ঝাল ঝাল খাসির মাংস রান্নার রেসিপি||
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশী বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হলাম বন্ধুরা।আমার আজকের ব্লগটি একটি রেসিপি ব্লগ।ঝাল ঝাল খাসির মাংস রান্নার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি বন্ধুরা।কয়েকদিন আগে বাসায় রেসিপিটি তৈরি করা হয়েছিল।কিন্তু অন্যান্য পোস্টের ভিড়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি রেসিপিটি। রেসিপির ছবিগুলো জমা করা ছিল,তাই ভাবলাম ডিলিট হয়ে যাওয়ার আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলি। কোনো দরকারি ছবি তো আর ইচ্ছাকৃতভাবে ডিলিট করিনা আমরা ব্লগাররা বিশেষ করে।তাও আবার যদি পোস্টের বিষয় থাকে ছবিগুলো আমাদের।কয়েকদিন আগে আমি ভুলবশত ডিলিট করে ফেলেছিলাম অনেক সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি। যার জন্য খুব আফসোস হচ্ছিল।ভালো কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না।এজন্য আর বেশিদিন ছবি জমা করে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়াগুলো।
পরিবেশন লুক
পরিবেশন লুক
প্রয়োজনীয় উপকরণ
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
খাসির মাংস | ১কেজি |
সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুড়া | পরিমাণ মতো |
ধনিয়া গুড়া | পরিমাণ মতো |
শুকনো মরিচ গুড়া | পরিমাণ মতো |
জিরা | ৩ চা চামচ |
পেঁয়াজ | ৮টি |
রসুন | ৬ টি |
কাঁচা মরিচ | ১৫টি |
আদা | অল্প পরিমাণ |
এলাচ | ১২ টি |
দারুচিনি | ৫টি |
তেজপাতা | ২টি |
ধাপ-১
ধাপ-১
প্রথমে মাংস,রসুন পেঁয়াজ,কেটে ধুয়ে নিতে হবে।তারপর উপকরণগুলোকে (৮টি পেঁয়াজ,রসুন ৬ টি, ২চা চামচ জিরা,আদা)একসাথে বেটে নিতে হবে।পুরোপুরি মিহি করার প্রয়োজন নেই রসুন, পেঁয়াজ।অন্য উপকরণগুলো মিহি করে নিয়েছি বেটে। এবার হাড়িতে মাংস,লবণ,হলুদ গুড়া,ধনিয়া গুড়া,বাটা মসলা,তেল দিয়ে একসাথে মেখে নিতে হবে হাত দিয়ে।
ধাপ-২
ধাপ-২
এবার হাড়িতে মাংস,লবণ,হলুদ গুড়া,ধনিয়া গুড়া,বাটা মসলা, শুকনো মরিচ গুড়া,তেল একসাথে মেখে নিতে হবে হাত দিয়ে। এবার চুলা অন করে মাংসের হাড়ি বসিয়ে দিতে হবে এবং পাঁচটি দারুচিনি এবং দুইটি এলাচ দিতে হবে। খুন্তির সাহায্যে নেড়ে চেড়ে উপকরণগুলো মিশিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৩
ধাপ-৩
এবার কাঁচা মরিচ দুই ফালি করে কেটে দিয়ে দিতে হবে।।
ধাপ-৪
ধাপ-৪
এবার রান্না করতে হবে ২০ মিনিট মতো।
ধাপ-৫
ধাপ-৫
এবার মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে একটি পাত্রে এক চা চামচ জিরা,এলাচ ১০ টি একসাথে ভেজে বেটে নিয়েছি।তারপর মাংসের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি বাটা মসলা।
ধাপ-৬
ধাপ-৬
এবার কিছুক্ষণ রান্না করে চুলা অফ করে দিয়েছি আমার রেসিপি প্রস্তুত।
ধাপ-৭
ধাপ-৭
এবার রেসিপিটি একটি পাত্রে পরিবেশন করেছি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আমার রেসিপি ব্লগটি।আবার নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে আপনাদের সাথে খুব শীঘ্রই দেখা হবে। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
রেসিপি ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
এভাবে সবকিছু এক সাথে দিয়ে মেখে রান্না করলে অনেক ভালো লাগে খেতে। তবে আমিও প্রায় সময় এভাবে মাংস রান্না করে থাকি সব মসলা এক সাথে দিয়ে কাঁচা তেল মেখে। আপনি খাসির মাংস ঝাল ঝাল করে রান্না করেছেন খেতে নিশ্চয় অনেক মজার হবে। আপনি ঠিক বলছেন আপু মাঝে মধ্যে ফটোগ্রাফি গুলো ডিলিট করে ফেলা হয় ভুলবশত অনেক আফসোস লাগে।
ধন্যবাদ আপু।
এমনিতে গরুর মাংস খাওয়া আমার নিষেধ মাঝেমধ্যে খাসির মাংস খাওয়া হয়। একটি কথা ঠিক বলেছেন গ্যালারিতে এই স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার পর থেকে প্রচুর পরিমাণ ছবি সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছি। আমি সব সময় চেষ্টা করি যেগুলো পোস্ট করি সেই ছবিগুলো ডিলিট করি। আপনার কিছু ছবি ডিলিট হয়ে গেছে জেনে খারাপ লাগলো। দারুন একটা রেসিপি আজ আমাদের মাঝে পরিবেশন করলেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। খাসির মাংস গরম গরম ভাতের সাথে বা রুটির সাথে খেতেও বেশ ভালো। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে।
জি আপু মজা ছিল খেতে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
খাসির মাংস আমার অনেক পছন্দের। কিন্তু বহুদিন হয়ে গেল খাসির মাংস খাওয়া হয় না।অনেকদিন পর আজকে কাকের মাংস দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আজকে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে মজাদার ফাঁকির মাংস রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।বিশেষ করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন।সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।বানানে ভুল রয়েছে কিছু, ঠিক করে নিন ভাইয়া।
আপু আপনার পোস্ট করার ধরণটা আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনি দেখছি অনেক মার্কা ডাউন ইউজ করেছেন। যার কারণে আপনার পোস্টটি খুব সুন্দর লাগছে। মাংস পরিবেশনার ধরনটা ছিল অনেক সুন্দর। আপনার পোস্টে থেকে আমি অনেক কিছু শিখলাম। মাংসের কালটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাঝে মাখে ভুলটা আমারও হয়। একটা ছবি ডিলেট হয়ে গেলো অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। যাইহোক ঝালঝাল খাসি আমার বেশ পছন্দের। মসলা যদি বেটে দেওয়া হয় তাহলে কোন কথাই নেই🤤🤤।
জি আপু ঠিক বলেছেন একদম।ধন্যবাদ আপনাকে ।
মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপির রং দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আর রান্না শেষ হওয়ার আগে ভাজা জিরা ও গরম মশলার গুড়া ব্যবহার করার জন্য মাংসের স্বাদ দ্বিগুন হয়েছিল। আর এভাবে রান্না করলে মাংস খেতে দারুন হয়। রেসিপি তৈরির ধাপ সমূহ সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে সবসময় উৎসাহিত করার জন্য।
মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটেছে কয়েকবার আমি কিছু ছবি সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম যে পোস্ট করব কিন্তু ভুলবশত ডিলিট করে ফেলেছিলাম পরবর্তীতে খুবই আফসোস লাগছিল। যাই হোক ছবি ডিলিট করার আগেই আপনি এই খাসির মাংস রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খাসির মাংস পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে বেশ কিছুদিন ধরেই খাসির মাংস খেতে মন চাইছে কিন্তু ভার্সিটিতে পরীক্ষা থাকার কারণে বাসায় যাওয়া হয়নি। খুব শীঘ্রই বাসায় যাব ভাবছি আপনার এই রেসিপিটি দেখে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারছিনা। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই আপু মোবাইলে ফটোগ্রাফিতে ভরে যায়। তাই ডিলেট করতে হয়।আমি একবার ভুল করে অনেক রেসিপি করার ফটোগ্রাফি ডিলেট করে ফেলেছিলাম।খুব খারাপ লেগেছিল আসলে।যাই হোক আপনি কিছু দিন আগে দারুন মজা করে খাসির মাংস রান্না করলেন।খুব লোভনীয় হয়েছে দেখতে।খেতে ও খুব মজার হয়েছে আশাকরি। রেসিপিটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মজার এই মাংস রান্না রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।
এক কথায় অসাধারণ রেসিপিটি আপনার।খাসির মাংসো এভাবে রান্না করলে খুব মজাদার হয় খেতে। আজকেই খাসির মাংস খেয়েছি কিন্তু তবুও আপনার সাজানো,গোছানো ও লোভনীয় রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর করে রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।