ব্লকচেইনে স্মৃতি সংরক্ষণ||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের সাথে শৈশবের স্মৃতি শেয়ার করতে চলে এলাম বন্ধুরা। ব্লকচেইনে কোনো কিছু শেয়ার করলে সেটা নাকি কখনো মুছে যায়না।তাই ভাবলাম এই স্মৃতি টা শেয়ার করে রাখি।এই পুতুলটা আমার একটি পছন্দের পুতুল ছিল।আব্বুর অফিস থেকে রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়ি যাওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালের দিকে তখন কেনা হয়েছিল পুতুলটি। ১৫ বছর বয়স পার হয়ে গেছে পুতুলের।আর অনেকটা বাঁকাও হয়ে গেছে মনে হচ্ছে আর বেশিদিন যাবেনা একাই পাথর গুলো পড়ে যাবে।সেদিন ভাই সোকেজ সাজাতে গিয়ে গিয়ে পুতুলটি আমার কাছে দিয়ে গেল।তখন কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম।ছবি তোলার সময় বুঝতে পারলাম পুতুলটির ও বয়স হয়ে গিয়েছে।অনেকটা দাগ পড়ে গিয়েছে মুখে কাধ ও বাঁকা হয়ে গিয়েছে।পুতুলের ফেইস ওয়াশ করার আগে যে ছবি গুলো তুলেছিলাম সেগুলোই ভালো লাগছিল।যদিও পুরো শরীর ওয়াশ করিনি কেননা অনেকদিনের তো পাথর গুলো পড়ে যেতে পারে।শুধু ফেইস ওয়াশ করার পর অনেকটা দাগ দেখা যাচ্ছিল।তাই আপনাদের সাথে আগের ছবিগুলোই শেয়ার করছি।আমার পছন্দের পুতুল তারপরেও একবারও ক্লিন করা হয়নি।তাই এই অবস্থা হয়েছে আরকি যত্নে রাখলে অনেকটা নতুন থাকতো।পুতুলের কারুকাজ টা আমার খুব পছন্দের ছিল ।সাদা এবং নীলের কম্বিনেশন এর পুতুলটি দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগতো নতুন অবস্থায়।এখনো অনেকটাই ভালো লাগে।
পুতুল মেয়ে বাচ্চাদের শখের একটি খেলনা।যাদের বাড়ি মেয়ে বাচ্চা আছে তারা তো জানেন।তাদের সারাদিন কাটে পুতুলের সেবা করতে করতেই,হিহি।আর ছেলে বাচ্চাদের তো গাড়ির পিছনেই কেটে যায় সময়।এই বিষয়টি কি আশ্চর্যের তাইনা ছেলেরা ছোট থেকেই গাড়ি ইত্যাদির পিছনে দৌড়ায়।আর মেয়েরা পুতুল,রান্নাবান্না এগুলো খেলনার পিছনে।যে বড় হয়ে তাদের এই কাজই করতে হবে ।তবে আমার একটি মজার ঘটনা আছে আমার ।আমি আবার খুব ছোট বয়সে পুতুল খেলিনি।আমার জন্য সর্বপ্রথম যেই পুতুলটি কেনা হয়েছিল সেটা দেখে আমি ভয় পেতাম আর আমার কাছে দিলেই নাকি ফেলে দিতাম।আপনারা আবার আমাকে ভীতু ভাববেন না কিন্তু আমি সাহসী অনেক,হিহি।
আমার কাছে কোনো ছবি সংরক্ষিত থাকে না।এই ধরুন একমাস আগের ছবিও আমার মোবাইলে নেই।ছবি না রাখার সেইভাবে কোনো কারণ নেই।তবে ডিলিট দিয়ে দিলেই আমার ভালো লাগে।ইংলিশ রাইটার দের মতো বলতে হয়,অতীতের কোনো গুরুত্ব নেই আমার কাছে এজন্যই হয়তো রাখিনা। পরে অবশ্য মিস করি কেন ডিলিট করলাম ছবিগুলো।আগের ছবি গুলো থাকলে বর্তমান ছবির সাথে তুলনা করা যায় কিন্তু আমার তো আর সেটা হয়না।তাই এই পুতুলের ছবিগুলো যদি ডিলিট দিয়ে দিই তাহলে আর এই সুন্দর ছবিগুলো পাবোনা।তাই আপনাদের সাথে এখানে শেয়ার করে রাখা।আপনাদের আমার পুতুলটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাবেন বন্ধুরা।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | সুলতানপুর |
ইংরেজি তারিখ | ১০/১২/২০২৩ |
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আমার ডাই পোস্টটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাবেন অবশ্যই বন্ধুরা।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে এসে এই প্রথমটাকে নেওয়া হয়েছিল যেন অনেক ভালো লাগলো আপু। পুতুলটা দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। সত্যি বলেছেন আপু ব্লকচেইনে স্মৃতি সংরক্ষণ করা বেশ ভালো। কারণ ব্লকচেইনের এর স্মৃতি কখনোই মুছে যায় না। এ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়িতে এসে ২০০৮ সালের এই পুতুলটি এখনো আপনার কাছে আছে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু।পছন্দের জিনিস বলে কথা।এতোদিনের পুতুল যেকোনো সময় পাথর পরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।তাই এখানে শেয়ার করলেন।কারন ব্লকচেইনে কোন কিছু মুছে ফেলা যায় না।বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। পুতুলটি এখনো দারুন লাগলো
জি আপু এটাই কেউ হাত দিত না অমর জিনিস এজন্য,তাই আছে আরকি।ধন্যবাদ আপনাকে আপু।