প্রিয় দুই বন্ধুর গল্প||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
তারা দুজনে একসাথে ভার্সিটিতে পড়াশুনা করতে শুরু করলো।এভাবে করে যেতে যেতে তাদের ব্যাচের একটি মেয়েকে ভালো লাগে সুজনের।কিন্তু সুজন কাউকে কিছু বলেনা।মেয়েটিকেও না আর প্রিয় বন্ধু মিলনকেও না।এরপরে তাদের ব্যাচের ওই একই মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব হয় মিলনের।তারা বিভিন্ন নোটস আদান প্রদান করতে করতে তাদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান হয়।তাদের দুজনের কর্মকাণ্ড সুজন দেখতে থাকে।কিন্তু কাউকে কিছু বলেনা।মিলন সুজনকে তাদের ভালোবাসার কথা বলে।তখন সুজন তার মনের কথাটা আর বলেনা বন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে।যেহেতু মিলনের প্রথম প্রেম ছিল।আর সুজন মিলনকে কখনো কষ্ট দিতে চায়না।
এভাবে করে মিলন আর মেয়েটির প্রেম চলতে চলতে একদিন তারা বিয়ে করে নেয়।আর তখন সুজন আর এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনা।ভার্সিটির হল ছেড়ে বাড়িতে চলে যায়।আর পড়াশুনা বাদ দিয়ে দিবে বলে এজন্য বাড়িতে এসেছে।দুদিন পর সুজন আত্মহত্যা করে একটি পত্রে তার ভালোবাসার কথা লিখে ।তারপর মিলন সুজনের কোনো খোঁজ খবর না পেয়ে সরাসরি বাড়িতে যায়।আর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় সুজন আর পৃথিবীতে নেই।কারণ সেদিনই সুজন আত্মহত্যা করে।সুজনের লাশ বাড়ির বারান্দায়।সুজনের পরিবারের লোকেরা কান্নাকাটি করছে ।
তখন মিলন সুজনের এভাবে চলে যাওয়ার কথা জানতে চাইলে পরিবারের লোকেরা মিলনকে তার না বলা ভালোবাসার কথা জানায়।মিলন কথাটি শুনে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা।সুজনের লাশের পাশে বসে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।কিছুক্ষণ পর মিলন দৌড়ে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর কারণ সে নিজেই।এটা মনে করে নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করে আত্মহত্যা করে নেয় মিলন।মিলনকে সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়না।দুজনকেই পাশাপাশি দাফন করা হয়।এভাবে অকালে প্রিয় দুই বন্ধু পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়।কারণ একজন তো অন্যজনকে ছেড়ে থাকতে পারবেনা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা। আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আপু আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি সুজন ও মিলন দুই বন্ধুর জন্যই খারাপ লাগলো। আসলে এখানে কারো দোষ ছিল না। আসলে সুজন তো মিনলকে বলেই নি ভালোবাসার কথা। একটা মেয়ের জন্য অবশেষে দুই জনের প্রাণ চলে গেল।আসলে মেয়েটার ও কোন দোষ ছিল না। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু বাস্তবে এমন হয় তা জানা ছিল না। তবে নাটক সিনেমায় অনেক দেখেছি। তবে খারাপ লাগছে যে এই ভেবে একটি মেয়ের জন্য কিভাবে দুটো ছেলের জীবন ধ্বংস হয়ে গেল। এমন বন্ধুত্ব কিন্তু এখান আর খুঁজে পাওয়া যায় না। দারুন লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
আপনার গল্পটি পড়ে দু বন্ধুর জন্য ই খারাপ লাগলো। আসলে সুজন আর মিলনের এমন বন্ধুত্ব আজকাল দেখা যায় না।দু বন্ধু পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে।খুবই দুঃখজনক বিষয়টি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই গল্পটি খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।