সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে যেই বিষয়টি নিয়ে লিখতে চলেছি বুঝতে পারছেন না নিশ্চয় আমার আজকের লেখার টপিকটি কি নিয়ে হতে পারে।তাহলে চলুন বন্ধুরা ক্লিয়ার করা যাক বিষয়টি।কদিন যাবৎ একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।আর সেটি হচ্ছে একজন ছাত্র তার শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছে।
তাহলে বুঝতে পারছেন নিশ্চয় সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের পরিমাণ আমাদের সমাজে।একজন শিক্ষক যিনি, তার সন্মান থাকে সমাজে সবার উপরে।কেননা মানুষ গড়ার কারিগর তিনি।যদিও কিছু শিক্ষক আছেন এর মধ্যে তারা মোটেও মানুষ গড়ার কারিগর নয়।তাদের কিছু কর্মকাণ্ড আমাদের অপছন্দ হয়েই যায়।তারপরেও বড়ো ছোট একটা বিষয় থাকে গায়ে হাত তোলা এটা কাম্য নয় একজন ছাত্রের থেকে।
শিক্ষক একটি জাতির পথ প্রদর্শক।আমরা পুঁথিগত বিদ্যায় শুধু তাদের কাছে থেকে শিখিনা নৈতিক মূল্যবোধ ও শিখে থাকি।যা আমাদের জীবনের চলার পথে সবসময় কাজে লাগে।একটি জীবন গঠন করতে পরিবার যেমনি ভূমিকা রাখে ঠিক তেমনি ভূমিকা রাখেন একজন আদর্শ শিক্ষক।এই স্বল্প জীবনে এতটুকু অন্তত বুঝতে পেরেছি একজন আদর্শ শিক্ষকের গুরুত্ব।জীবনের যেই সময়টা আমাদের শিক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকে এই পুরোটা সময়ে আমরা বিভিন্ন শিক্ষকের দেখা পেয়ে থাকি ।এর মধ্যে কিছু শিক্ষক আমাদের মনে দাগ কেটে যায় তাদের গুণে।যেহেতু আব্বুর চাকরি সূত্রে আমরা বিভিন্ন জায়গায় থেকেছি তাই কয়েক বছর পর পর স্কুল পরিবর্তন করতে হতো আমার। যার জন্য অনেক শিক্ষকের দেখা পেয়েছিলাম।তাদের বেশিরভাগই আমার জন্য কল্যাণকর ছিলেন।তাই আমার মনে হয়না শিক্ষক কখনো অকল্যাণকর হতে পারে একজন শিক্ষার্থীর জীবনে।
এসএসসি পড়ুয়া যেই ছাত্র শিক্ষককে থাপ্পড় মেরেছিল,সে পরীক্ষার হলে অসদ উপায় অবলম্বন করেছিল। শিক্ষক বাঁধা দেওয়ায় তার উপর হাত তুলে ছাত্র।এখানে সব দোষ ওই ছাত্রের ছিল আর শিক্ষক তার কর্তব্য পালন করেছিলেন।আমাদের সময় তো আর খুব বেশিদিন আগে ছিলনা।তখনো এরকম পর্যায়ে ছিলনা ছাত্রছাত্রীরা।একজন অভদ্র,দুষ্টু ছাত্রও শিক্ষক কে সন্মান করতে জানতো।বর্তমান সময়ে বিভিন্ন আসক্তি,নেশা মানুষকে তার ব্যাবহার খারাপ করে দিচ্ছে।একজন সেন্সে থাকা মানুষ কখনো শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে পারেনা।আমরা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি যার জন্য আমাদের সমাজে এখন এসকল দৃশ্য দেখতে হচ্ছে।
শিক্ষক একটি জাতির পথ প্রদর্শক।আমরা পুঁথিগত বিদ্যায় শুধু তাদের কাছে থেকে শিখিনা নৈতিক মূল্যবোধ ও শিখে থাকি।যা আমাদের জীবনের চলার পথে সবসময় কাজে লাগে।একটি জীবন গঠন করতে পরিবার যেমনি ভূমিকা রাখে ঠিক তেমনি ভূমিকা রাখেন একজন আদর্শ শিক্ষক।এই স্বল্প জীবনে এতটুকু অন্তত বুঝতে পেরেছি একজন আদর্শ শিক্ষকের গুরুত্ব।জীবনের যেই সময়টা আমাদের শিক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকে এই পুরোটা সময়ে আমরা বিভিন্ন শিক্ষকের দেখা পেয়ে থাকি ।এর মধ্যে কিছু শিক্ষক আমাদের মনে দাগ কেটে যায় তাদের গুণে।যেহেতু আব্বুর চাকরি সূত্রে আমরা বিভিন্ন জায়গায় থেকেছি তাই কয়েক বছর পর পর স্কুল পরিবর্তন করতে হতো আমার। যার জন্য অনেক শিক্ষকের দেখা পেয়েছিলাম।তাদের বেশিরভাগই আমার জন্য কল্যাণকর ছিলেন।তাই আমার মনে হয়না শিক্ষক কখনো অকল্যাণকর হতে পারে একজন শিক্ষার্থীর জীবনে।
এসএসসি পড়ুয়া যেই ছাত্র শিক্ষককে থাপ্পড় মেরেছিল,সে পরীক্ষার হলে অসদ উপায় অবলম্বন করেছিল। শিক্ষক বাঁধা দেওয়ায় তার উপর হাত তুলে ছাত্র।এখানে সব দোষ ওই ছাত্রের ছিল আর শিক্ষক তার কর্তব্য পালন করেছিলেন।আমাদের সময় তো আর খুব বেশিদিন আগে ছিলনা।তখনো এরকম পর্যায়ে ছিলনা ছাত্রছাত্রীরা।একজন অভদ্র,দুষ্টু ছাত্রও শিক্ষক কে সন্মান করতে জানতো।বর্তমান সময়ে বিভিন্ন আসক্তি,নেশা মানুষকে তার ব্যাবহার খারাপ করে দিচ্ছে।একজন সেন্সে থাকা মানুষ কখনো শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে পারেনা।আমরা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি যার জন্য আমাদের সমাজে এখন এসকল দৃশ্য দেখতে হচ্ছে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা। আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু । আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আসলে আপু শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর ঠিক আছে তবে সকল শিক্ষকের ক্ষেত্রে নয়। যাইহোক আপু শিক্ষক যেমনি হোক তার গায়ে হাত তোলা মোটেও উচিত নয়। সত্যি আমাদের সমাজ এখন যে কোথায় পৌঁছায়ছে বুঝা মুশকিল। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু।
ঘটনাটা দেখে আমার সত্যি খুব খারাপ লেগেছে। বর্তমানে শিক্ষা জগৎটা একদম নষ্টের দিকে। যে জায়গায় আমরা আমাদের শিক্ষকদের দেখলে চলতে পথে দূর থেকে দাঁড়িয়ে থাকি সালাম দেয় আর এখনকার ছাত্ররা শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলে। কি একটা নোংরা পরিবেশ চলে আসে দিন দিন। শিক্ষকের মর্যাদা নষ্ট করে দিচ্ছে বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি। তাই এই বিষয়ে সরকারের এবং অভিভাবকদের জনসাধারণের বিশেষ তৎপরতা গ্রহণ করতে।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন আপনি,ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে খুবই সুন্দর একটি টপিকস নিয়ে আলোচনা করেছেন আপু। সত্যি বলেছেন আপু আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে পুঁথিগত বিদ্যার সাথে নৈতিকতা ও শিখে থাকি। ছাত্র- শিক্ষকের ওই ভাইরাল ভিডিওটি আমিও দেখেছি দেখে অনেক খারাপ লেগেছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি শিক্ষণীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও পারিবারিক শিক্ষার অভাব ছিল ছেলেটির মধ্যে। আসলে বর্তমান সমাজের ছেলে মেয়েরা অনেক খারাপ জিনিসে আসক্ত। নিজের স্থান ভুলে গিয়েছে। এটা তারা কখনো বোঝে না শিক্ষক আমাদের জন্য কখনো কল্যাণকর হতে পারে না।
জি আপু , ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সমাজে দিন দিন মানবিকতা এবং মনুষত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর কেউ আগের মতন বয়স্কদের সম্মান করে না। বড়দের কথা কেউ মান্য করে না। ছোটরা যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই জীবন যাপন করছে। ছাত্র শিক্ষকের এমন ঘটনা সত্যি খুব দুঃখজনক। পিতা মাতার পরে শিক্ষকের স্থান। শিক্ষক তার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু ছাত্র তার শিক্ষকের সাথে যে আচরণ করেছে তা সত্যি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না । প্রযুক্তিগত যত উন্নত হচ্ছে ততই আমাদের সমাজ দিন দিন অধঃপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সময়োপযোগী একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়ার থেকে খারাপ কাজ আর কি হতে পারে! এত বড় মূল্যবোধের অবক্ষয় বর্তমানে অনেক ছাত্রের মধ্যে দেখা যায় যা সত্যি জঘন্যতম একটি বিষয়। মানসিক অবস্থা কতটা নিচে নেমে গেলে এরকম কাজ কেউ করতে পারে! বিভিন্ন আসক্তি ও নেশার ফলে এরকম কাজই সম্ভব। ছাত্রদের মধ্যে পুঁথিগত শিক্ষার থেকে নৈতিক শিক্ষা বেশি করে দেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে বর্তমান অবস্থা বিচার করলে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
সামাজিক মুল্যবোধের অভাব আর পারিবারিক শিক্ষা ঐ ছেলে বা ছাত্রের মাঝে নেই তাইতো এমন একটি কাজ সে করতে পারলো।মা-বাবার পর শিক্ষকদের স্থান।আর সেই শিক্ষক পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করতে না দেয়াতে ছাত্র তার গায়ে হাত দিলো।এটা খুব বাজে একটি ঘটনা হলো।আসলেই আমাদের মূল্যবোধ আজ কোথায়? তাই ভাবছি।
জি আপু ঠিক বলেছেন একদম।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার এই স্বল্প পরিসর জীবনে যে সমস্ত শিক্ষকের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটেছে তাদের কেউই খারাপ ছিল বলে আমার মনে পড়ছে না। আবার কয়েকজন ছিল আমার অত্যন্ত প্রিয়। কোনো কোনো ছাত্রের কাছে শিক্ষক প্রিয় না হতে পারে, কিন্তু তাই বলে গুরুজন হিসেবে তাকে সম্মান জানিয়ে অন্তত তার গায়ে হাত তোলাটা কখনোই উচিত না। আর ছেলেটি অসৎ উপায় অবলম্বন করলে, একজন শিক্ষক তো সেখানে অবশ্যই বাধা দেবে। এটাই স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও ছেলেটি উল্টে শিক্ষকের গায়ে হাত তুলল। এর থেকে বড় অপরাধ আর কি হতে পারে!
জি আপু,ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।