হঠাৎ বিপদ।
২ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
১৫ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
আমরা জীবনে এত এত কিছু করি ধন সম্পদ টাকা পয়সা ইত্যাদি অথচ একটা কানাকরিও আমরা মৃত্যু পরিবর্তন জীবনে কাজে আসবে না কিংবা কোথায় ও নিয়ে যেতে পারবো না।অথচ এই ধনসম্পদ এর জন্য কত অন্যায় অবিচার করি।অথচ সৃষ্টিকর্তা কি পারে সামান্য জিনিস থেকেই কত কিছু হতে পারে।বলছিলাম আমার খালু এর কথা।একটা কত সময় তিনি খুব ধাপটের সাথে চলাফেরা করতো।
তার ধমকে ভয় পেত সবাই তার কথায় মানতো ও সবাই। বড় বোনের জামাই হিসেবে আমার মা মামারা খুব সম্মান করতো।কোন বিপদে আপদে কাজে কর্মে তার সাথে শেয়ার করতো কোন কাজ করার আগে তাকেই আগে জিজ্ঞেস করতো।শুনেছি আমার নানা মারা যাওয়ার আগে আমার মা খালা ও মামাদের তার হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছিলো আগলে রাখার জন্য।তাই তিনিও তার দায়িত্ব গুলো বেশ ভালোভাবেই পালন করার চেষ্টা করে গিয়েছে। কোন প্রোগ্রামে প্রধান অথিতি তিনিই ছিলেন।
আমার খালা মারা যাওয়ার পরও তাকে বেশ সম্মান করেছে কোন সময় তারা ভাবে নি বোন নেই তাহলে বোন জামাই পর।
অভিভাবক হিসেবে মান্য করেছে, ভয়ও পেত।মোটামুটি রাগী মানুষ ছিলেন।যাই হোক এই তো চাঁদ রাতে সবার সাথেই ফোন দিয়ে কথা বলেছে। খোঁজ খবর নিয়েছে,ঈদের দাওয়াত ও দিলো।
রাত একটা থেকে পায়ে ব্যথা।তার ছেলে এবং ছেলের বউ ও ডাক্তার। পায়ে ব্যথা বিদায় ছেলে ভেবেছে আগে কোমড় ব্যথা ছিলো সেই থেকেই হয়তো পায়ে ব্যথা তাই ব্যথার দিয়েছে হাই পাওয়ারের।কিন্তু ব্যথা তো কমছে না, কিছুই বুঝতে পারছে না আসলে ঘরের মানুষ অসুস্থ থাকলে হঠাৎ ঘরের ডাক্তার ও ঘাবড়ে যায়।পরে ঈদের দিন ভাইয়াকে ফোন দেয় তখন ভাইয়া ছিলো মসজিদে পরে মসজিদ থেকে বের হয়ে ম্যাসেজ দেখে চলে যায় খালুকে দেখতে।
ভাইয়া খালুকে দেখে পায়ে কি যেন পাচ্ছে না ডাক্তারি ট্রাম তেমন বুঝি না।পরে দেখে পায়ের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, পরে ভাইয়া তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে কারন এমন সমস্যা হওয়ার পর ছয়ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা করা লাগে তা না হলে প্রচন্ড ব্যথায় মানুষ অস্থির হয়ে যায় যার জন্য পা কেটে ফেলা লাগে। এমনি ঈদের দিন হাসপাতালে ডাক্তার কম আরো নানান কিছু বন্ধ থাকে।
এই দিকে সে প্রচন্ড ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে। এই সমস্যা হলে নাকি অনেক ব্যথা, একেবারে ভারি জিনিস পরে থ্যাথলালে যেমন ব্যথা ঠিক তেমন।যাই হোক ঘরের সবাই অস্থির। আসলে চোখের সামনে একটা মানুষ এমন কষ্ট পাচ্ছে দেখতেই খারাপ লাগছে।তার উপর ঈদের দিন।একেবারে ঈদ মাটি হয়ে গিয়েছে ।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
মৃত্য সেটা এক সত্যের নাম৷ জীবনের আলো টুকু চিরদিনের জন্য নিভে দিবে এই মৃত্য ৷ তবে একটা কথা বেশ বলেছেন ৷ যে সবাই যদি একটু মৃত্য কে নিয়ে ভাবতো তাহলে পৃথিবীতে এতো অন্যায় হতো না ৷ না আমরা বুঝি কিন্তু তা মানি না ৷ যা হোক ঈদের দিন মৃত্য সত্যি অনেক খারাপ লাগলো ৷ তার আত্নার শান্তি কামনা করছি ৷
দাদা কে মারা গেল?
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কষ্ট লাগলো আসলে একটা মানুষ এতটা যন্ত্রণা সহ্য করেছে। তারপরে ঈদের দিনে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে। মূলত মানুষের কোন গ্যারান্টি নেই যে কোন সময় মানুষ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে পারে।
প্রথমে আপনার খালুর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল। কখন যে কেমন করে কোন দিক দিয়ে বিপদ চলে আসে বোঝাই যায় না। আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনার খালু খুবই সম্মানীয় একজন ব্যক্তি ছিলেন। ঈদের দিনে এমন একটি ঘটনা ঘটার কারণে এবার আপনাদের ঈদটাই মাটি হয়ে গেল।
সত্যিই আপু আপনাদের ঈদটাই মাটি হয়ে গেল। এমন দিনে ঘরের কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে তো পুরো ঈদই মাটি হয়ে যায়। বেশ খারাপ লাগলো, আবার ভয়ও হচ্ছে যে কি হলো পরে বেচাচার এই কথা ভেবে। দোয়া রইল আপনাদের জন্য।
আসলে ঈদ সবার জন্য আনন্দের হয় না। ঈদের দিন এমন একটা বিপদের কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আপনার বড় খালুর পায়ের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুবই কষ্ট পাচ্ছে। আপনার বড় খালুর জন্য দোয়া রইল।
খুব মর্মান্তিক ঘটনা পড়লাম, তবে শেষ পর্যন্ত কি হলো সেটা কিন্তু শেয়ার করলেন না, আফসোসটা থেকেই গেলো তার জন্য।
অনেকগুলো দুর্ঘটনা একসাথে শেষ পর্যায়ের ঘটনা পরবর্তী পর্বে লিখে দিব।আমার মেয়ের জ্বর আমার বাবার এক্সিডেন্ট ইত্যাদি এগুলো শেয়ার করতে হলে অনেক বড় হয়ে যায়,তাই। ধন্যবাদ
বিপদ আসলে বলে কয়ে আসে না।আপনার খালুর অবস্থা পড়ে খুব খারাপই লাগলো আপু।এরপর আসলে কি হলো? পরবর্তীতে জানতে হবে।ঈদের দিনটি তবে খুব কষ্টের মধ্যে ই কাটলো আপনাদের।পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সবারই খুব দুশ্চিন্তা হয়।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু চোখের সামনে এরকম একজন মানুষ কষ্ট পেলে সবার খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। তার উপর আবার ঈদের দিনে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে, যেটা সত্যিই অনেক দুঃখের। অবশ্য এই ব্যাপারটা জানতে পেরে আমার কিছুটা ভয় হচ্ছে। যাইহোক, মানুষটার জন্য অনেক প্রার্থনা রইল, তিনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
বিপদ কখনো বলে আসেনা। আসলে যে কোন সময় যেকোনো বিপদ হয়ে যেতে পারে৷ আপনার খালুর এরকম অবস্থা শুনে খুবই খারাপ লাগলো৷ এরপর কি হলো তা জানার আশায় রইলাম। আপনাদের ঈদের দিনটি খুব দুঃখের সাথে কেটেছে যা শুনে খুবই খারাপ লাগছে৷