হঠাৎ বিয়ের নিমন্ত্রণে উপস্থিত ।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
১৪ই জানুয়ারি ২০২২ খৃস্টাব্দ ।
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।
Device- Galaxy A13
অনেকক্ষন যাবৎ বৌ এর অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। বৌ টা বেশ কিউট দেখতে। আমি ও সুযোগ বুঝে ছবি তোলে নিলাম।
যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা হয়ত জানেন এই বছর আমি আমার ছেলেকে ভর্তি করিয়েছি মাদরাসায়।মাদরাসায় দেখলাম মোটামুটি ভালোই চাপ।আমি আগে সপ্তাহে দুইবার করে মায়ের বাড়িতে যেয়ে দেখা করে আসতাম কিন্তু ওকে ভর্তি করানোর পর এখন আর সময় পাচ্ছি না।তো গত পুরশো বৃহস্পতিবার ওর ক্লাস শেষ করে আমরা চলে যাই আমার মায়ের বাড়ি।যেয়ে শুনি বাবার অফিসের এক কলিগের মেয়ের বিয়ে ঐখানে যেতে হবে।
বর বৌ এক সাথে।
প্রথমে আমি শুনে রাজি ছিলাম না যাওয়ার জন্য,কারন তেমন কোন পিপারেশন নেই হঠাৎ করে কি কোথাও যাওয়া যায়।তবে বাবার রিকুয়েষ্ট আর ফেলতে পারলাম না।পরে বাবা,আমি, আমার ছেলে আর বোনের ছেলে বিয়ের দাওয়াতে যাবো তাই তৈরি হচ্ছিলাম এখন আমার বোনের ছোট ছেলে আমাদের রেডি হওয়া দেখে ওকে নিয়েই যেতে হবে।এখন ও আমাদের কারো সঙ্গ ছাড়ছে না।পরে কোন রকম বাবা নামায পড়তে যাবে বলে বের হয়েছে আর বড় ভাই বের হয়েছে কোচিং এ যাবে বলে।এখন আমি কেমনে বের হবো,পরে আমার আপু ওকে বুঝিয়ে গোসলের জন্য নেয় আর আমি এই ফাঁকে আমার ছেলে নিয়ে বের হই।আসলে দুইটারে একসাথে কোথাও নিলে বেশ দুষ্টামি করে,তাই একা সামলানো বেশ কঠিন হয়ে পরে।যাই তিনজন আলাদা আলাদা বের হয়ে রাস্তায় একসাথে হই আমরা পরে একটা অটো ভাড়া করে আমরা কমিউনিটি সেন্টার থেকে একটু দূরে নামায় দেয় অটোওয়ালা কারন সামনে নামালে নাকি পুলিশ জরিমানা করে।যাই হোক আমরা আগে থেকে কমিউনিটি সেন্টার টা চিনতাম না,তাই খুঁজতে বেশ অসুবিধায় হয়েছিলো।
অবশেষে বৌ আর হাসিমাখা মুখ দেখতে পেলাম।
অবশেষে অনেক খোঁজাখুজির পরে পেয়ে গেলাম।
যদিও কমিউনিটি সেন্টার একটু ছোট তবে বেশ সুন্দর করেই সাজিয়েছে।পরে বাবা আমাদের বসিয়ে রেখে নামাযে চলে গেলো,তারপর বেশ কিছু ক্ষন পর আমার বোনের ছেলে আমার ছেলেকে নিয়ে নামাযে গেলো।আর বসে ছিলাম এক কোনায় সোফাতে,আসলে কাউকে চিনি না তাই বেশ আনইজি ফিল হচ্ছিল। তবে আঙ্কেল টা বেশ আন্তরিক। একটু পর পর খোঁজ নিচ্ছিলো।
একটু পর বাবা নামাজ পরে আসলো। আমরা ও সবাই খেতে বসে পরলাম। খাবার গুলো বেশ ভালোই হয়েছে। কিন্তু সবার সামনে আর খাবারের ছবি বললাম না।
খাওয়া ধাওয়া শেষ করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।
আজ আর নয়। আবার আসবো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই পযর্ন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
photograpy | bride and groom |
link | (Source) |
VOTE @bangla.witness as witness OR
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
প্রথম ছবিতে দেখি সূর্য্যি মামার মতো নতুন বৌ এর চোখও টিমটিম করছিল😁।
বর-বৌ দুজনকে একসাথে ভালোই মানিয়েছে।
গত বছর জাস্ট একটা দাওয়াত খেয়েছিলাম বিয়ের আর আপনি আচমকাই দাওয়াত খেতে পারলেন একটা🙂।কপাল ব্রো কপাল!
যাইহোক,শুভ কামনা রইলো। পিচ্চির মাদ্রাসা জীবন ভালো কাটুক।
বউ এর কেন জানি বেশ মন খারাপ ছিলো। গত বছর এর পর আমি ও এই বছর এই প্রথম দাওয়াত খেলাম😉😉।দোয়া করিয়েন আমার ছেলের জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে
বোঝাই যাচ্ছে বাবার বাড়িতে গিয়ে হঠাৎ দাওয়াত পেয়ে সকলকে নিয়ে সেখানে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আগে তো জানতাম বিয়ের সময় মেয়েরা কান্না করে এ মেয়ে তো দেখছি হাসছে হাহাহা। আসলেই কমিউনিটি সেন্টারটি খুবই ছোট হলেও চমৎকারভাবে সাজিয়েছে মূলত তাদের ডেকোরেশন টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যাই হোক আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আগের দিন বাঘে খেয়েছে, এখন যদি কান্না করে তাহলে এত টাকার সাজ নষ্ট হয়ে যাবে না😉।আসলেই ছোট হলেও খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে। ধন্যবাদ
ওয়াও সত্যি কনে সেজে মেয়েটি অনেক কিউট ৷ আবার যেটা মনে হয় পার্লার থেকে সাজ গোজ করেছে ৷ তবে বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার প্লানটা শুনে হাসি পাচ্ছে ৷ অজুহাত দেখিয়ে হাহাহাহাহা ৷
যা হোক বিয়ের বাড়ির পরিবেশ টা দারুন সুন্দর ছিল ৷ অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ৷
আজকাল কি পার্লার ছারা চলে নাকি😉।তবে কনেটা আসলেই বেশ কিউট দেখতে।ধন্যবাদ আপনাকে
সত্যি বলতে যত বড় দাওয়াতই হোক প্রিপারেশন না থাকলে হুট করে যেতে একটু অন্যরকম লাগে। আর সেখানে কাউকে চেনেন না সেজন্য কিছুটা আনইজি ফিল হয়েছে। এটা আসলে সবার ক্ষেত্রেই হবে। যাক অবশেষে খাওয়া দাওয়া করে আবার পুনরাব বাসায় ফিরে এসেছেন এটা অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আসলে অপরিচিত জায়গা বিদায় যেতে কেমন জানি লাগে।এরা সবাই নামাজ পড়তে যাওয়াতে আমার একা একা বেশ আনইজিই লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে
আমার কাছে কিন্তু আপনার বোনের ছোট ছেলেকে ফাঁকি দিয়ে আপনারা সবাই দাওয়াতে চলে এসেছেন এটা বেশ মজার লেগেছে। কোন এক সময় এটা আমাদের ফ্যামিলিতে ও হতো। যাইহোক বিয়ের মুহূর্তটা বেশ সুন্দর কাটিয়েছেন । আপনার বাবার কলিগ এর মেয়ে ও জামাইকে বেশ মানিয়েছে একসাথে।
আর বলিয়েন এ যে কি পরিমান দুষ্ট। আমাকে নাম ধরে ডাকে খালামনি কিংবা আন্টি ডাকে না।আমি গেলে আমার পিছ ছাড়ে না মোটেও। সব বায়না আমার উপর😃
সত্যি আপু হঠাৎ করে ভালোই বিয়ে খেয়েছেন। আসলে আপু দুটি বাচ্চা একসাথে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে।আমি ও মাঝে মাঝে এভাবে পালিয়ে যায় কোথাও। সত্যি আপু বউটা অনেক কিউট।খাবারের ছবি না দিয়ে ভালোই করেছে,তাহলে সবারই খেতে ইচ্ছে করতো হা হা হা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দুইটা একসাথে কোথাও গেলে অনেক দুষ্টামি করে। একেবারে পুরো বাড়িঘর মাথায় তোলে।আসলেই বউ টা অনেক সুন্দর। খাবারের ছবি দিলে লোভ লাগতো,তাই না😉😉
বর আর কনে কে একসাথে ভালই মানিয়েছে। হঠাৎ করে বিয়ে খেয়েছেন পরিকল্পনা ছাড়া শুনে ভালো লাগলো। আর সেখানে আপনার বাবা নামাজ পড়তে গিয়েছে। আপনার আনইজি ফিল হওয়া স্বাভাবিক বিষয় কাউকে চেনেন না। দেখে বোঝা যাচ্ছে সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন।
আসলেই বর কনে এ বেশ ভালোই মানিয়েছে,তবে বরের চেয়ে বউ বেশি সুন্দর। আসলেই পরিকল্পনা ছাড়া কোথায় যাওয়া কেমন জানি লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা নিবেন।
আপু জীবনে অনেক কিছুই হুটহাট হয়ে যায়। যেমন আপনি হঠাৎ আপনার বাবার বাড়ি গেলেন আর গিয়েই হঠাৎ বিয়ের নিমন্ত্রনে চলে গেলেন। তবে আপনার বোনের ছেলেকে না নিয়ে যাওয়ার বুদ্ধি গুলো পড়ে হাসিঁ পেল। গোসল করতে না গেলে সেও বিয়েতে যেতে পারতো,হা হা হা। কন্যা মাশাঅল্লাহ দেখতে অনেক সুন্দর,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
গোসলে যেতে চাই নি,পরে বলেছি গোসল করে রেডি হও তারপর গিয়েছে, কিন্তু আমরা দাওয়াত খেয়ে আসার পর বেশ ভালোভাবে ধরেছে কেন আমরা ওকে নিয়ে গেলাম না😉।কনে আসলেই বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে
গিয়েই খেতে বসে গেলেন, এ কেমন কথা ভাই....😰 তবে কি কি খেতে দিয়েছিল সেটা যদি একটু উল্লেখ করতেন তাহলে হয়তো আমার আর একটু খিদে লাগত।
খেতেই তো গিয়েছি না খেলে তো তারা আবার রাগ করতো😉😉।বুঝেন না ভিআইপি পার্সন বলে কথা।
আপনার মনে হয় এমনেতেই খিদে কম লাগে,খাবার না দেখিয়েই যে হারে খান আপনি। দেখালে তো উপায় নেই 😉🙃।