স্কুল লাইফে বন্ধুদের সাথে কম্পিটিশন নিয়ে মজার স্মৃতি(পর্ব -১)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা,আজকে আমি আপনাদের সাথে স্কুল লাইফের মজার কিছু ঘটনা শেয়ার করবো ।আমাদের জীবনের সবচেয়ে ভালো লাগার সময় ছিল স্কুল লাইফ।আর এই স্কুল লাইফে কিছু বন্ধু থাকে।সেই বন্ধুগুলোর সাথে চলে বিরাট কম্পিটিশন।আপনাদের সবার জীবনে নিশ্চয় এরকম বন্ধু ছিল যারা কিনা আপনাদের সাথে কম্পিটিশন করতো ।যাতে সে আপনার আগে থাকতে পারে।তো আমারও অনেক বন্ধু ,বান্ধবী ছিল।এর মধ্যে জনপ্রিয় দুজন হিংসুটে বন্ধুর কথা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো,হিহি।আজকে হঠাৎ করেই মজার ঘটনাগুলো মাথায় চলে এসেছে তো আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে কি চলে বলুন।যেহেতু নিজের জীবনের ঘটনা তাই একটু পিছনের দিক থেকেই লিখতে চেষ্টা করছি যাতে করে আপনাদের পড়তে ভালো লাগে।প্রথম যার কথা শেয়ার করছি তার নাম শাফিন।আমরা কেজি স্কুলে পড়াশুনা করতাম একসঙ্গে।আমি স্কুলটিতে ভর্তি হয়েছিলাম ২০০৮ এ।এর আগে আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়াশুনা করতাম।আব্বুর ট্রান্সফার হওয়ায় নতুন এই স্কুলে আমাকে ভর্তি করা হয়েছিল।তখন আমার বয়স আট বছর,চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করা হয় আমাকে। বয়স অনুযায়ী এক ক্লাস আগে ছিলাম এজন্য যে প্লে, নার্সারি আমার পড়া হয়নি।প্রথম দিকে আমি স্টুডেন্ট ভালো ছিলাম না।আগে যেই প্রাইমারি তে পড়তাম সেখানে আমি চতুর্থ হয়েছিলাম।তারপর নতুন বছরেই ওখান থেকে চলে এসেছিলাম।
আমার ওই বন্ধু শাফিন তখন তৃতীয় শ্রেণীতে ছিল।তারপর কিছুদিন যেতেই আম্মুর জ্বিনের সমস্যা হয়,তাই ছয় মাস আমার পড়ালেখা বন্ধ ছিল।আম্মু সুস্থ হওয়ার পর, বছরের একদম শেষ পর্যায়।ওই সময়টাতে আমার কোনো পড়াশুনা হয়েছিল না কিছুই । তখন পরীক্ষায় ফেইল করেছিলাম অনেক বিষয়ে।এরপর আমার কেজি স্কুলের যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন ,তিনি আমাকে এক ইয়ার ড্রপ দেওয়ার কথা বলেন। যেহেতু স্টুডেন্ট ভালো ছিলাম না,তাই আমাকে ভালো স্টুডেন্ট করার দায়িত্ব নেন। স্যারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাকে চতুর্থ শ্রেণীতেই আবার ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় বাসা থেকে।আমাদের স্কুল টা অনেক ভালো ছিল বিশেষ করে হাতের লেখায় জোর দেওয়া হতো খুব। স্যারের হাতের লেখা ছিল একদম কম্পিউটারে টাইপ করলে যেমনি লেখা হয় ঠিক তেমনি।
আমি চতুর্থ শ্রেণীতেই রয়ে গেলাম আর শাফিন তখন চতুর্থ শ্রেণীতে উঠলো। ও আমাদের ক্লাসের প্রথম ছিল।যেহেতু ও প্রথম ওর সাথে তো আমার টক্কর দেওয়ার কোনো কথা না এটা নিশ্চয় আপনাদের মনে প্রশ্ন আসছে।হ্যা ,ঠিক তাই তখন কোনো প্রতিযোগিতার বিষয় শুরুই হয়েছিল না।তারপর চতুর্থ শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে প্রমোশন পাওয়ার পর ওই স্কুলে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করলাম।একটা স্কুলে একদম শেষ থেকে সিরিয়ালের একটা পর্যায় যাওয়া কতোটা টাফ সেটা নিশ্চয় অনেকেই জানেন ।১২/১৪ জন স্টুডেন্ট ছিলাম মাত্র আমরা।আমাদের স্কুলেই আমরাই ছিলাম পঞ্চম শ্রেণীর প্রথম ব্যাচ।সেই সময়ে বোর্ড পরীক্ষা হতো পঞ্চম শ্রেণীতে। তখন আমাদের কেজি স্কুল থেকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল না।তাই প্রাইমারীতে ভর্তি হয়ে থাকতে হতো।আমাদের স্কুলের সবাই এক প্রাইমারি তে ভর্তি হয়।কিন্তু আমি আর আমার বান্ধবী তানজিনা অন্য স্কুলে ভর্তি হই।আমাকে এখানে ভর্তি করা হয় এখানকার প্রধান শিক্ষকের সাথে আব্বুর বেশ সুসম্পর্ক ছিল তাই।আর তানজিলা এখানে হয় ওর আম্মু এই স্কুলের শিক্ষিকা এজন্য।এরপরে আমাদের পঞ্চম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।আর রেজাল্টের পর থেকেই শুরু হয় যতো প্রতিযোগিতা।এজন্য যে শাফিন এর চেয়ে বেশি মার্ক পেয়ে আমি সাধারন গ্রেডে বৃত্তি পাই আর ও আমার চেয়ে কম মার্ক পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাই।আমাদের স্কুলের অন্যরাও ছিল ওরা ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।কিন্তু শাফিন ট্যালেন্টপুলে পেল না।আর আমার চেয়ে কম মার্ক পেল এজন্য শুরু হলো কম্পিটিশন মনে মনে ওর দিক থেকে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা লেখাটি অনেক বড়ো হয়ে যাচ্ছে।পরবর্তী পর্বগুলোতে বাকি অংশ শেষ করবো।ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date-27Novemver,2023
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আপু এই ঘটনা স্কুল জীবনে সবার সাথে হয়ে থাকে। আমার সাথেও এমন হয়েছিল কিন্তু আপনি এগিয়ে গেলেও আমি পারিনি। কারণ যার সাথে প্রতিযোগিতা হতো সে ছিল হেডস্যারে সন্তান আর সেই হিসেবে আমি কখনোই তার উপরে যেতে পারিনি। যাই হোক আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শাফিন আর আপনার মধ্যে কি কম্পিটিশন হলো জানার জন্য পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু শিক্ষা জীবন এমনি। আর দেখা যায় প্রথমে যারা ভালো থাকে পরে আস্তে আস্তে তারা একটু হলেও খারাপের দিকে চলে যায়।আর তখন পড়াশোনার প্রতিযোগিতায় সবাই মেতে উঠে। ধন্যবাদ আপু পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
জি আপু, ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব মজার একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন আপনি। পরড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। প্রতিযোগিতা থাকা ভালো এবং প্রতিযোগিতার মধ্যেই সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়।আসলে স্কুল জীবনে কম বেশি এরকম হয়ে থাকে। শাফিন এবং আপনার মধ্যে পরবর্তীতে কি কম্পিটিশন হয়েছিল তা জানার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিলেন ছোটবেলার সেই সুন্দর স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা আজকের এই অসাধারণ একটি পোষ্টের মধ্য দিয়ে। বেশ খুশি হলাম আপু আপনার এই সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আমি পড়তে পেরে। খুব সুন্দর ছিল আপনার এই স্মৃতি মাখা ঘটনাটি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমাদের জীবনে শৈশবের মধুর সময় গুলোই কাটে বেশিরভাগ স্কুলে তাই স্কুল লাইফটা থাকে অন্যরকম এক ভালোলাগার। আর স্কুল লাইফে বন্ধুদের মাঝে কম্পিটিশন হবে না তা কি মানা যায়। আপনি একদম লাস্ট থেকে একটা পর্যায়ে এসেছিলেন যেন ভালো লাগলো। এবং শেষে বৃত্তি পেয়েছিলেন দেখছি কিন্তু আপনার বন্ধু শাফিন ফাস্ট বয় হওয়া সত্ত্বেও সে বিত্তি পায়নি। যাই হোক আশা করি আপনার বন্ধু শাফিনের সাথে আপনার ঠিক কি রকম কম্পিটিশন লেগেছিল সেটা পরবর্তী পর্বে ভালোমতো জানতে পারবো। যাক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি বৃত্তি পেয়েছিল ও কিন্তু কম মার্ক পেয়ে ।