আজকে পোস্ট করতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছে। মূলত আমি সকালেই পোস্ট করি কিন্তু আজকে ছেলেকে একাডেমি তে দিয়ে লিখার প্রিপারেশন নিবো এর মধ্যে শুনতে পেলাম আমার মামা মামী এবং কাজিন তারা হজ্জ করে আজকে সকালে বাংলাদেশে পৌঁছিয়েছে তাই ভাবলাম সবাই মিলে তাদের সাথে দেখা করবে তারপর না হয় পোস্ট করবো।
যাওয়ার রেডি হবো মা বললো সকালের নাস্তা নিয়ে যাবে,ফ্রিজে মাংস আছে আর পরোটা নিয়ে যাবে তাই একটু দেরি হবে,ঐদিকে তাদের সাথে কথা বললাম তারা বললো তারা একটু হাসপাতালে যাবে কারন কাজিনের শশুর মশাই অসুস্থ আমরা যেন একটু দেরি করে যায়, তারপর ভাবলাম দেরি করে যেন যাবো তাহলে দুপুরে রান্না করে যাবো তখন আবার কাজিন বললো তারা পরে যাবে আমরা যেন দেখে করে আসি।এমন একটা অবস্থায় ছিলাম।
আমাদের যেতে যেতে প্রায় বারোটা এই দিকে গ্যাস ছিলো না তাই রান্না করতেও দেরি।আমরা যেয়ে দেখি তারা রেডি হয়ে গিয়েছে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য আমরা দেখে করে নাস্তা খাইয়ে চলে আসলাম।তারপর থেকে একটু কাজে কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই আর লিখতে পারি নি, এখন লিখতে বসলাম।
আজ আমি আপনাদের সাথে বাসায় চোরের কাহিনি নিয়ে লিখবো।সময় টা তখন রোজার সময়।রোজার সময় তো ভোরে উঠতেই হবে।আমি ভোরে উঠে সেহেরি খাবো এমন সময় কেন জানি জানালার দিকে চোখ পরলো আমি মনে হয় একজন মানুষ দেখতে পেলাম।বাসার সবাই কে বললাম কিন্তু তারা আমার কথা পাত্তা দিলো না তারা ভাবলে আমি মনে হয় ঘুমের ঘরে চোখে ভুল কিছ দেখিছি।আমি ভাবলাম হয়তো আমি ভুল দেখেছি।দুই তলায় মানুষ আসবে কি করে।
যাই হোক আমরা যথারীতি খেয়ে নামাজ পরে ঘুমিয়ে পরলাম।পরের দিন শুনলাম পাশের ফ্ল্যাটের আন্টির নাকি চেয়ারের উপর ব্যাস রেখেছে সেই ব্যাগ লাঠি দিয়ে টেনে নিয়ে গিয়েছে। ব্যাগ অল্প কিছু টাকা আছে আর কি কি যেন ছিলো।পুরোপুরি আমার মনে নাই।যাই হোক চোরে ব্যাগ থেকে চুরি করে ব্যাগ বাসার সামনেই ফেলে গিয়েছে। তারপর আমাদের পরিবার বললো আমি হয়তো সেইদিন ঠিক দেখেছি।
সমস্যা হচ্ছে আমার পরের দিন যথারীতি আমরা ঘুমিয়ে গিয়েছি।বেশ গরম বিদায় আমরা জানালার পাশে মাথা দিয়েছি।তখন জানালা ছিলো পালা এবং স্টিলের জানালা।আমরা তো ঘুম।সেই দিন কেন জানি আমি মোবাইল টা বিছানায় আনিনি,তাছাড়া গরম পরাতে আমার নাকে কিংবা গলায় গোল্ড ছিলো না।যাই হোক চোর কিভাবে যেন জানালা টা খুলেছে তারপর মশারির উপরে লাঠি দিয়ে চেয়ারে একটা শার্ট ছিলো সেটা লাঠি দিয়ে পেচাছিলো,ভেবেছে শার্টের পকেটে টাকা আছে।
যাই হোক হঠাৎ করেই কেন জানি আমার ঘুম ভেঙে যায়।তারপর আমি উঠে বসে পরি তারপর মনে হলো জানালা খোলা। আমি আমার হ্যাসবেন্ডকে ডাকি এবং বলি জানালাটা মনে হয় খোলা না সে বিশ্বাস করে পরে আমি উঠিয়ে হাত দিয়ে দেখতে বলি, পরে বলে আসলেই খোলা। আমি তড়িঘড়ি করে উঠে লাইট জ্বালাই পরে দেখি মশারির উপর লাঠি আর শার্ট পেঁচানো, পরে লাঠি টান দিতে যাই তখন মশারিটি ছিড়ে যায়।
এরপর থেকে আর কখনই জানালার পাশে আমি মাথা দেই না,এখন বাহিরে গিল দেওয়া, থাই গ্লাস লাগিয়ে
আজ আর নয় আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্য কোন ব্লগ নিয়ে,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
আসলে চোরেরা ভোররাতে এরকমই করে থাকে। আর এই জন্য জানালা খোলা রাখা একেবারেই উচিত না আমাদের। সব সময় জানালা বন্ধ করেই ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। অনেক বিপদ হতে পারে জানালা খোলা রাখলে। চোরের তো দেখছি অনেক বুদ্ধি। মোবাইল নেওয়ার জন্য বেশ বড় বুদ্ধি করেছে। ঐ দিন রাতে ঐ মানুষটাকে দেখার পর আপনি যদি চিৎকার করতেন, তাহলে হয়তো আন্টিটার ব্যাগ নিতে পারত না। যাইহোক এখন থেকে সব সময় সাবধান থাকবেন।
জানালা তো খোলা ছিলো না কিভাবে যেন জানালাটা খুলেছিলো, বলতে পারি না।
কারো সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা থাকলে সঠিক সময়ে যেতে না পারলে এবং এখন নয় তখন এরকম একটা পরিস্থিতি হলে কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। আপনাদের এলাকায় দেখছি ভয়ংকর চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। চোখের দেখাকে আমরা অনেক সময় ভুল বলে ভাবি দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর চোখের দেখা কে বিশ্বাস করি। ভাগ্যিস আপনাদের বাসায় চোর লাঠি পেয়েছি এ সার্ট নেয়ার জন্য কিন্তুু নিয়ে যেতে পারিনি। ফোন থাকলে ফোন হয়তো বা নিয়ে যেতো।অনেক শুনেছি লাঠির মাথায় চুম্বক কিংবা আঠা লাগিয়ে ফোন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা এর আগে অনেকবার শুনেছি আপু জালানার দিয়ে।সাবধানে থাকবেন জানালা দরজা বন্ধ করে রাখবেন মূল্যবান জিনিসপত্র হাতের নাগাল থেকে দূরে রাখবেন। ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কাজের বেশ ঝামেলা হয়ে যায়।হ্যা মনে হয় লাঠির মাথায় চুম্বক লাগিয়ে মোবাইল নিয়ে যায়।
নিচতলা বাসায় হলে জানালা খুলে ঘুমানো খুবই রিস্কের বিষয়। কারণ চোর জানালা দিয়ে যে কোন জিনিস নিয়ে যেতে পারে। তাদের সেরকম ব্যবস্থাও থাকে। সেদিন আপনার ভাগ্য ভালো যে মোবাইল এবং গোল্ড জাতীয় জিনিস কাছে ছিল না। তাহলে রাতের বেলা নিয়ে গেলে টেরও পেতেন না। আশা করি এরপর থেকে সাবধান হয়ে গিয়েছিলেন।
জানালা তো খোলা ছিলো না চোর কিভাবে যেন ডালা জানালা খুলে ফেলেছে এখন থাই লাগিয়ে গ্রিল লাগিয়ে ফেলেছে।
চোরের বুদ্ধি দেখে আমি তো বেশ অবাক হলাম। আসলে চোরের কিন্তু অনেক বুদ্ধি। কিন্তু চোরের সেই বুদ্ধিকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারেনি দেখছি আপনার কারণে। আপনার কারণেই তাহলে চোরের অপারেশন ফেল হয়ে গিয়েছিল। কেন যে মাঝপথে ওকে ব্যর্থ করে দিলেন। হা হা হা। যাই হোক ভাগ্য ভালো যে আপনার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল। না হলে তো ওই চোরটা যেমন সিস্টেম করেছিল, ওই সিস্টেমে মোবাইল খুঁজেই নিয়ে যেতো। জানালা এই জন্য খোলা রেখে কখনো ঘুমানো ভালো না।
চোরের বুদ্ধি আছে বিদায় তো চুরি করে।হা হা