গল্প:হঠাৎ দেখা । (শেষ পর্ব )
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
২ এপ্রিল ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আমি আজকে একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গল্প লিখতে কিংবা পড়তে আমার বেশ ভালোই লাগে।কিছু দিন আগে আমি একটি গল্পের কিছু অংশ শেয়ার করেছিলাম। আজ তার শেষ অংশ শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
নীলিমা আর বিয়েতে যায় নি।তবে সন্ধ্যায় যখন বউ আনলো,তখন নীলিমা গেলো বউ দেখতে বিয়ে বাড়িতে তখন কিভাবে কিভাবে যেন নীলিমার ফোন নম্বর ঐ ছেলেটির বন্ধু নিয়ে নীলিমাকে ফোন দিল সেই দিন রাতে।নীলিমা প্রথমে চিনতে পারলো না পরে যখন পরিচয় দিল তখন চিনতে পারলো।
কিন্তু বাবু আর রিপন খুব ভালো ফ্রেন্ড ছিলো।বাবু ও অনেক বার রিপনের হয়ে নীলিমাকে বুঝাতো রিপন অনেক ভালো ছেলে পড়ালেখা করে।নীলামার একটাই কথা ফ্রেন্ড হিসাবে থাকতে পারলে থাকবে আর তা না হলে কোন কিছুই তার পক্ষে কোন কিছুই সম্ভব না।
এই দিকে কোন এক কারন বশত বাবু পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়,কিন্তু নীলিমা বাবু কে অনেক অনুরোধ করে যেন পড়াশোনা যেন না ছাড়ে কে শুনে কার কথা।
এমন করতে করতে নীলিমার পরীক্ষা ও সামনে চলে এসেছে। সে ও তাদের সাথে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছে।একটা হঠাৎ একটা নম্বর থেকে ফোন নীলিমাকে একজন ফোন করে বলে সে কাকে ভালোবাসে সেটা তাড়াতাড়ি বলতে, নীলিমা তো অবাক এই কথা শুনে।
কারন নীলিমার বাবুকে ভালো লাগতো কিন্তু সে তো কখন ভালোবাসে নি কারন নীলিমা পড়াশুনা করে কিন্তু বাবু পড়াশুনা করে ভালোবাসলে কখন তার পরিবারে বাবুকে মেনে নিবে না কারন নীলিমার পরিবারে সবাই শিক্ষিত।
যাই হোক নীলিমা বললো সে কাউকে ভালোবাসে না। তারা যেন কেউ নীলিমাকে ফোন না দেয় কারন নীলিমার সামনে পরীক্ষা।
এই দিকে রিপন ও গ্রেজুয়েশন শেষ করে নীলিমার কোন সারা না পেয়ে বিদেশ চলে গেলো ,আর নীলিমা ও সব কিছু বাদ দিয়ে পড়াশুনা করতে লাগলো। এখনো ও মাঝে রিপন ফোন দেয় তবে শুধু মাত্র বন্ধু হিসেবে। এইভাবেই হঠাৎ দেখায় পরিচয় হলো।
নীলিমা যাকে পছন্দ করতো তার নাম ছিলো বাবু আর বাবুর বন্ধুর নাম ছিলো রিপন।এই রিপন প্রথম নীলিমাকে ফোন দিয়েছিলো।মাঝে মাঝে নীলিমা আর রিপন ফোনে কথা বলতো শুধুমাএ ফ্রেন্ড হিসাবে।তবে রিপন নীলিমাকে পছন্দ করতো কিন্তু কখনও নীলিমাকে বলেনি।
কিন্তু বাবু আর রিপন খুব ভালো ফ্রেন্ড ছিলো।বাবু ও অনেক বার রিপনের হয়ে নীলিমাকে বুঝাতো রিপন অনেক ভালো ছেলে পড়ালেখা করে।নীলামার একটাই কথা ফ্রেন্ড হিসাবে থাকতে পারলে থাকবে আর তা না হলে কোন কিছুই তার পক্ষে কোন কিছুই সম্ভব না।
এই দিকে কোন এক কারন বশত বাবু পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়,কিন্তু নীলিমা বাবু কে অনেক অনুরোধ করে যেন পড়াশোনা যেন না ছাড়ে কে শুনে কার কথা।
এমন করতে করতে নীলিমার পরীক্ষা ও সামনে চলে এসেছে। সে ও তাদের সাথে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছে।একটা হঠাৎ একটা নম্বর থেকে ফোন নীলিমাকে একজন ফোন করে বলে সে কাকে ভালোবাসে সেটা তাড়াতাড়ি বলতে, নীলিমা তো অবাক এই কথা শুনে।
কারন নীলিমার বাবুকে ভালো লাগতো কিন্তু সে তো কখন ভালোবাসে নি কারন নীলিমা পড়াশুনা করে কিন্তু বাবু পড়াশুনা করে ভালোবাসলে কখন তার পরিবারে বাবুকে মেনে নিবে না কারন নীলিমার পরিবারে সবাই শিক্ষিত।
যাই হোক নীলিমা বললো সে কাউকে ভালোবাসে না। তারা যেন কেউ নীলিমাকে ফোন না দেয় কারন নীলিমার সামনে পরীক্ষা।
এই দিকে রিপন ও গ্রেজুয়েশন শেষ করে নীলিমার কোন সারা না পেয়ে বিদেশ চলে গেলো ,আর নীলিমা ও সব কিছু বাদ দিয়ে পড়াশুনা করতে লাগলো। এখনো ও মাঝে রিপন ফোন দেয় তবে শুধু মাত্র বন্ধু হিসেবে। এইভাবেই হঠাৎ দেখায় পরিচয় হলো।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভালোবাসা হলো মমের মতো অল্প কিছুতে গলে যাবে ৷ আর যদি সুন্দর যত্ন করে রাখা যায় ৷ তবে দীর্ঘ দিন আলো দিবে ৷
রিপন ও বাবু দুজনে নিলীমার সাথে কথা বলে কিন্তু নিলীমা বাবু কে পচ্ছন্দ করে ৷ কিন্তু বাবু পড়ালেখা সেরে দিয়েছে ৷ তাই তো নিলীমার পরিবার মেনে মেবে না ৷ তবে রিপন তাকে ভালোবাস তো তা বোঝা যাচ্ছে ৷ কিন্তু সেটাও আর হলো না ৷
যা হোক দিনশেষে প্রিয় মানুষ খুব মানুষের ভাগ্যে জুটে ৷
ঠিক বলেছেন তো।ভালোবাসা হলো মোমের মত।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
নীলিমা বাবুকে পছন্দ করত কিন্তু সে কখনো বাবু কে এই কথাটি বলেনি। অন্যদিকে রিপন ও নীলিমাকে পছন্দ করত কিন্তু রিপন ও নীলিমাকে এই বিষয়ে কিছুই বলেনি। কিন্তু নীলিমা রিপনের সাথে ফ্রেন্ড হিসেবেই কথা বলতো। বাবু পড়ালেখা ছেড়ে দেওয়ার কারণে বুঝতে পারে যে, পড়ালেখা ছাড়া তার সাথে কখনো বিয়ে হবে না রিপন কে। কারণ নীলিমার পরিবারের সবাই শিক্ষিত। তাই সে রিপন এবং বাবু দুজনের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। আমি তো ভেবেছিলাম গল্পের শেষে হয়তো অন্য কিছু হবে। যাইহোক ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
আসলে বাবু একটু চটপট টাইপের ছিলো,সে সবকিছু নিয়েই মজা করতো,কিন্তু যখন সিরিয়াস হলো তখন নীলিমা অনেক পিছিয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ
নীলিমার সাথে দেখছি বাবু এবং রিপন কারোই মিল হলো না। আমি তো ভেবেছিলাম হয়তো নীলিমা রিপনকে তার ভালোবাসার কথা খুলে বলবে এবং রিপনকে বলবে সে বাবুকে ভালোবাসে। রিপন নীলিমাকে পছন্দ করতো কিন্তু নীলিমা তার সাথে ফ্রেন্ড হিসেবে কথা বলতো সবসময়। বাবু পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়েছিল। নীলিমার পরিবার কোন মতেই বাবুকে মেনে নেবে না কারণ বাবু পড়ালেখা করেনা। এরপর নীলিমা দুজনের সাথেই কথা বলা বন্ধ করে দেয় এবং পড়ালেখায় মনোযোগ দেয়। এরকম গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।
কিছু কিছু ভালোবাসা অমিল থাকায় ভালো হয়ত।ধন্যবাদ আপু।