বিলাসিতা (১ম পর্ব )
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
|
---|
তাই একদিন সিদ্ধান্ত নিলো এই বাসায় আর থাকবে না, বাসা পরিবর্তন করবে।বাসা পরিবর্তন করে বাসা নিলো তার সাথে চলেই আরেক বিলাসিতার মানুষ।তাদের দুইজনের অনেক মিল।তাই বাসা নিয়ে নিলো।দুইজনের অনেক মিল। একজন আরেকজনকে টক্কর দিয়ে চলে।কে কতটুকু দামি দামি শপিং করবে কে কোথায় ঘুরতে যাবে।সাইলা তো তখন কেবল নাইনে পড়ে,সে বুঝে কিন্তু তার কথা কে শুনে।তারও বন্ধত্ব বেশ ভালো ভালো মেয়েদের সাথে তারাও বেশ বড়লোক।
হঠাৎ একদিন তার মা সিদ্ধান্ত নেয় তারা কক্সবাজার ঘুরতে যাবে।তার স্বামীকে বলে টাকা পাঠাতে।তার স্বামী বললো আমি দেশে নেই যেহেতু আমি দেশে আসলে নিয়ে যাবো।আমারও বিদেশে অবস্থা তেমন ভালো না।আগে ভালো ছিলো কিন্তু কে শুনে কার কথা,সাইলার মা ও বলে দিয়েছে টাকা না দিলে আত্মহত্যা করবে কি আর করার কষ্ট করে হলেও টাকা পাঠাতে হবে।
যাই হোক এমন করতে করতে সাইলার মায়ের দিন দিন বিলাসিতা বাড়ছে।এই দিকে সাইলাও এস এস সি পাশ করে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে। মাঝে মাঝে অনেক ঘটক বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে কিন্তু সাইলার মায়ের চাহিদা অনেক বেশি। ছেলে এমন হতে হবে তেমন হতে হবে।ঘটক যেই ছেলে আনে সেই ছেলেকেই পছন্দ না।
ছেলে সুন্দর, স্মাট,পড়ালেখা ভালো সরকারি চাকরিজীবী ইত্যাদি আরো নানান কিছু। অনেক সাইলার তুলনায় ভালো ছেলে আসলেও তার মায়ের পছন্দ হতো না।এভাবে চলতে চলতে একটা সময় সে ঋণ করে চলতে লাগলো।ঋণ পরিমান বাড়তে লাগলো।তারপরও তার বিলাসিতা কমে না।এই দিকে সাইলার বাবার তেমন একটা কাজ নেই। সেও যে বেশ কর্মঠ তাও না।
এতে করে সাইলার বাবার বেশ খারাপ লাগে।সে কষ্ট করে বিদেশ থাকে সে কিনা ভালো করেই বিলাসিতায় দিন কাটায়।সে যে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে একবারে দেশে চলে এসেছে।কারন মালিক বেশ কষ্ট দেয়,যার জন্য সে অন্য জায়গাতে যেতে চায় তখন পুলিশ তাকে ধরে জেলে পাঠিয়ে দেয় সেখানে এক সপ্তাহ থাকার পর দেশে চলে এসেছে একেবারে শূন্য হাতে।
আপনাদের আমার গল্পের প্রথম পর্ব কেমন লেগেছে জানাবেন,ভালো লাগলে দ্বিতীয় পর্ব লিখবো।আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু বিলাসিতা একবার করলে সে টাকা না থাকলে ধার করেও চলে।সাইলার মা নিজে তো ইনকাম করে না তাই তার শুধু বিলাসিতা।বিলাসিতা করতে করতে এখন যে একেবারে ঋণ হয়ে গেল তবু তার বিলাসিতা কমছে না। সত্যি আমাদের কারো সাথে বিলাসিতা নিয়ে তুলনা করা ঠিক নয়।অনেক সুন্দর লিখেছেন।
আসলেই লোভ মানুষকে অনেক খারাপ দিকে নিয়ে যায়।ধন্যবাদ
অনেক বেশি বিলাসিতা করা আমাদের কারোই একেবারে উচিত না। কারণ বিলাসিতা ধ্বংস হয়ে যেতে সময় লাগে না। সাইলার মায়ের এরকম বিলাসিতার কথা শুনে তো আমি বেশ অবাক হলাম। কারণ একটা মানুষের ভিতর এত বেশি বিলাসিতা কিভাবে থাকতে পারে। সাইলার বাবার জন্য অনেক বেশি খারাপ লাগতেছে। তিনি কত কষ্ট করে বিদেশে রোজগার করতেন। আর সেই টাকা দিয়ে উনার স্ত্রী বিলাসিতায় দিন কাটাতো। আবার দেখছি অনেক টাকা ঋণ করে হলেও তিনি নিজের বিলাসিতা টাকে ধরে রেখেছিলেন। নিজের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য দেখছি অনেক উঁচু লেভেলের ছেলেই খুজতেছে। দেখা যাক এখন পরবর্তী পর্বে কি হবে।
যারা বিলাসিতায় অভ্যাস হয়ে যায় তারা এটা আর ছাড়তে পারে না।ধন্যবাদ
যারা প্রতিনিয়ত বিলাসিতার মধ্য দিয়ে জীবন কাটাতে চায়, তাদের এই বিলাসিতা বেশি দিন থাকে না। কারণ বেশি বিলাসিতার কারণে মানুষ একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়। ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য তাদের কোনো পরিকল্পনাই থাকে না। সাইলার মা দেখছি বেশ বিলাসবহুল জীবন কাটাচ্ছে। বিলাসবহুল জীবন কাটানোর জন্য অনেক টাকাও নিয়েছে। কিন্তু নিজের হাজবেন্ডের পরিস্থিতি বুঝতেছে না। এরই মধ্যে দেখছি ওনার হাজবেন্ড বিদেশ থেকে চলে এসেছে। উনার হাজবেন্ডের তো কষ্ট পাওয়ারই কথা। এখন দেখা যাক পরে কি হয়।
যারা বিলাসিতা করে তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না।আপনাকে ধন্যবাদ