অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি।
১৮ই বৈশাখ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
৩ ই মে ২০২৪খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শুক্রবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
অবশেষে ঢাকাতে বৃষ্টি হয়েছে স্বস্তির।ইদানিং বেশ ভালোই গরম পরছে,আগে এত গরম পরেনি।জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে পরিবেশ নানা ভাবে দূষিত হচ্ছে তাই পরিবেশের উপর চাপ পরেছে।আগে জনসংখ্যা কম ছিলো গাছপালা বেশি ছিলো।মায়ের মুখে শুনেছি আগে নাকি ভাত খাওয়ার চেয়ে ফলমূল বেশি খেত।তাছাড়া এত এত পরিমান মাছ হতো যার জন্য ভাত কম খেয়ে মাছ বেশি খেত।আর এখন মাছ বেশি খাবে তো দূরের কথা অনেক সময় মাছ পাওয়া যায় না।
যাই হোক ফিরে আসি বৃষ্টির কথায়।সেই রোজার শুরুর দিকে কিছুদিন বৃষ্টি ছিলো,রোজার শেষের কয়েকদিন অনেক গরম ছিলো।ঈদের দিন ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ছিলো এরপর অনেক দিন বৃষ্টি নেই, এই দিকে অনেক গরম পরেছে।কিন্তু দুবাইতে নাকি বৃষ্টি হয়ে বন্যা হয়ে গিয়েছে। সেও নাকি কৃত্রিম বৃষ্টি। যাই হোক বাংলাদেশেরও অনেক জেলায় বৃষ্টি কয়েকদিন আগ থেকেই পরছিলো ।
তারপর কাল আমাদের এই দিকে সন্ধ্যায় বৃষ্টির ফোঁটা ফোঁটা পরছিলো,আমরা বেলকুনি দিয়ে হাত বারিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো ধরার চেষ্টা করলাম।তারপর দেখি বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে, কি আর করার অন্ধকারে বাচ্চাদের নিচে বসে রইলাম এই দিকে বেলকুনির দরজা আর জানালা খুলে দিলাম অনেক বাতাস আসছিলো।তারপর কিছুক্ষন পর বিদ্যুৎ চলে আসলো।তারপর দেখি রাতে আবার সেই তুমুল বৃষ্টি। তার সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে গেলো কিন্তু বাতাস ছিলো অনেক।এই দিকে ব্যাঙের ডাকাডাকি তে আমরা অস্থির। এত এত আওয়াজ করে এরা ডাকে ।
আগে দেখাতাম সন্ধ্যায় ব্যাঙ ডাকতো ইদানিং দেখি দিনে রাতে সমান তালে ডাকে।আবার কাল ছিলো বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার মানেই বিয়ের গায়ে হলুদের প্রোগ্রাম। অনেক রাত অব্দি ফুল স্পীকার এগান বাজনা বাজানো।আগের মত এখন তেমন টানা বৃষ্টি দেখি না অনেকদিন।আগে দেখতাম টানা বৃষ্টি ফলে ইটের রাস্তাগুলোতে পানি জমে যেত,আর সেই পানিতে হাটঁতে আমার বেশ ভালো লাগে পরিষ্কার পানি ছিলো স্বচ্ছ পানির নিচে কি আছে না আছে সব দেখা যেত।আবার হালকা পাতলা বৃষ্টি হলে বিভিন্ন কোঁচো, আরো বিভিন্ন পোকামাকড় দেখতাম এখন তেমন একটা দেখা যায় না।
যাই হোক অবশেষে সেই প্রতিক্ষিত বৃষ্টি ভিজিয়ে দিলো আমাদের পুরো এলাকা। বৃষ্টির শব্দ আমার বেশ ভালো লাগে ,বিশেষ করে টিনের চালের শব্দ। বৃষ্টির শীতল হবো বেশ ভালো লাগে।কাল রাত থেকে সকাল অব্দি বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া ছিল কিন্তু দুপুর হওয়ার সাথে সাথে গরম বাড়ছে। হাঁসফাঁস গরম নাকি আবার শুরু হবে ,এইটা ভেবেই লাগছে। তবে প্রচন্ড গরম এই অল্প বৃষ্টি বেশ প্রশান্তি এনে দিয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। কাল জেনারেল চ্যাট জানাতে অনেকেই বৃষ্টির আপসোস করেছে নিশ্চয়ইকাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে ।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বৃষ্টি এখন সকালের কাছে অনেক আরাধ্য একটি জিনিস। অনেকদিন যাবতি বৃষ্টি দেখি না সেই রোজার মধ্যে বৃষ্টি কয়েকদিন ছিল এরপর থেকে আর বৃষ্টির কোন দেখাই নেই। বৃষ্টি আসলে কি যে শান্তি পেতাম আমি তো মন শুধু বৃষ্টির আশায় থাকে।এক পশলা বৃষ্টি আপনার স্বস্তি এনে দিয়েছে এটাই অনেক।এতো সুন্দর একটা মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঢাকাতে যে বৃষ্টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। তবে দেশে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হলেও আমাদের এদিকে এখনো বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। আশা করি খুব শীঘ্রই আমাদের এখানেও ঝরবে রহমতের বৃষ্টি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বৃষ্টির দিনের অনেক কিছু স্মৃতি আপনি শেয়ার করলেন। যখন একদম ছোট ছিলাম আমাদের গ্রামে কাঁচা রাস্তা ছিল। প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হলে রাস্তার মধ্যে অনেক কাঁদা হয়ে যেত। সেই কাঁদা মাটিতে হাঁটার মজাই আলাদা ছিল। সবাই অনেক খেলা করতাম হাঁটতে হাঁটতে। অবশেষে আপনি স্বস্তির বৃষ্টি ফিরে পেলেন বেশ ভালো লাগলো শুনে। এত গরমের মধ্যে একটু বৃষ্টি মানে হচ্ছে আমাদের জন্য অনেক আরামদায়ক। তাহলে তো ওয়েদারটা বেশ সুন্দর পেলেন আপু।