ডিপ্রেশন অতঃপর আত্মহত্যা||

in আমার বাংলা ব্লগlast year
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।


ছবির উৎস


বর্তমান সময়ে ডিপ্রেশন শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত।আর এই শব্দটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে আত্মহত্যা শব্দটি।এই দুইটি শব্দে আমাদের জীবনকে এখন অনেকটা ঘিরে রেখেছে বললেও যেন ভুল হবেনা।একজন মানুষ যখন স্ব- ইচ্ছায় পৃথিবী ছাড়ে তখন সেই বিষয়টাকে আমরা আত্মহত্যা বা সুইসাইড হিসেবে জানি।কয়েকদিন একটি নিউজটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। এতোদিন সেভাবে লক্ষ্য করা হয়নি আমার।আজকে সকালে ঘুম থেকে দেরিতে ওঠায় ভালো লাগছিল না।তাই প্রতিদিনের মতো কাজগুলো করতেও মনোযোগ বসছিল না।এজন্য ফেসবুক এ স্ক্রল করছিলাম আর হঠাৎ একটা লেখা সামনে চলে আসলো।তখন লেখাটি পড়ে বেশ খারাপই লাগলো।কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরোজ নামের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।কারণ ছিল তার প্রেমিকার সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটানো।

ফিরোজ এবং তার প্রেমিকার প্রেম নাকি বাঁধিয়ে রাখার মতো ছিল একসময়।তাদের প্রেমের কথা পরিবারের লোক পর্যন্তও জানতো।একপর্যায়ে গিয়ে মেয়েটির হঠাৎ ব্রেকআপ করায় ছেলেটি ভীষণ ভেঙে পড়ে।ছেলেটির বাড়ির লোকেরা মেয়েটির সাথে দেখা জন্য সুদূর গ্রামের বাড়ি থেকে আসে।কিন্তু মেয়েটি তাদের ফোন নম্বর ব্লক করে দেয় এবং কোনো যোগাযোগ করেনা।ছেলেটি এবং মেয়েটি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা করতো যেহেতু তাই তারা হলেই থাকতো।ছেলেটি মেয়েটির সাথে দেখা করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।মেয়েটি সবার নম্বর ব্লক করে রাখে।একপর্যায়ে গিয়ে ছেলেটির মা মেয়েটির সাথে ভিন্ন নম্বর দিয়ে কথা বলতে সক্ষম হয় কিন্তু মেয়েটি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।কিন্তু সম্পর্ক থাকাকালীন বাবা বলে সম্বোধনে করতো।

এভাবে চলতে চলতে ছেলেটি ডিপ্রেশনে পড়ে যায় এবং একদিন আত্মহত্যার ডিসিশন নিয়ে নেয়।ছেলেটি তার হলের একটি ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে ।সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।দুবছর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র একইভাবে আত্মহত্যা করেছিল কারণ ছিল প্রেমিকার ধোঁকা দেওয়া।তারপর ডিপ্রেশন আর সেখান থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত।একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে,বর্তমান সময়ে উচ্চশিক্ষিত ছেলেরা বেশি ডিপ্রেশনে পড়ছে এবং পরবর্তীতে আত্মহত্যা।মেয়েদের ক্ষেত্রে এই আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলক কিছুটা কম।ছেলেটির এই অকালে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার ব্যপারটি হয়তো তার বাবা মা এবং বন্ধুরা মেনে নিতে পারছেনা।যেহেতু ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতো ,ছেলেটি একদিন হয়তো ভালো কিছু করতে পারতো।তার পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করতে পারতো।শুধু শুধু একটা ধোঁকায় পড়ে জীবনটা দিয়ে দিল।এই অবস্থায় মেয়েটিরও হয়তো বা খারাপ লাগছে আবার নাও লাগতে পারে।কারণ এক একজনের মানসিকতা এক এক রকম।তারপরেও যেহেতু তাদের প্রেমের গভীরতা বেশ ছিল। তাই মেয়েটির অনুধাবন করা উচিত ছিল ছেলেটি কতদূর যেতে পারে তারপর সম্পর্কের ইতি টানা।কিন্তু মেয়েটি তা করেনি ,মেয়েটি এখন অনেকের অভিশাপের মুখে পড়বে হয়তোবা একপর্যায়ে গিয়ে প্রকৃতিও মেয়েটিকে ছাড়বেনা।সর্বোপরি সকলেরই আত্মহত্যা থেকে দূরে থাকা উচিত।


ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা। আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু । আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

❤️আল্লাহ হাফেজ❤️

Sort:  
 last year 

ঠিকই বলেছেন বর্তমান সময়ে ডিপ্রেশন শব্দটির সাথে কম বেশি সবাই জড়িত। ছেলেটি অকালে তার প্রাণ দিয়ে দিল। আসলে আত্মহত্যা করা কখনোই ঠিক না আমাদের সকলেরই উচিত আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকা।আমি মনে করি মেয়েটি তার সাথে এরকম করাও উচিত হয়নি। ঠিকই বলেছেন যেহেতু ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে বড় হয়ে ভালো কিছু করতে পারত। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ডিপ্রেশনে ভুগছে। সেটা হতে পারে বিভিন্ন রকমের বিষয়বস্তু নিয়ে। আর এই ডিপ্রেশন যে কতটা খারাপ একটা মানুষকে আত্মহত্যার পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

 last year 

ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

 last year 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ছেলের ঘটনা টা আমি ফেসবুক থেকে পড়েছি। সত্যি বলতে যে মেয়ে একসময় তার প্রেমিকা ছিল। কিন্তু তার এইরকম পরিবর্তন সে মেনে নিতে পারেনি। আর এইরকম একটা পরিস্থিতিই তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ‍্য করে হয়তো। যদিও এটা কোন সমাধান না। কিন্তু ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি তো পাওয়া যায়। যাইহোক বিষয়টি বেশ করুন ছিল।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

জি ঠিক বলেছেন বিষয়টি করুন ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last year 

ডিপ্রেশন খুব খারাপ জিনিস মানুষকে তিলে তিলে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করে। যারা ডিপ্রেশন থেকে ওভারকাম করতে পারে সেটা তো ভালো। আর যারা পারেনা তারা নিতান্তই আত্মহতাই বেছে নেয়। ধন্যবাদ বাস্তবিক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

এই ঘটনাগুলো দেখলে খুবই খারাপ লাগে। বর্তমান সমাজে বেশিরভাগ ডিপ্রেশনের প্রধান কারণ হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হওয়া। আর এই ডিপ্রেশন এর কারণে অনেকেই আত্মহত্যা পর্যন্ত করে ফেলে যেমনটা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফিরোজ।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আসলে ডিপ্রেশন খুবই খারাপ একটা জিনিস মানুষ যখন একাকী একাকীত্ব বোধ করে তখন ডিপ্রেশনে পতিত হয় বিশেষ কোনো প্রতারণা দ্বারা। ঠিক তেমনি একটা বিষয় আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আমিও বেশ কিছুদিন ডিপ্রেশনে ভেবেছি যার জন্য আমিও এর অনুভূতি বুঝি। তবে আজ এভাবে অনেক প্রাণ নষ্ট হচ্ছে ভুল পথে পরিচালিত হয়ে। সুন্দর একটি জনসচেতন মূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বিষয়টা পড়ে হয়তো অনেকেই এই বিষয়ে সচেতন হতে পারে।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া ।

 last year 

আমিও পোস্ট টি দেখেছি খুব মর্মান্তিক একটি ঘটনা। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক ঘটনাই জানা যায় খুব তারাতারি। খুব কষ্ট দেয় এসব ঘটনা আমাকে।আপনজন কিংবা ভালোবাসার মানুষের কাছে কষ্ট পেয়ে মানুষ এক সময় ডিপ্রেশনে চলে যায় এবং তা থেকে আত্মহত্যার মতো একটা নির্মম ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে।যার জন্য আত্মহত্যা করে সে নিজেকে নিয়ে সাময়িক সুখ পায় ঠিকই প্রকৃত সুখী কি হতে পারে।আপনি ঠিক বলেছেন প্রকৃতি কোন না কোন ভাবে তার প্রতিশোধ ঠিক নিয়ে নেয়।

 last year 

জি আপু একদম ঠিক বলেছেন,ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

এগুলা কি করে বুঝি না এই জেনারেশন গুলো সত্যি মাথায় আসেনা। আসলে মেয়েটা কেমন পরিবারের মেয়ে সেটা জানিনা। একটা ছেলেকে এমন একটি পর্যায়ে এনে ছেড়ে দেওয়া মানে তাকে মেরে ফেলানো। হয়তো তার শাস্তি সেই নিজেই ভোগ করবে এক সময়। খুবই খারাপ লেগেছে আপু লেখা গুলো পড়ে। আসলে ডিপ্রেশন অনেক খারাপ জিনিস। এক সময় মানুষের সহ্য করতে না পারে আত্মহত্যা করে। তাই সবার উচিত ডিপ্রেশন থেকে একটু দূরে থাকার।

 last year 

ধন্যবাদ আপু আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।

 last year 

বর্তমান সময়ে ডিপ্রেশনের সাথে আমরা কম - বেশী সবাই পরিচিত।এই ডিপ্রেশন নানা কারনে হয়ে থাকে।কিন্তু আমার মনে হয় বর্তমান সময়ে এসে এই প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ডিপ্রেশনে যাওয়া ঠিক নয়।কারন বর্তমানে ভালোবাসা নামক সত্যি ভালোবাসা মরিচীকার মতো।মানুষ সবকিছু জেনেও এতো ভালোবাসায় পরে শেষ মেশ নিজের জীবন দিয়ে দেয় এটা খুব কষ্টকর।মা-বাবার কথা না ভেবে একটি ছেলে কিংবা একটি মেয়ের জন্য জীবন দিয়ে দেয়া অযৌক্তিক।এমন মেয়ে এখন হাজারে হাজারে।তেমনি ছেলেরাও। ভালোবাসুন কিন্তু নিজের জীবন দিয়ে নয়।আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হবে।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65628.71
ETH 2669.64
USDT 1.00
SBD 2.86