বাস করে দিয়েছিলেন।যিনি টাকাটা নিয়েছিলেন তিনি টাকা ম্যানেজ করতে পারেনি তাই যোগাযোগ করেনি আপনার সাথে।একদিন আচমকাই টাকাটা ফেরত পেতে পারেন ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলছেন আপু দুটি বিষয় খুবই জরুরী একটা হচ্ছে বিশ্বাস করা। আবার অন্য বিষয় হচ্ছে কাউকে অন্ধ বিশ্বাসে বিশ্বাস না করা। কিন্তু যাকে বিশ্বাস করা দরকার তাকে অবশ্যই বিশ্বাস করা আমাদের জন্য খুবই দরকার। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছে যাদেরকে বিশ্বাস করলে নিজেই আঘাত পাই। আমার মতে এসব মানুষ থেকে দূরে থাকাই ভালো। আবার কিছু কিছু সম্পর্ক আছে শুধু সন্দেহ করে সম্পর্কটা নষ্ট করে দেয়। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাস রাখা খুবই জরুরী। সুন্দর লিখেছেন অনেক ভালো লাগলো।
জি আপু,পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা কিন্তু বর্তমানে বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মধ্যে দূদূল্যমান আছি। বেশ কষ্ট করেও যদি কাউকে বিশ্বাস করা হয় অবশেষে যে কতবার বাশঁ খেতে হয় তার হিসাব নেই। তবে আমার মত যারা সরল মনে মানুষকে বিশ্বাস করে ধোঁকা খেয়েছে তাদের কিন্তু বিশ্বাস জিনিস টা কঠিন বিষয়। যাই হোক বেশ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে কিন্তু আজ আমাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করেছেন। বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সুন্দর একটি টপিক নিয়ে লিখেছেন আপু, আসলে বিশ্ববিদ্যালয় চান্স এর ক্ষেত্রে নিজের ভাগ্যটাও অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর হয় যেমনটা ওই ছেলের ক্ষেত্রে কার্যকর হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া একজন মানুষকে বিশ্বাস করলে সব ক্ষেত্রেই তো ঠকে যায় না, যেমনটি ছেলেটা বিশ্বাস করে জিতে গিয়েছে অর্থাৎ চান্স হয়েছে।
জি ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে ।