স্কুল লাইফে বন্ধুদের সাথে কম্পিটিশন নিয়ে মজার স্মৃতি(পর্ব -২)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
এরপরে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীতে ওই এলাকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। ক শাখা এবং খ শাখা দুইটি শাখা করা হয় আমাদের।যেহেতু ওই উপজেলার মধ্যে কাছে কোনো স্কুল ছিলনা ।তাই ওখানেই দূর থেকে স্টুডেন্টরা পড়াশুনা করতে আসতো।এর মধ্যে আমরা যারা কেজি স্কুলে ছিলাম তাদের অর্ধেক ক শাখায় আর অর্ধেক খ শাখায় ভাগ হয়ে গেলাম। দুই ভাগের মধ্যে আমি ,চৌতালি,শাফিন,জলি এক শাখায়।চারজনের মধ্যে জলি আর চৈতালি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।তারপর কিছুদিন ক্লাস হওয়ার পর আমাদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হয়।ওই পরীক্ষাতে কেউ খুব একটা ভালো করতে পারেনা আমাদের । সাধারণত প্রথম পরীক্ষাগুলোতে এরকমই হয়।এরপরে আসে দ্বিতীয় সময়িক পরীক্ষা ।তখনি শুরু হয় কম্পিটিশন এর বিষয়।
শাফিন ভালো করে প্রায় সাবজেক্ট এ।তখন এক সাময়িক পরীক্ষার প্রতি সাবজেক্ট এর রেজাল্ট ক্লাসেই দেওয়া হতো।শাফিন যেহেতু বেশি মার্ক পায় আর আমি কম ও ওর আব্বুকে বলতো এই বিষয়টা।তখনকার সময়ে যারা চাকুরীজীবী ছিলেন তাদের ছুটির দিন ছিল শুক্রবার একদিন। গার্ডিয়ান,স্যারগণ শুক্রবার বিকেলে বাজারে আড্ডা দিতেন আর তাদের সন্তানদের পড়াশুনার সার্বিক অবস্থার আলোচনা করতেন।এবার ওর আব্বু আমার আব্বুকে বলতেন যে, শাফিন ভালো করেছে আমি খারাপ করেছি।শাফিন পড়াশুনা করে ইত্যাদি প্রশংসা ওর।এই বিষয়টা যেকোনো গার্ডিয়ান এর কাছেই নিশ্চয় ভালো লাগবেনা।সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়েও যদি না পড়ে তার সন্তানেরা।আমার ছোট থেকেই একটা স্বভাব সময়ের একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে হুশ ফিরে যেকোনো কিছুতেই।শুরু থেকে কোনো সিরিয়াসনেস কাজ করেনা।
তারপর এই পরীক্ষায় ভালো না করার জন্য বাসায় এসে আমাকে উত্তম মাধ্যম দিতেন।যেহেতু শাফিন এর জন্য উত্তম মাধ্যম খেতাম তাই মনে একটা জিদ কাজ করতো।কিন্তু ওকে আমি বলতাম না কখনো যে তুই বাড়িতে বলিস কেন এই রেজাল্টের কথা।এরপর ফাইনাল পরীক্ষা হলো।রেজাল্ট এর দিন যথারীতি গেলাম রেজাল্ট নিতে স্কুলে।আমাদের তখন রেজাল্ট দিত সিরিয়ালে দাড় করিয়ে প্রথম দশ জনের রেজাল্ট মাঠে ডেকে দিয়ে দিতেন আর বাকিদের ক্লাসে দিতেন।এবার সিরিয়ালে দাড়িয়েছি আমি আর আমার বান্ধবী ফাহিমা।আমার তো ব্যাপক টেনশন হচ্ছে যে শাফিনের চেয়ে যদি খারাপ করি তাহলে কি হবে ইত্যাদি।এর মধ্যে আমাদের হুজুর স্যার আমার দিকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করেছে নাকি আমার বান্ধবী আবার সেটা খেয়াল করেছে ।তখন ও বলছে তোর রোল মনে হয় দুই হবে স্যার ইশারা করলো।আমি আবার খেয়াল করিনি এটা।
এর কিছুক্ষণ পরেই আমাদের রেজাল্ট ঘোষণা করা হলো প্রথম হলো জলি,দ্বিতীয় আমি আর তৃতীয় ফাহিমা,চতুর্থ চৈতালি।আমার বান্ধবীর অনুমান সত্যি হলো।এবার অপেক্ষা করছি শাফিনের রোল কত হলো শুনতে সিরিয়ালে দশ পর পার হয়ে গেল কিন্তু ওর নাম আর ডাকলেন না স্যাররা। মানে ও প্রথম দশজনের ভিতর নেই।তারপর বাসায় এসে আব্বুকে বললাম,এবার ওর আব্বুকে বলতে আমার আর শাফিনের রেজাল্ট।তখন আব্বু হাসলেন কিছু না বলে , কারণ আমি তো জিতে গিয়েছি ,,হিহি।একটা বিষয় আমি পড়াশুনা করলেও আমার কোনো প্রশংসা করেনা আমার পরিবারের লোকেরা অন্যদের মতো।পরের দিন স্কুলে গিয়ে জানতে পারি ওর রোল ১২ হয়েছে।তারপর ও খাতা চ্যালেঞ্জ করেছিল এরপরে রোল ৫ হয়েছিল। তাও আমার পরেই ছিল।আজকে লেখাটি অনেকটা বড়ো হয়ে গেল বন্ধুরা পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবো বাকি মজার ঘটনা গুলো।আজ এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date-29Novemver,2023
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
আসলে আপু জিদ মানুষকে সব কিছু পাল্টাতে সাহায্য করে । তবে জিদটা যেন ভালোর দিকে যায়,যেমন আপনার জিদ।আসলে বাচ্চারা ভালো করলে তাদের ভালো বলতে হয় তবে লোক সমাজে প্রচার করার কিছু নেই। যাইহোক আপু পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ আপু।