স্কুল লাইফে বন্ধুদের সাথে কম্পিটিশন নিয়ে মজার স্মৃতি(পর্ব -৩)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
এরপরে সপ্তম শ্রেণীতে চার মাস ক্লাস করার পর এপ্রিলের দিকে আব্বুর ট্রান্সফার হয়ে যায়।তখন আমাকে অন্য স্কুলে ভর্তি করা হয়।স্কুলটা খুব একটা ভালো ছিলনা।এজন্য সপ্তম শ্রেণীর বাকি আট মাস আমার ওখানেই পড়া হয়।তারপর আমাকে আমার প্রিয় স্কুলটি তে ভর্তি করা হয় অষ্টম শ্রেণীতে।আপনারা জানেন তো নতুন একটি স্কুলে ভর্তি করা হলে সেখানে সবার শেষে রোল হয়।অত স্টুডেন্ট এর মধ্যে আমার রোল ১৬৪ হয় তখন।যেহেতু দুইটি শাখা ছিল আমাকে ভালো শাখায় দেওয়া হয়েছিল।এরপর নতুন একটি স্কুলে গিয়ে প্রথম প্রথম মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হয়েছিল আমার।
আমাদের স্কুলের বিশেষত্ব ছিল যে,অষ্টম শ্রেণী আর দশম শ্রেণীতে আমাদের কোচিং করানো হতো।এজন্য যে জানেন তো আপনারা স্কুল গুলোতে বিভিন্ন ছুটি থাকে তখন ক্লাস ঘাটতি পড়ে।কোর্স ঠিকঠাক সম্পন্ন হয়না।আমাদের স্কুলের যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি স্টুডেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাতে নজরদারি করতেন স্টুডেন্টরা পড়ে কিনা।আর ছেলেদের স্কুলে আবাসিক এর ব্যবস্থা ছিল।এক স্যার রাতে স্টুডেন্ট দের পড়াতেন।আর সেখানেই ঘুমাতেন।একটা স্কুল সুনাম অর্জনের পিছনে স্যার দের ভূমিকা যে কতটা সেটা এই স্কুলে ভর্তি না হলে দেখা সম্ভব হতনা আমার।এরপরে আমাদের অষ্টম শ্রেণীতে জেএসসি পরীক্ষা হয়।এখানে একটি মজার বিষয় বলে রাখি।আমাকে বাসা থেকে বলা হয়েছিল যে,আমি যদি এ প্লাস পাই তাহলে আমাকে সাইন্স গ্রুপে ভর্তি করা হবে।তাছাড়া আর্টস বা কমার্সে ভর্তি করবে।তবে আমার সাইন্সেই পড়ার ইচ্ছা ছিল।
কিন্তু অষ্টম শ্রেণীতে দুই সাবজেক্ট এর পরীক্ষা খারাপ হয়ে যায় আমার। যতদূর সম্ভব ইংরেজি আর বিজ্ঞান ছিল সাবজেক্ট দুইটি।ওই দুই সাবজেক্টে আমার এ মাইনাস এসেছিল ।এই ধরুন মোটামুটি ৩০-৪০ মার্কস আমার শর্ট ছিল।এখানে আমার ভাগ্য কাজ করে যায় তখন আমার কৃষিশিক্ষা যে ফোর সাবজেক্টটা ছিল।ওই সাবজেক্টে আমার এ প্লাস চলে আসে তারপর এভারেজ করে আমার রেজাল্ট জেএসসি তে এ প্লাস আসে।পড়াশুনায় কিন্তু ভাগ্য অনেকটাই কাজ করে ।তবে আমার কৃষিশিক্ষা পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছিল এজন্য জানতাম সিউর এ প্লাস থাকবে ওই সাবজেক্ট এ। তখন স্কুলটিতে আমার একটি পজিশন হয় অর্থাৎ ৬ রোল হয় ।আমার ব্যাচ থেকে মোট ১৩ জন এ প্লাস পেয়েছিল আবার বৃত্তিও পেয়েছিল।কিন্তু আমি এ প্লাস পেলেও বৃত্তি পেয়েছিলাম না।অন্য একজন ছেলে বৃত্তি পেয়ে গিয়েছিল যে এ প্লাস পায়নি।এজন্য যে ৪.৮৮ থেকে ৪.৯৬ এরকম মার্কস অনেকেরই ছিল অর্থাৎ তারা একটু থেকেই বাদ পড়েছে । গড় মার্কস এবং কোঠার ভিত্তিতে সাধারণত বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে। জেএসসি রেজাল্টের পর আমার পুরোনো স্কুলের স্যারদের ফোন করা হয়েছিল তারা অনেক খুশি হয়েছিল।
বিশেষ করে আমার কেজি স্কুলের সেই প্রিয় প্রধান শিক্ষক ,যার জন্যই আমি একটু পড়াশুনায় ভালো হয়েছিলাম।আমার আগের স্কুলটির বন্ধু,বান্ধবীদের মধ্যে শুধুমাত্র জলি এ প্লাস পেয়েছিল এছাড়া শাফিন ,চৈতালি ,ফাহিমা কেউ ভালো করতে পারেনি।এখানে বলে রাখা ভালো আমার আগের স্কুলটি খুব একটা ভালো ছিলনা।আমার নতুন স্কুলটি বেশি ভালো ছিল।আজকে লেখাটি অনেকটা বড়ো হয়ে গেল বন্ধুরা পরবর্তী পর্বে আমার দ্বিতীয় হিংসুটে বন্ধুর মজার ঘটনাগুলো শেয়ার করবো,হিহি । আজ এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date-21st December,2023
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আপনার ছোটবেলার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ভালো মুহূর্তই কাটিয়েছেন আপনি ছোট বেলায়। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।