হঠাৎ অসুস্থতা।
২ ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ বৃহস্পতিবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে আমি একটি জেনারেল পোস্ট করবো।আসলে বেশ কয়েকদিন যাবত বেশ দৌড়ের উপর আছি যার জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারি নি।ভেবেছিলাম সময় বাড়িয়েছে অংশগ্রহণ করবো আসলে বাবুকে একা হাতে সামলিয়ে তেমন কিছুই করতে পারছি না বাবুর একটার পর একটা সমস্যা লেগেই আছে।আজ প্রায় একসপ্তাহ ধরে বেশ অসুস্থ। রাতে এবং দিনে সমান তালে বেশ বিরক্ত করছে নিজেও ঘুমাচ্ছে না অন্যদেরকেও ঘুমাতে দিচ্ছে না।কান্না করতে করতে গলা টা ভেঙ্গে গিয়েছে।
আসলে সিজন পরিবর্তন হওয়ার কারনে প্রায় প্রতিটি ঘরের অসুস্থ হচ্ছে মানুষ।বেশ কয়েকদিন আমি বেশ অসুস্থ ছিলাম টানা সাতদিন জ্বর ছিলো সাথে সর্দি কাশি ছিলো। দুইটা দুইটা করে নাপা খেয়েও জ্বর কমচ্ছিলো না পরে এন্টিবায়োটিক শুরু করা লেগেছিলো এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পাঁচদিন পর ভালো হয়েছি।এখন বাবুটা অসুস্থ। আসলে ওর কান্নার কারন জানতে পারচ্ছিলাম না। একটার পর একটা ঔষধ দিচ্ছিলাম কোন ক্রমেই ভালো হচ্ছিলো না।
ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খাচ্ছিলাম ভালো হচ্ছে না তার উপর ছোট মানুষ।পরে দেখি কান দিয়ে পানি বের হচ্ছে তার মানে হয়তো গোসল করানোর সময় পানি গিয়েছে আর না হয় বমি করার সময় কানে বমি গিয়েছে।তারপর দেখি কান ধরতে পারছিলাম না আসলো ছোট বাচ্চা বলতেও পারে না।এখন এন্টিবায়োটিক দেওয়াতে আসতে আসতে সব বের হচ্ছে কান ব্যথায় জ্বর উঠে গিয়েছে এবং কান্না করতে করতে সর্দি কাশি হয়ে গিয়েছে। আসলে বাচ্চা মানুষ কথা বলতে পারে না যার কারনে অভিভাবক রা বেশ অস্থির থাকে।
তবে একটা মজার ঘটনা ঘটেছে তা আপনাদের সাথে না বললেই নয় বেশ কান্নাকাটি র পরে সিদ্ধান্ত নিলাম শিশু বিশেষজ্ঞ এর কাছে নিয়ে যাবো আমাদের বাসার পাশেই উনি বসেন তো আমরা সিরিয়াল দেয়নি তাই একটু দেরি করেই গিয়েছি কারন রোগী কমলে দেখাতে সুবিধা হবে বেশিক্ষন বসে থাকতে হবে না কারন উনার অনেক রোগী হয় প্রায় প্রতিদিনই।
যাই হোক গেলাম আমরা ঐখানে যেয়ে দেখি ও পুরোপুরি ঠান্ডা একটুও কান্না করছে না আগে একটু ধরাও যেত না এখন দেখি তাকে ওজন নেওয়ার জন্য শুয়ে দিয়েছে তারপরও না পরে যখন ডাক্তার দেখছে আমি বলছি ও অনেক কান্না কাটি করছে ডাক্তার তেমন বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না উনি বলছে ঠান্ডায় এমন ঠিক হয়ে যাবে যাক আমরা ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
এমন একটা অবস্থা। যাই হোক আল্লাহর অশেষ রহমতে একটু ভালো আছে,তবে গলা দিয়ে এখন শব্দ বের হচ্ছে না কান্না করলেও শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না, এটা টা গলা বসে গিয়েছে।আসলে সুস্হ্যতা সৃষ্টি কর্তার অনেক বড় নেয়ামত যা অসুস্থ না হলে বুঝা যায় না।বাচ্চা মানুষ বেশ কষ্ট পেয়েছে কয়েকদিন।আজ সকাল থেকে মাশাআল্লাহ একটু একটু ভালো। তাছাড়া বড় মানুষ অসুস্থ হলে তারা ভাব প্রকাশ করতে পারে বলতে পারে কিন্তু ছোট মানুষ সমস্যার কথা বলতে পারে না অনাবরত কান্না কাটি করে যার জন্য আরো বেশ অস্বস্তি পরা লাগে।
যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার বাবুর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। যেনে ভালো লাগলো আপনি জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আপনি ঠিকেই বলেছেন আপু,সিজন চেঞ্জের কারণে কাশি-ঠান্ডা-জ্বর এখন ঘরে ঘরে। এই সময়টা আমাদের বেশী সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের দিকে নজর দিতে হবে বেশি করে।হঠাৎ অসুস্থতা বিষয়ক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বর্তমান আবহাওয়ায় খুব খারাপ সাবধানে থাকতে হবে। আপনি অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। দোয়া রইল খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই আপনার বাবুর সুস্থতা কামনা করছি। আসলে ছোট্ট মানুষ কোন কিছু বলতেও পারে না, তাই হয়তো রোগ জটিলতায় রুপ নেয়। যাইহোক ভালো চিকিৎসা চলছে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে বাচ্চাদের কিছু হলে মাথা ঠিক থাকে না। ইনশাআল্লাহ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে আপনার বাবু।
বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। আশা করি বাবু বেশ তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। তবে আপনার পোস্টের মধ্যে মজার ঘটনা পড়ে বেশ হাসিই আসছিলো। বাচ্চারা এমনই হয়।মাঝে মাঝে আমাদের সাথে মজা করে। তবে সবকিছুর পরও দোয়া করি আমাদের বাবুর সুস্থতা।
প্রথমেই আপনার বাবুর জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি৷ আসলে এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সকলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে৷ আমরা কথা বলতে পারি তাই আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের কি হয়েছে। তবে বাচ্চারা কিছুই বলতে পারে না এবং কিছুই করতে পারে না৷ তাই আমাদেরকেও বুঝতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়৷ আপনার বাবুর ভালো চিকিৎসা চলছে শুনে খুব ভালো লাগলো৷ আশা করি আল্লাহর রহমতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে৷
আপনার মতো এমন অসুস্থ হয়েছিলাম আমি ও আমার মেয়ে। এবারের সর্দি জ্বর যে কি ভয়ংকরী তা যে আক্রান্ত হয়েছে সে জানে।আপনার মেয়েও অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো তবে শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গিয়ে খুব ভালো করেছেন।আমিও আমার মেয়ের কিছু হলেই শিশু বিশেষজ্ঞ শরণাপন্ন হই।আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি।ধন্যবাদ
ইদানিংকার জ্বর গুলো এমনই। যার হচ্ছে তাকে একবারে দুর্বল করে দিচ্ছে। তাছাড়া ছোট বাচ্চাদের এই সময় খুব সাবধানে রাখতে হয়। এরা কিছু বলতেও পারে না কিন্তু কষ্ট ঠিকই হয়। এজন্য সবদিকে খেয়াল রাখা উচিত। না জানি কত কষ্ট পেয়েছে। যাই হোক এখন কিছুটা ভালো হয়েছে নিশ্চয়ই।
বেশ খারাপ লাগলো আপু পোস্টটা পড়ে। যেহেতু ছোট বাবু এরকম অসুস্থ হয়েছে। আসলে ছোট বাচ্চারা যখন কথা বলতে না শেখে তখন তাদের যে সমস্যাগুলো আমরা ঠিক ঠাক করে বুঝতে পারি না, এ কথা সত্যি। তখন আরো বেশি চিন্তা হয়। তবে যেহেতু ছোট বাবুকে ডাক্তার দেখিয়েছেন, আশা করা যায় খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। তবে কান দিয়ে জল পড়ার ওই ব্যাপারটা আমার কাছেও তাই মনে হল, হয়তো কানে কোন কারনে জল ঢুকেছে আগে থেকে অথবা ওই বমিও হতে পারে। যাইহোক আশীর্বাদ করি, সে যেন অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।