বর্ষার দিন।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
আজ রোজ শুক্রবার
১১ই অগাস্ট ২০২৩ ।
|
---|
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
এখনও থেমে থেমে আবার কখনও অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে তবে আগের মত না।তবে এখন একটু বৃষ্টি হলেই পাকা রাস্তা পানিতে ডুবে যায়, আর পানি গুলো বেশ নোংরা হয়।আগের পানি বেশ পরিষ্কার থাকতো।মনে হতো বৃষ্টির মহা উৎসব চলতো।দিনের আলো স্ম্লান হয়ে যায় । মাঝে মাঝে বিদুৎতের ঝলক চারদিকে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।আকাশের গুড়ুম গুড়ুম বজ্রনিনাদ ধ্বনিত হয়।
আমার বৃষ্টি বেশ ভালো লাগে, আগে তো বৃষ্টি হলে বৃষ্টিতে ভিজতেই হতো।এমনকি রাতে বৃষ্টি হলেও আমি ভেজার চেষ্টা করতাম।এখন আর আগের মত পারি না।একবার আমি যখন কলেজে পরতাম তখন কলেজ ছুটি হয়েছে আর ঠিক ঐ সময় বৃষ্টি পরা শুরু হয়েছিলো আমরা ফ্রেন্ডরা মিলে ভিজতে ভিজরে বাড়িতে এসেছে।আসলে সেই দিনগুলো ভুলার মত না।বৃষ্টি হলে মন চলে যায় সুদূরের অচিনপুরে।
বাতাসের চকিত ঝাপটায় বৃষ্টির নাচন শুরু হয়।বৃষ্টি হলে প্রকৃতি যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়।বৃষ্টির পরে গাছপালা অনেক সুন্দর লাগে।আর যদি বৃষ্টির সময় টিনের ঘরে থাকা যায় তাহলে তো কথা নেই। টিনের চালোর উপর টুপটাপ আওয়াজ বেশ ভালো লাগে এমনকি গাছের পাতায় ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ প্রকৃতির গায়ে শিহরন তোলে।
যদিও বৃষ্টি বেশ ভালো লাগে তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টি বেশ অসহ্যের কারন হয়ে দাড়ায়।রাস্তাঘাট কাঁদা কাঁদা হয়ে থাকে,খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যায় না।কাজ কর্মের ব্যাঘাত ঘটে,এমন কি বৃষ্টি হলে আলসেমি ও বেড়ে যায়।সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায় না।শহরের রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল কমে যায়।
শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যাওয়া আসা অসুবিধা হয়ে যায় এমন কি বড়দের অফিসে যেতে অসুবিধা হয়ে যায়।জরুরি প্রয়োজনে ছাতা ছাড়া চলেই না।শহরের মানুষের তাও তো কিছুটা সুবিধা গ্রামের মানুষের আরো অনেক অসুবিধা। তবে বর্ষাকালে আমার কাছে আসলেই ভাজা পোড়া খেতে ভালো লাগে।বিশেষ করে চাল ভাজা বাদাম ভাজা একসাথে মিলেয়ে খেতে কিংবা নারিকেল দিয়ে মুড়ি দিয়ে খেতে।বেশ কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেশ ভালোও লাগছে আবার কখনও বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি সব কিছু ভেজা ভেজা মনে হয়।
যাই হোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | samsung SM-A217F |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বৃষ্টির দিন আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে, বৃষ্টিতে ভিজতেও দারুন লাগে। আমি তো কালও বৃষ্টিতে ভিজেছি । তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি কারো কাম্য নয় ।তাতে মানুষের অনেক অসুবিধারও সৃষ্টি হয় ।বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয় ।ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু বর্ষাকাল একটি অসাধারন রূপে আমাদের কাছে আসে। বর্ষা তার বৃষ্টি ছোয়ায় রাঙিয়ে তোলে পথিবী কে। প্রকৃতি তখন ফিরে পায় একটি অপরূপ রূপ। গাছের পাতা গুলো হয়ে যায় সজীব আর প্রাণবন্ত। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করছেন আপু্। বর্ষার কথা বলে মনটাকে রাঙিয়ে দিলেন।
আসলে আপু বর্ষাকালে প্রকৃত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাজে মেতে উঠে এগুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে। বর্ষাকালের পানিতে প্রকৃতি তার সজিবতাই প্রাণ ফিরে পায়। ঠিক বলেছেন আপু আপনি এখন অল্প একটু বৃষ্টি হলেই পাকা রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে যায়। আসলে আপু বৃষ্টির দিনে টিমের ঘরে থাকতে বেশ ভালো লাগে বৃষ্টির আওয়াজ কানে আসলে ঘুম বেশি ভালো হয়। আরে বৃষ্টির দিনে বড়দের অফিসে যাওয়া সব কিছু একটু ঝামেলা হলেও ছাতা নিলে হয়তো কোন ঝামেলা হবে না। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আসলে বর্ষার দিনটা আগে ছিল একরকম এখন আরেকরকম হয়ে গিয়েছে। আগে বৃষ্টির দিনে কতই না মজা হতো তবে এখন হালকা একটু বৃষ্টি হলেই মাঠঘাট ডুবে যায়। বর্ষার দিনে ভাজাপোড়া খেতে আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। বৃষ্টিটা বেশ ভালোই উপভোগ করে ভাজাপোড়া খাওয়া যায়। আসলে এই বৃষ্টি নিয়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ছোটবেলায় প্রচুর ভেজা হতো তবে এখন বৃষ্টিতে ভিজতে পারি না।
আসলে আগে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হতো তারপরে রাস্তাঘাট সবকিছু পানির নিচে চলে যেত, কিন্তু এখন হালকা বৃষ্টি হলে সব কিছু পানির নিচে চলে যায়। আগে বৃষ্টির দিনে কতনা মজা হত, আর এখন তেমন কিছুই দেখা যায় না। বৃষ্টির সময় আমি সব থেকে বেশি পছন্দ করি বাদাম ভাজা খেতে। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে, আর জানালার পাশে বসে বৃষ্টি উপভোগ করতে করতে বাদাম খাওয়ার অনুভূতিটা সবার থেকে অন্যরকম হয়। বর্ষার দিন পোস্টটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
ঠিক বলেছেন আগের সময় বৃষ্টি গুলোর পানি একদম পরিষ্কার ছিল এখন পানি গুলোর মধ্যেও গন্ধ থাকে। পরিবেশগত কারণে এখন এই সমস্যা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির দিনে টিনের ঘরের মজাই আলাদা। বৃষ্টির শব্দ গুলো শুনতে অনেক ভালো লাগে। আপনার মত আমার ও আগে বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে খুব ভালো লাগতো। তবে গ্রামাঞ্চলে বৃষ্টি সময় এখনো মানুষ ভিজে থাকে। তবে এটা ঠিক বৃষ্টি হলো গরম কমতেছে না। আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বর্ষার দিনের অনুভূতি অন্যরকম। আমি যখন ছোট ছিলাম স্কুলে পড়তাম। তখন বৃষ্টির সময় স্কুল থেকে ভিজে ভিজে বাড়িতে আসতাম। তবে আপনি ঠিক বলেছেন আগেরকার সময় বৃষ্টির পানি গুলো অনেক পরিষ্কার ছিল মনে হয় রোদে ঝিকমিক করতেছে। এখন মানুষের কারণে পানি গুলো নোংরা হয়ে গেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন এবং কাসরার কারণে পানি গুলোর মধ্যে গন্ধ দেখা যায়। তবে আপু আপনি ঠিক বলেছেন বৃষ্টির সময় ট্রেনের ঘরে ঘুমানোর মজাই আলাদা। বিশেষ করে বৃষ্টির শব্দ টপটপ অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে বৃষ্টিকে নিয়ে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।