সকাল থেকেই পোস্ট করবো করবো করে করতে পারছি না,মেয়েটা বেশ জ্বালাতন করছে।অল্প অল্প করে লিখতে সকাল থেকে বিকাল গড়াচ্ছে।যত বড় হচ্ছে ততই বেশি আমাকে কাজ করতে ঝামেলা করছে।যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে একটি জেনারেল পোস্ট করবো।
জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে হলে যত্ন সহকারে এবং মন দিয়ে পরিশ্রম করতে হয়।যত্ন কিংবা পরিশ্রম ছাড়া কোন কিছুই অর্জন করা যায় না।কথায় যত্নে রতন মিলে।আমাদের জীবন বড়ই সংগ্রামমুখর।নিজের অস্তিত্ব এবং সম্মান টিকিয়ে রাখার জন্য যত্ন করে পরিশ্রম করতে হয়।পরিশ্রম ছাড়া কোন দেশ এবং জাতি উন্নত করতে পারে না।নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে পরিশ্রম করতে হয়,তা না হলে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়।
অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে,সংসারে যারা ধৈর্য্যশীল এবং যত্নবান ও পরিশ্রমী তারাই সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে আরোহন করেছে।তারাই সংসার টাকে সুন্দর করে গুছানো এবং পরিপাটি।যারা যতবেশি গুছানো তারা ততই বেশি সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাএ।
যে কোন জিনিস যতন করে রাখলে সে বহুকাল ধরে ভালো থাকে।তাছাড়া পুরোনের জিনিসের মত কোন জিনিস হয় না।আগের দিনের ফার্নিচারের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, হয়তোবা ডিজাইন খুব বেশী উন্নত না হলেও সেই জিনিসপত্রের সাথে এখনকার জিনিসপএের আকাশ পাতাল ব্যবধান।
অনেকে দেখা আগের জিনিসগুলো খুব যত্ন করে রাখে।অনেকে বলতে আমার দাদীর হাতের একটি পালকং আছে।আগের দিনে এটাকে বাক্স চকি বলতো।যাই হোক বেশ উচু এবং বেশ নকশা করা।আগের দিনের বুঝেনেই অনেক ভালো কাঠ।একেবারে মনে হয় লোহার কাঠ।যাই হোক এই খাট আমাদের গ্রামের বাড়িতে এখনও আছে।আমরা গ্রামে গেলে ঘুমাই।
এখন এই খাটগুলো প্রাইস অনেক বেশি।বেশি বলতে ভালোই বেশি।এমন আরো অনেক জিনিস আছে।এই যেমন মটকা বলে।আগের দিনে ধান কিংবা চাল রাখা হতো।কিছু কিছু জিনিস আছে এন্টিক।যত্ন করে রেখে দিয়েছে অনেকেই এগুলোর দাম ও অনেক বেশি।আসলেই যতনে করলে রত্ন মিলে।দেশ বিদেশে এমন অনেক ঘটনা উদাহরণ আছে।
আসলে যে কোন জিনিসই নতুন কিংবা পুরাতন সব জিনিসই যত্ন করতে হয়।তাছাড়া যত্ন দ্বারাই মানুষের ভাগ্যকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।যত্নের পাশাপাশি পরিশ্রমী হতে হয়।আসলে একটা অপরের পরিপূরক।পৃথিবীতে যারা মনীষী আছে তাদের সবাই পরিশ্রমী ছিলো বিদায় তারা এত এত আলোড়ন তৈরি করেছেন। আমাদের শেষ নবীর জীবনে থেকে বুঝা যায় যে তিনি খুব পরিশ্রমী, সৎ, যত্নশীল ব্যাক্তি ছিলেন যার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে প্রকৃত মানুষ ছিলেন।
এমন আরো অনেকে আছেন যারা ত্যাগ তিতিক্ষা ও রত্ন নিরলস সাধন ধারায় পৃথিবীতে কীর্তিমান ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লাভ করেছে। একজন সফল মানুষের জীবনে অলসতার কোন ঠাঁই নেই। মনে রাখতে হবে যত্ন করেই কাজ করতে হবে।আর এই কাজেই গতি।আজ যারা দারিদ্র্য, তারা পরিশ্রমের মাধ্যমেই সাফল্যের স্বর্ন শিখরে অবস্থান করতে পারে।
আজ আর নয় আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্য কোন ব্লগ নিয়ে,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ |
আমার পরিচয়
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
Posted using SteemPro Mobile
আমি এটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে কোন কিছু মন দিয়ে যদি যত্ন করে করা হয় তার ফলাফল ভালো পাওয়া যায়। পরিশ্রম এমন এক জিনিস যা কখনো মানুষ ব্যর্থ হয় না। মন দিয়ে সযত্নে যদি পরিশ্রম করা হয় তাহলে তার ফলাফল খুবই সুন্দর হয়। অতীত ইতিহাস আলোচনা করলে আমরা জানতে পাই যত কবি, দার্শনিক কিংবা যত রাষ্ট্র গড়ে উঠেছেন তার বিপরীতে দেখবেন কত পরিশ্রম এবং যতনের ফলাফল। অনেক কষ্ট করে সময় দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখলেন বেশ ভালো লেগেছে পড়ে।
আসলেই আপু কোন জিনিস মন এবং যত্ন দিয়ে করলে ফলাফল পাওয়া যায়।আপনাকে ধন্যবাদ
ঠিকই বলেছেন আপু,যে কোনো জিনিসকেই যত্ন করে রাখলে সেটা ভালো থাকে সবসময়। আগেকার দিনের কাঠের জিনিসের তুলনায় এখনকার দিনের কাঠের জিনিসের গুণগত মান অনেকটাই কম। পরিশ্রমের দ্বারা আসলে সব মানুষের সাফল্যে পৌঁছাতে পারে। তাই কোন সফল মানুষের জীবনে অলসতার কোনো স্থান নেই। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
আগের যে কোন জিনিসের সাথে এখন জিনিসের কোন তুলনা হয় না।আপু আপনাকে ধন্যবাদ