মিথ্যা ভালোবাসা ।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
আজ রোজ রবিবার
৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ ।
|
---|
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আমি আজকে একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গল্প লিখতে কিংবা পড়তে আমার বেশ ভালোই লাগে।অনেক ইচ্ছে হল একটি গল্প লিখার জন্য তাই বসে পরলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। অনেক দিন পর একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে লাগবে।
তার সাথে খাওয়া দাওয়া তার বেশ ভালো দিতে হবে আর কেউ মাছ মাংস খেলে কি না খেলে সেটা দেখার বিষয় না ওকে তিন বেলাতেই ভালো খাবার দিতে হবে। যখন যেটা মনে হয় তখন সেটাই কিনে দিতে হবে।একবার তার বাবার কাছে বায়না ধরেছিলো বড় একটা ঘুড়ি বানিয়ে দেওয়ার জন্য তাই তার বাবা বিশাল একটি ঘুড়ি বানিয়ে দেয় যার লেজ দিয়েছিলো ১২ হাতের একটি শাড়ি।
যাই হোক কষ্ট হোক আর যেমন করেই হোক তার ইচ্ছে গুলো পূরন করার চেষ্টা করে কারন একমাএ ছেলে তার পরে অবশ্য তার একটা ভাই হয়েছিলো কিন্তু সে মারা গিয়েছে তাই সে যথেষ্ট আদরের।যার জন্য দুষ্টামি করে কোন সময় পা ভেঙে কয়েক মাস পরেছিলো হাসপাতালে আবার অনেক সময় হাত ও ভেঙেছে।
আর যদি কোন আত্নীয় স্বজন৷ তার বাসায় যায় তাদের ও বেশ বিরক্ত করতো নানা ভাবে যার জন্য তার বাসায় তেমন কেউ বেড়াতে যেত চাইতো না।যাই হোক আস্তে আস্তে সে বড় হতে লাগলো এবং কিছুটা বুঝতে শিখলো দুষ্টামির পরিমানটাও কিছুটা কমে গিয়েছে। এখন সে নিজে পড়ে এবং কিছু স্টুডেন্ট পড়ায়।হঠাৎ মাথায় ফন্দি আঠলো সে কম্পিউটার কিনবে যেমন করেই হোক কিনতেই হবে।মা বাবার কাছে বায়না ধরেছে জমি বিক্রি করে হলেও তাকে কিনে দিতে হয়েছে।
একবার তার বাসায় একটা প্রোগ্রামের আয়োজন করা হলো এতে তার আত্নীয় স্বজন সকলে মিলিত হলো।মোটামুটি বিশাল আয়োজন।তার বাবার দিকের মানুষ ও এসেছে এবং তার মায়ের দিকে মানুষও এসেছে। গ্রামে রাতে বেলা চাঁদের আলো উঠানে সবাই গল্প নিয়ে ব্যস্ত।সব কাজিনরা মিলে গল্প করছে।এমন সময় এক কাজিন প্রস্তাব দিলে চল সবাই মিলে টং দোকানে গরম গরম চা খেয়ে আসি।
গ্রামে তো আটটা বাজলেই অনেক রাত হয়ে যায়।মোটামুটি কাছের কোন দোকানই খোলা ছিলো সবাই মিলে চাঁদনী রাতে রাস্তা দিয়ে মোটামুটি দূরের দোকানেই গেলো।সবারই বেশ ভালো লাগছে।একে তো চাঁদের আলোয় রাস্তা দেখা যাচ্ছে তার উপর শীতের হিম বাতাস বেশ মজাই লাগছে।
আসলে যারা শহরে থাকে তাদের তো আর এই রকম পরিবেশ সচারাচর দেখা হয় না।কথা বলতে বলতে তারা পৌছে গেলো টং দোকানে।টং দোকানের এরা এত মানুষ তার উপর ছেলে মেয়ে একসাথে বেশ অবাক হলো তখন পাভেল বললো তার কাজিন শহরে থাকে তাই তারা গ্রামের চা খেতে এসেছে। সবাই বেঞ্চে বসে আছে, দোকানদার চা বানাচ্ছে।
যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন আর পড়তে খুব ভালোও লেগেছে। আমি কখন যেন গল্পের মধ্যে ডুবে গিয়েছিলাম আর হঠাৎ দেখি পরের পর্বের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে তখন গল্প পড়ার মজা চলে গিয়েছে। আমার কাছে গল্প পড়তে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার গল্পের সাথে বাস্তব জগতের মিল রয়েছে। অনেক সময় বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান থাকার কারণে সে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। আবার দেখা যায় এই সন্তানই একসময় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায়। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
আপু গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু গল্পটা অনেক মনযোগ দিয়ে পড়ছিলাম। হঠাৎ দেখি আজকের মতো শেষ। আসলে আপু বাচ্চাদের বেশি আদর করলে যা হয় আরকি। তবে পাভেল তো দেখছি আগের থেকে একটু ভালো হয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি গল্প লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা গল্পটি বাস্তবতার সাথে খুব মিল রয়েছে। আমি মনে করি বাবা-মায়ের যদি একমাত্র সন্তান হওয়া যায় তাহলে বাবা-মা অনেক আদর দিয়ে সেই সন্তানকে মানুষ করে। পরবর্তীতে দেখা যায় সেই সন্তানের কারণেই বাবা-মায়ের অনেক কষ্ট পেতে হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
গল্পটি পড়ে বুঝতে পারলাম পাভেল বেশ দুরন্ত। যেহেতু সে বাবা-মার একমাত্র ছেলে। ঠিক বলেছেন আপু বাবা-মার একমাত্র সন্তান হলে সে একটু বেশি দুষ্টু হয়। যাই হোক সবাই মিলে টংয়ের দোকানে চা খেতে গেল। এরপর কি হয় তার অপেক্ষায় রইলাম। আশা করছি খুব দ্রুত পরের পর্বটি শেয়ার করবেন।