বাসায় ঘরোয়া ভাবে পিকনিক প্রোগ্রামের আয়োজন।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

৭ ই মার্চ ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।

আজ রোজ মঙ্গলবার

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন।



আজ আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ। অর্থাৎ পবিত্র শবে বরাত।মুসলমানদের ধর্মীয় একটি অনুষ্ঠান। এই রাতে এবাদতের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করা যায়। আর কিছুদিন পবিত্র রমজান ,এখন থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে রকম লাইফ স্টাইল পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে বেশ কিছু দিন আগে শীতের ছুটিতে আমরা সকল ভাই বোন একসাথে বাবার বাড়িতে ছিলাম। আসলে আমার বাসা থেকে আমার বাবার বাসা কাছাকাছি। তবে ভাইয়ার পরিবার চাকরির জন্য রাজশাহী থাকে তাই বেশি বড় ছুটি না পেলে ঢাকাতে তাদের আসা হয় না। সবাই এক সাথে হয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা তো মহা খুশি। পুরো ঘর ঝুরে ওদের মাতামাতি। ওরা বেশ কিছু দিন এই থাকে থাকার পর ভাবি ভাবীর বাবার বাড়িতে যাবে কিন্তু তার ছেলে মেয়ে কিছুতেই যেতে চাচ্ছে না ,আসলে এইখানে তারা অনেক খেলার সাথী রয়েছে তাই ওদের ছেড়ে যেতে চায় না। পরে আমরা সবাই তাদেরকে বুঝিয়ে দুই তিন থাকার পর ওরা আসলে আমরা বাসার সবাই মিলে পিকনিক করবো।

334909337_118932637689745_467132117500066034_n.jpg

captured by @rahimakhatun

Device- samsung SM-A217F

তারপর আর কি ওরা তিন চার দিন থাকার পর বাসায় আসার পর তো শুরু হয়ে গিয়েছে আমাকে জ্বালানো ,কবে পিকনিক কবে পিকনিক। মনে মনে ভাবলাম বাচ্চাগুলোর থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব না। সবাই মিলে বসে পিকনিক এর মেনু আর কিভাবে কিভাবে হবে তাই ঠিক করলাম। যেহেতু আর কখনো আমরা এইভাবে পিকনিক করা হয়নি ,তাই ঠিক করলাম খুব বেশি আয়োজন করবো না অল্প স্বল্প মধ্যে শেষ করবো। তারপর ও মানুষ অনেক হয়ে যায় ,কারণ বাসার ভাড়াটিয়াদের বাচ্চাগুলো ও ধরেছে তাদেরকে ও নিতে ,কি আর করার সবার থেকে ১০০ করে টাকা নিয়ে আমার দুলাভাইকে দিয়ে বাজার করলাম। আর বাকিসব মা ঘর থেকেই দিল। এখন সমস্যা হচ্ছে রান্না কে করবে।তাও ছাদে রান্না করা হবে চারদিকে ইট দিয়ে কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করতে হবে। সবাই মাইল আমাকে ধরলো রান্না করার জন্য। পরে আমি বলেছি আমি তাহলে খিচুড়ি রান্না করে দিবো মুরগি আমি পারবো না।

334966015_197780462900675_6929830666735176623_n.jpg

প্রথমে আমরা সবাই মিলে সব কিছুর যোগাড় করে নিয়ে ছাদে চলে গেলাম। তারপর বড় হাড়িতে তলায় মাটি দিয়ে প্রলেপ দিয়ে নিয়েছি ,কারণ পাতিলে কালি যেন ভালো করে বসতে না পারে। তারপর আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করলাম।

335003076_755595965922831_2890539270047732916_n.jpg

334910079_700157185180545_2689150406029805406_n.jpg

রান্নার আয়োজন চলছে।

334979252_735643051498528_9070100477273383961_n.jpg

334922415_1229352317686624_4026106429382628294_n (1).jpg

334964622_733126198345210_6213266120501924156_n.jpg

322300060_697893018374861_3718951023022309501_n.jpg

334932585_171929538510873_5724186828334094114_n.jpg

খিচুড়ি রান্না প্রায় শেষ।

334868580_3497225480600058_7631308872607214447_n.jpg

মুরগি রান্নার আয়োজন চলছে। আমি মুরগি রান্নার সময় বেশি ক্ষণ ছিলাম না ,তাই তেমন ছবি নিতে পারিনি। আমি নিচে এসে সব রেডি করছিলাম।

334920391_113035001729557_5452822335766888970_n.jpg

সবার খাওয়া দাওয়া চলছে ,আমি তখন একটা ছবি নিয়ে নিলাম। সব মায়েরা তাদের বাচ্চাদের খাওয়াচ্ছে। আজ এই অব্দি আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

devicesamsung SM-A217F
LocationDhaka
Photograpy flowers
linksource

Sort:  
 3 years ago 

ঘরোয়া ভাবে এমন পিকনিক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সবাই একটু ফ্রি টাইম পেয়ে এরকম আয়োজন করলে অনেক আনন্দ করা যায়।সবাই মিলে একসাথে অনেক আনন্দ করেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। পিকনিকের আয়োজনে খিচুড়ি আর মুরগির মাংস বেশ ভালো মেনু। মাত্র ১০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে এমন সুন্দর খাবার খেতে পারলে মন্দ হয় না।

 3 years ago 

আসলেই ১০০ টাকায় মোটামুটি সবাই ভালো করেই খেয়েছে।আসলে ঘরোয়া তো তাই কমিয়ে আয়োজন করা হয়ছে আসলে এত জনের রান্না করতে ঝামেলা আছে।ধন্যবাদ

 3 years ago 

বাহ আপু আপনি তো বেশ সুন্দরভাবে বাসার সকলের সাথে ঘরোয়া ভাবে পিকনিকের আয়োজন করেছেন যা দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনারা বেশ ভালই উপভোগ করেছেন নিশ্চয়ই খাবারটি বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

 3 years ago 

আমরা শুধু বাচ্চারাও বেশ মজা পেয়েছে। আসলে এদের আনন্দ দেখলে অন্যরকম ভালো লাগে।ধন্যবাদ

আপনার এই পোস্টটা একটু ভিন্ন ধরনের ছিল। আসলে আমার এই ধরনের পোস্টগুলো পড়তে বেশ ভালো লাগে। তবে বাচ্চারা তো অনেক ভালো যে আপনাকে দিয়ে শুধু খিচুড়ি মাংস রান্না করিয়েছে। আমি হলে তো আপনাকে দিয়ে কুড়ি রকমের পদ রান্না করতেন। বেচেঁ গেছেন ওই জায়গায় আমি ছিলাম না।

আমি মুরগি রান্নার সময় বেশি ক্ষণ ছিলাম না ,তাই তেমন ছবি নিতে পারিনি।

আমার তো মনে হয় আপনি রান্না না করেই খেয়ে ফেলেছেন, এই জন্য ফটো তুলতে পারেননি। 🥺

 3 years ago 

নিজে এমন তাই সবাইকে ভাবে এমন।আপনি মনে হয় সব কিছু না রান্না করে খেয়ে ফেলেন😉😉।আমি তো সবার পরে খেতে বসেছি যেন ছবি তুলাতে ঝামেলা না হয়।😉

 3 years ago 

বাচ্চারা দাদা বাড়িতে গেলে আর ফিরতে চায় না। অনেকদিন পর একটু ছোটাছুটি করতে পারে। এজন্যই আপনার ভাইয়ের বাচ্চারাও যেতে চাচ্ছিল না। পিকনিকের লোভ দেখিয়ে পাঠাতে গিয়ে তো পরে বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন। আবার পিকনিক করতে হলো। অবশ্য বেশ ভালোই মজা করেছেন সবাই মিলে দেখে বোঝা যাচ্ছে। খিচুড়িটা মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আমারই তো মন চাচ্ছে পিকনিকে জয়েন হই।

 3 years ago 

আমাদের ভাইয়ের ছেলে মেয়েরাও আসলে আর যেতে চায় না।আশা আগে দিন গুনা শুরু করে কবে আসবে,তারপর যাওয়ার সময় হলে এত তাড়াতাড়ি চলে যাব😃😃

 3 years ago 

শবেবরাত থেকেই যেন রমজানের আভাস পাওয়া যায়।

সবাই মিলে একসাথে পিকনিক করতে আসলেই ভালো লাগে। আর পিকনিক করতে গেলে বেশিরভাগ সময়ে এই মুরগির মাংস রেসিপিটাই সিলেক্ট করা হয় কারণ খুব সহজেই রান্না করা যায় আবার টাকার পরিমানও কম। যাইহোক সবাই মিলে বেশ ভালোই মজা করেছিলেন তাহলে।

 3 years ago 

আসলেই রমজান আসছে,ভালোই লাগছে আমার কাছে।আসলে শর্টকাট ঝামেলা শেষ করেছি আর কি।হা হা

 3 years ago 

আপনি কিছুদিন আগে একটি পোস্টে বলেছিলেন আপনার বাবার বাসায় সবাই একত্রিত হয়েছেন। বাবার বাসায় একত্রিত হয়ে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো। আসলে সবাই মিলে একত্রিত হওয়ার পর যদি এরকম পিকনিকের আয়োজন করা হয় তাহলে সত্যিই ভালো লাগে। আর আনন্দ অনেক বেড়ে যায়। লাইফস্টাইল দিয়ে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 3 years ago 

আসলেই মা বাবা ভাই বোনরা একসাথে হলে ভালোই লাগে।একসাথে আমাদের একটা না একটা প্রোগ্রাম হয়।ধন্যবাদ

 3 years ago 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাসার সবাইকে একত্রিত ভাবে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন সেই বিষয়ে। আসলে বাসার সবাই যখন একত্রিতভাবে পিকনিক করা যায় বেশ মজাই লাগে। সময়টা বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

আসলেই বাসার সবাই একএিত হয়ে পিকনিক করার মজাই আলাদা।আসলেই ভালো সময় আমরা উপভোগ করতে পেরেছি।ধন্যবাদ আপনাকে

 3 years ago 

ছোটবেলায় এভাবে পিকনিক করার অনুভূতিটা সত্যিই অন্যরকম থাকে। ছোট্ট বাচ্চাদের মধ্যেই অনুভূতিটা সবচেয়ে বেশি কাজ করে অনেক ভালোলাগার বিষয়। যাইহোক, ঘরোয়া পদ্ধতিতে পিকনিক করেছেন যেটা সত্যিই অনেক ভালো লাগলো দেখে মাঝে মাঝে এরকম কিছু করা সত্যিই অনেক মজা দেয়।

 3 years ago 

আসলেই বাচ্চাদের খুশি দেখার মতই ছিলো।আমি ওদের মাঝে নিজের ছোটবেলাকে ফিরে পেয়েছি।

 3 years ago 

পরিবারের সদস্যদের কে নিয়ে এইভাবে বাড়িতে পিকনিক করলে ভালই লাগে। ছোটবেলায় আমরাও অল্প কিছু টাকা তুলে সকলে এই ভাবে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়া দাওয়া করতাম। সেদিনের সেই মুহূর্তগুলোকে অনেক করি এখন।

 3 years ago 

আসলেই পিকনিকের মজাই এমন।বাসায় তো প্রতিদিনই খাওয়া হয়,তবে পিকনিকটা তো আর করা হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.29
JST 0.037
BTC 106386.05
ETH 3622.67
USDT 1.00
SBD 0.55