ছোটবেলার কানামাছি খেলার গল্প।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
৭ ই অগ্রহায়ন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
২৯ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
কি লিখবো কি লিখবো করে সারাদিন কেটে গেলো।আসলে এত দিন আমার পোস্ট রেডি থাকতো আজ দেখি সব গুলো শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই ভেবে পাচ্ছিলাম না কি লিখবো।আজ আমি মজার একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আসলে সকলের জীবনে বেশ কিছু মজার মজার ঘটনা আছে,যা মাঝে মাঝে মনে হলে বেশ ভালো লাগে আর কিছু কিছু ঘটনা বেশ আপসোস লাগে।
তেমনি একটা মজার ঘটনা বলবো।আমার ছোটবেলা কেটেছে ঢাকাতে।তবে একটু গ্রাম গ্রাম ভাব আছে।তো আমাদের যে বাসা ছিলো সেটা হচ্ছে টিনসেড বিল্ডিং। চারপাশে ঘর ছিলো আর মাঝখানে আমাদের উঠান ছিলো।আগের বাসায় ছিলো প্রকৃতির ছোয়া ছিলো। আমাদের বাসাটা ছিলো বেশ সুন্দর। উঠানের মাঝখানে একটি একটি নারিকেল গাছ ছিলো।আগে উঠানের সাইডে একটি হাউস ছিলো যেখানে পানির ট্যাপ ছিলো সেখানে হাড়িপাতিল ধোঁয়া হইতো।
আর আমাদের বাড়ির পিছনে একটু জায়গা ছিলো আমার মা সেখানে বিভিন্ন গাছ লাগাতো।আর বাসার সামনে একটি জমি ছিলো।যেখানে শীতকালে বিভিন্ন সবজি চাষ করতো।এই যেমন লাল শাক,পালংশাক ও মূলা শাক। দেখতেও বেশ ভালো লাগতো।আর বর্ষা কালে পানি জমিয়ে রেখে মাছ চাষ করতো।আবার ধানও চাষ করতো।যাই হোক আমাদের এখানে খুব কম বিদ্যুৎ থাকতো না।
আসলে আগে তো এমনই হতো খুব কম সময় বিদ্যুৎ থাকতো।আমাদের বাসায় মোটামুটি অনেক ভাড়াটিয়া ছিলো।ভারাটিয়ার ছেলে মেয়েরা যারা সম বয়সী তারা আমরা একসাথে খেলতাম।প্রতিদিন রাত হলে আগে দোয়া করতাম কখন বিদ্যুৎ যাবে আর কখন আমরা উঠানে খেলবো।সবাই মিলে বেশির ভাগ সময় ফুলটোকা খেলতাম।চাঁদের আলোতে এই খেলাটাই বেশ ভালো লাগতো।
একজনের চোখ বাঁধা হতো আর অনেকের মাঝে একজন টোকা দিয়ে যেত তারপর বলতে হবে কে টোকা দিয়েছে, যদি বলতে পারে তাহলে সে চোর আর না বলতে পারলে আগের জনই চোর।আর দুপুর বেলাও খেলতাম। আগে মা দুপুরে ঘুম পারাতে চাইতো আর আমরা মাকে পাহারা দিতাম মা ঘুমিয়ে গেলে আমরা চুপি চুপি উঠে বাহিরে উঠানে খেলতাম।এভাবে একদিন খেলতে গিয়েছিলাম।আমরা সবাই মিলে কানামাছি খেলবো।তো কানামাছি খেলায় যথারীতি আমার চোখ বাঁধা হলো।
যখনই যাবো ওদের ধরতে তখন যেতে যেতে আমি উঠানের বাহিরে চলে গিয়েছি।বাসার পাশে যে জমি ছিলো সেখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে বাউন্ডারি দেওয়া ছিলো সেখানে যেয়ে পরেছি।একবারে পা কেটে ও হাত ও কেটে গিয়েছে।ভাগ্য ভালো যে চোখে লাগেনি।পরে তো মা দেখে এনে মারই দিতে যাবে তখনই দেখে আমার পায়ের অবস্থা খুব খারাপ। পরে আরকি আর মারেনি।যদিও সহপাঠী রা প্রথমে হেসেছিলো তারপর দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ছেলেবেলার সুন্দর সৃতিচারণ করেছেন আপনি।শাক সবজির বাগান।ভাড়াটিয়া বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা সব খুব সুন্দর ছিনো। আপনার ভাগ্যিস বড়ো ধরনের কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি।হাত পা কেটে ফেলেছিলেন এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা।ধন্যবাদ পোষ্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু ছোটবেলার ঘটনা গুলো মনে পড়লে আসলে এখন হাসি পায়। সত্যি আপু ছোটবেলায় আমরা ও কানামাছি খেলতাম। আসলে এখন এই খেলা গুলো নেই বলেই চলে। যাইহোক আপু আপনার ভাগ্য ভালো ছিল তাই হয়তো চোখে লাগে নি। আসলে আপু পা হাত কেটে গেলেও বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।