গল্প:(অমিল )পর্ব -১
৪ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ সোমবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আমি আজকে একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গল্প লিখতে কিংবা পড়তে আমার বেশ ভালোই লাগে।অনেক ইচ্ছে হল একটি গল্প লিখার জন্য তাই বসে পরলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
যাই হোক এর আগে ছেলের মা দেখতে এসেছিলো তারপর ছেলে নিয়ে দেখতে এসেছে। ছেলের মেয়ে দেখে পছন্দ হয়েছে কিন্তু মেয়ের ছেলে পছন্দ হয় নি কারন সে সবসময়ই চাইতো একটা লম্বা ছেলেকে বিয়ে করবে তাছাড়া ছেলের মা বেশ কড়া কড়া কথা বলে। তার উপর ছেলে বিয়ের পর মেয়ের পড়াশুনার খরচ চালাতে পারবে না আর চাকরিও করতে পারবে না।এই কথাগুলো নাভানার একেবারেই পছন্দ হলো না।
যদিও ছেলেপক্ষ যাওয়ার পর কিছু বলেনি কিন্তু নাভানা সৃষ্টিকর্তার কাছে সবসময়ই দোয়া করে যাচ্ছে যেন বিয়েটা না হয়। কিন্তু হঠাৎ একদিন রোজার আগের দিন বাবার ফোনে অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে ফোন আসে ঠিক ঐ মুহূর্তে নাভানার বাবা মসজিদে থাকার কারনে নাভানাই ফোনটা ধরে তখন নাভানাকে ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করে বলে তার বাবা কই তখন নাভানা বলে মসজিদে।
মহিলাটা বলে তোমার বাবা মসজিদ থেকে আসলে যেন ফোনটা ব্যাক করে এটা বলে ফোনটা কেটে দেয়।নাভানা ও বুঝতে না পেরে তার বাবাকে বলে কে যেন ফোন দিয়েছে তখন নাভানার বাবা ফোন ব্যাক করে তখন জানতে পারে ছেলের মা ফোন দিয়েছে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে।তারা যেন ছেলেকে দেখতে আসে।নাভানার বড় ভাই, বোন জামাই ও বাবা যায় ছেলেকে দেখতে। ছেলের বাবা নেই ছেলে একটা সরকারি চাকরি করে ঢাকাতে নিজেদের বাড়ি আছে তবে বাড়ি ঘর গুলো তেমন সুবিধার না।বৃষ্টি আসলে পানি উঠে এমন তবুও ছেলের চাকরি দেখে মেয়ে পক্ষ রাজি হয়।
নাভানার বাবা ও ভাই দেখে এসে একবারের জন্যও জিজ্ঞেস করে নাই নাভানা রাজি আছে কিনা। ছেলের মা কড়া কড়া করেই বলে কাবিন কম দিবে তার মধ্যে অর্ধেকেরই বেশি ওসুল লেখা থাকবে কিন্তু তারা কোন গয়না দিবে না পড়ালেখার খরচ দিবে না। তারপর কাবিনের দিন এমন এমন আইটেম দিয়ে খাওয়াবে আরো কত কি।এসব কথা শুনে নাভনা আরো রাজি না সে সবাই কে হাত জোর করে বলছে এখানে বিয়ে দিতে না কারন তারা বিয়ের আগেই এভাবে কথা বলে বিয়ের পরে না জানি কি করবে ঐখানে সে টিকতে পারবে না।
তাছাড়া এই যুগে এত কম কাবিন হয় নাকি তার উপর অর্ধেকের বেশি উসুল। কিন্তু তারা কোন কথাতে রাজি না।যদিও ভাই বোন নাভানার দলে কিন্তু তারা কেউ মায়ের সাথে পেরে উঠছে না।নাভানা বিয়েতে রাজি না দেখে নাভানার মা তাকে চড় দিয়েছে আর স্টিকলি বলেছে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে।নাভানা চোখের পানি তে কারো মন গলছে না। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ের পিরিতে বসলো আর কোন উপায় দেখছে না।বিয়ের দিন পাল্লারে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলছে কিন্তু নাভানা রাজি না পাল্লারে যেতে কারন সে তো রাজিই না।
যাই হোক পাল্লারে যেতেই হলো।কাবিন তো তাই খুব বেশি মেহমান আসেনি। কিছুক্ষন পর ছেলে পক্ষও আসলো অল্প কিছু জিনিস পএ নিয়ে,এই যেমন দুইটা শাড়ি, কিছু কসমেটিক আর একটা নাকের ফুল ইত্যাদি। তাদের আবদার এভাবে খাওয়াতে হবে ঐভাবে খাওয়াতে হবে এতজন মানুষ আসবে। বিয়ে পড়ানোর সময় মেয়ের হাতে টাকা দেওয়া লাগে, খুব কম টাকা দিলো কিন্তু মানুষকে শুনালো অনেক টাকা দিয়েছে। নাভানাতো খুব অবাক এরা খুব মিথ্যা কথা বলে তারউপর ছেলের ভাই এবং কাজিনকে কেন পাঞ্জাবি দিলো না এই নিয়েও কথা তারা কানাকানি করছে।
যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
অনেক সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন আপনি। আপনার লেখা গল্পটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে গল্পটি আরো বেশি জমজমাট হয়ে উঠবে আগামী পর্বে। তাই আপনার এই গল্পের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু গল্প লিখতেও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। নাভানা তো ঠিক বলেছে আসলে যারা বিয়ের আগেই এমন তাহলে পরে কি হবে। যাইহোক জোর করে হলেও কাবিন তো হয়ে গেল। আর এমন সংসারে অমিল লেগে থাকারি কথা। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।