আবেগ নিয়ন্ত্রণ জরুরি||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে যে বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি সেটা নিশ্চয় এতক্ষণে টাইটেল দেখে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।জীবনে চলতে গেলে আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ জরুরি।এই কথাটা যত দ্রুত মাথায় নিয়ে নিতে পারবো আমরা তত দ্রুত নিজেদেরকে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো ।একটা কথা অবশ্যই ঠিক।প্রত্যেক ব্যক্তির আবেগ আছে।যদি আবেগ না থাকতো তাহলে পৃথিবীতে আজকে এতো মানুষের বিস্তার থাকতো না।মানুষ চলতে গেলে তার আশেপাশে বিভিন্ন বিষয় আসবে যাবে।এখানে বিষয় বলতে আমি প্রেম,ভালোবাসাকেই বুঝাচ্ছি আরকি ইন্ডিরেক্টলি।তাই বলে এগুলোর পাল্লায় পড়ে নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া কখনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
আমি একটা কথা সবসময় বিশ্বাস করি যে,যেই জিনিসটা আপনার জন্য নির্ধারিত রয়েছে সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে সেটা আপনার কাছে আপনাআপনি চলে আসবে।আপনি তার জন্য কোনো ধরনের ইফোর্ট না দিলেও চলবে।এখন এটা আপনার দুর্ভাগ্য ও হতে পারে আবার সৌভাগ্য।আপনি আর যাই করুন না কেন আপনার রিযিক বদলাতে পারবেন না।আজকে এই বিষয় নিয়ে লিখতে এলাম হঠাৎ করে এজন্য।
কয়েকদিন আগে আমার বোনের এক বান্ধবী আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল।কারণ এটা ছিল,সে প্রেম করেছে সমবয়সী একজন ছেলের সাথে।আর এখন তার প্রেম তার বাড়ি থেকে মেনে নিচ্ছেনা। সমবয়সী প্রেম এটা না মেনে নেওয়া ভুল কিছুনা আমারও তাই মনে হয়।তাই সে পৃথিবী থেকেই বিদায় নেওয়ার জন্য গলায় ফাঁস দিয়েছে।কিন্তু সৌভাগ্যবশত সে বেঁচে গেছে সেদিন আরকি।পরিবারের লোকেরা সময় মতো বাঁচিয়ে নিতে পেরেছে। গলায় ফাঁস নিলে কিন্তু একটা চিহ্ন থেকেই যায়। যেটার ছবি আবার দিয়েছিল আমার বোনকে তার বান্ধবীরা।আমি দেখে তো অবাক ।কেউ কারো জন্য মরে যেতে পারে কি করে।এখন আমার কথা যে মেয়েটা যদি মরে যেত,তাহলে কি ছেলেটাও মরে যেত।বিষয়টা তো এমন কখনোই হতো না তাইনা।ছেলেটা নতুন সঙ্গিনী খুঁজে নিত খুব শীঘ্রই।
কয়েকদিনের আবেগের বশবর্তী হয়ে শুধু শুধু মাঝখান দিয়ে একটা জীবন শেষ হয়ে যেত।মেয়েটার বাবা,মা সন্তান হারা হতো।আর কোনো এক পর্যায় গিয়ে মেয়েটাকে সবাই ভুলে যেত। আল্টিমেট সবচেয়ে ক্ষতি হতো মেয়েটার।এতো সুন্দর পৃথিবী থেকে অকালে বিদায় নিতে হতো তার।পৃথিবীর মতো সুন্দর একটা স্থান উপভোগ থেকে বঞ্চিত হতো।যেহেতু মানুষের জন্ম থাকলে মৃত্যুও অবশ্যই আছে।আর এই মৃত্যুও নিদ্দিষ্ট একটা সময়ে গিয়ে সবার জন্য নির্ধারিত।তাই আত্মহত্যার কোনো দরকার আছে বলে মনে হয়না আমার।মানুষের জীবন সবসময় ভালো চলবে এরকম ভাবটাও অনুচিত।আমরা যদি আমাদের জীবনের অন্যান্য বিষয়ের দিকে দেখি তাহলে কিন্তু একই দেখতে পায়।কোনো সময় সবকিছু আমাদের ফেবারে যায় কোনো ধরনের ইফোর্ট ছাড়া, আবার হাজার ইফোর্ট দিয়েও আমরা পারিনা নিজেদের চাওয়া পূরণ করতে।তাই পরিস্থিতি যাইহোক কখনো নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।সবশেষে,নিজের জন্য কিন্তু নিজেই।তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা জরুরি সবার।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষ আবেগের উপরে চলে। আবেগের বশীভূত হয়ে মানুষ অনেক বড় রকমের ভুল করে থাকে। আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। বাস্তবতায় হাসি জীবনের মূল অংশ। মানুষ সৃষ্টি থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত তার সবকিছু কপালে লেখন থাকে। যেটা লেখা আছে সেটা ঘটবে সুতরাং আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর আবেগ দিয়ে কোন ভুল করা যাবে না।
জি আপনি ঠিক বলেছেন,ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ।
নিজের আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন একটা কাজ। আর এই কাজ সবাই করতে পারে না। সত্যি অন্য একজনের জন্য মরতে যাওয়া মোটেই সহজ কথা না। কিন্তু ঐসময় আবেগ টা নিয়ন্ত্রণ করা সবার জন্য সম্ভব না। যেমনটা আপনার বোনের বান্ধবীর সঙ্গে হয়েছে। সত্যি বলতে আবেগ খুবই স্পর্শকাতর একটা জিনিস।
জি ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ।
আপু আপনার লেখাটা পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ।আসলে প্রত্যেকটা মানুষের তার নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ।ভালবেসে নিজের জীবন দেওয়ার মতো বোকামি আর কিছুই হতে পারে না আমার কাছে মনে হয় । কারণ মেয়েটি যদি আত্মহত্যা করেই ফেলতো তাহলে ছেলেটি নিশ্চয়ই অন্য একজনের হাত ধরে নতুন করে জীবন শুরু করতো ।এটা একদমই বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় ।বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে ধন্যবাদ।
জি একদম ঠিক বলেছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি ই আপু আবেগকে সবাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।কিন্তু পারা উচিত।আপনার লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।আমার খুব খারাপ লাগে যখন কোন মানুষ একজনের জন্য নিজের জীবনের মায়া ছেড়ে দেয়।আসলে এটা উচিত নয়।আত্মহত্যা করা কখনোই উচিত নয়।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু,ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।
আসলেই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক বেশি জরুরী। তবে এটা অনেক কঠিন একটা কাজ। সবাই তো আর নিয়ন্ত্রণ করে চলতে পারে না। আসলে এখন বেশিরভাগ ছেলে মেয়েকে দেখা যায় ভালোবাসার মানুষের জন্য তারা আত্মহত্যা করছে। সবাই তো আর বেঁচে ফিরতে পারে না। যদিও আপনার বোনের বান্ধবী বেঁচে গিয়েছে। কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমাদেরকে খারাপ একটা জিনিসের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
জি আপু,ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।এটা ঠিক যে আবেগ নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর সবার জন্যই।